Wednesday, June 10

পাকিস্তানের গোয়েন্দা কবুতরের জেল!


ফিচার ডেস্ক: দূর দেশে চিঠি পৌঁছে দেয় সাদা পায়রা। রাজা-রাজড়াদের আমলে, এমনকি দুই বিশ্বযুদ্ধেও পায়রার পায়ে চিঠি বেঁধে বার্তা পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে। ‘কবুতর’ দূর-দূরান্তে খবর পৌঁছে দিচ্ছে, সেলুলয়েডের সৌজন্যে এই দৃশ্যও সবারই পরিচিত। ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই সাদা পায়রাকেই এবার ভারতের বিরুদ্ধে চর হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। এমনই সন্দেহ দানা বেঁধেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে একটি সাদা পায়রা উদ্ধারের ঘটনায়। বুধবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান সীমান্ত থেকে চার কিলোমিটার দূরে, পাঞ্জাবের পাঠানকোটের গ্রাম মানওয়ালে রমেশ চন্দ্র নামে এক নাপিতের বাড়িতে উড়ে বসে একটি সাদা পায়রা। রমেশের ছেলে দেখতে পান, পায়রাটির লেজের কাছে উর্দুতে কিছু লেখা আছে। এতেই সন্দেহ হওয়ায়, কাছের পুলিশ স্টেশনে পায়রাটিকে নিয়ে যায় সে। পুলিশ দেখে পায়রাটির লেজে যে বার্তাটি রয়েছে, তার আংশিক উর্দুতে লেখা। আর বাকিটা একটা ল্যান্ডলাইন টেলিফোন নম্বর। বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায় ফোন নম্বরটি পাকিস্তানের নারওয়াল জেলার। ওই বার্তা ছাড়াও পাখিটির গায়ে তারজালির মতো কিছু একটা জুড়ে দেয়া ছিল। পায়রাটিকে পশুপালন দপ্তরে দিয়ে তার এক্সরে করানো হলেও, রিপোর্টে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সেটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পাঠানকোটের এসএসপি রাকেশ কৌশল জানিয়েছেন, ‘কোনো পাখির এভাবে পাকিস্তান থেকে উড়ে আসার ঘটনা বিরল। এর আগেও আমরা এখানে অনেক চরকে ধরেছি। এই এলাকায় অনুপ্রবেশ হয়েই থাকে।’ পাখিটিকে ‘সন্দেহজনক চর’ হিসেবে দেখিয়ে, থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্তারা গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন বিএসএফ ও আইবিকে। পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ কয়েকটি মিডিয়া টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করলেও ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়