Friday, July 31

কানাইঘাটে তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ সুপার


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির নারাইনপুর গ্রামে দরিদ্র রিয়াজ আলীর মেয়ে ১৭ বছরের এক তরুণী ফরিদা বেগমকে গত ২৪ জুলাই ভিট বাড়ী থেকে অপহরণ করে দুই দিন আটকিয়ে রেখে উপর্যুপরি গণধর্ষণ করে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত লাশ টয়লেটে ভ্যান্টিলেটারে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় ধর্ষণকারী খুনী চক্রকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছেন। পৈশাচিক এ নারকীয় হত্যাকান্ডের পর কানাইঘাট থানা পুলিশের নীরব ভূমিকায় জনমনে সর্বত্র দীক্ষার তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদা বেগমকে গণধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করে লাশ টয়লেটে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শুক্রবার সিলেটের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, উত্তর সার্কেলের এএসপি ধীরেন্দ্র মুখপাত্র, জেলা আ’লীগ নেতা মস্তাক আহমদ পলাশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়াজ আহমদ, পৌর আ’লীগের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা নিহত ফরিদা বেগমের বাড়ী এবং হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, এলাকার হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ঘাতকদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরীকে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিয়ে বলেন, শিশু রাজন হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে যেভাবে জনগণের সহায়তায় খুনীদের গ্রেফতার করা হয়েছে ফরিদা বেগমের হত্যাকারীদের সেভাবে গ্রেফতার করা হবে। এ জন্য খুনীদের দেখামাত্র স্থানীয় জনসাধারণকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা নিহত ফরিদা বেগমের বাবা মা ও পরিবারের সদস্যদের সাথে একান্ত ভাবে কথা বলেন। প্রসজ্ঞত যে, গত ২৪ জুলাই শুক্রবার গভীর রাতে নারাইনপুর গ্রামের মৎস্যজীবি মোঃ রিয়াজ আলীর মেয়ে ফরিদা বেগম (১৭) কে বসত ঘর থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়। এরপর নিখোঁজের দুই দিন পর গত রবিবার ফরিদা বেগমের রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত অর্ধ ঝুলন্ত লাশ পার্শ্ববর্তী বাড়ীর আনিছুল হক চৌধুরীর পরিত্যক্ত টয়লেটে পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় ফরিদা বেগমের লাশ গত রবিবার উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করি। কিন্তু এ নিয়ে এলাকায় অনেকে নানা ধরনের কথাবার্তা বলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পাশাপাশি এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশ সেভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়