কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
গ্রামাঞ্চলে ছোট বাচ্চাদের মজা করে বলা বলা হয়, চুরি করে বা লুকিয়ে কিছু খেলে হেঁচকি উঠে। যদিও এ কথা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। কারন এই হেঁচকি উঠার জন্য আমাদের শরীর ই দায়ী। শরীর যখন তার নিয়ম বহির্ভুত কিছু খুঁজে পায় তখনই আমাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়।
আমাদের বুক আর পেটের মাঝখানে মাংসপেশি দিয়ে তৈরি একটি দেয়াল বা পার্টিশন রয়েছে। এই মাংসপেশিকে ডায়াফ্রাম বলে। এই ডায়াফ্রাম অবিরত এক নির্দিষ্ট ছন্দে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়। কোন কারনে স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়ে ডায়াফ্রাম যদি হঠাত বেশি করে সংকুচিত ও প্রসারিত হতে থাকে তবেই হেঁচকি উঠে। (সাধারণত বলা হয়ে থাকে, খাবার খাদ্যনালীতে না গিয়ে যদি শ্বাসনালীতে চলে যায় তাহলে সেই খাদ্যকনা কে শ্বাসনালী থেকে বের করে দেহের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্যই হেঁচকি উঠে।) ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারণের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতে সাহায্য করে “ফ্রেনিক নার্ভ” নামক এক বিশেষ ধরণের স্নায়ু।
গলা বেশি করে শুকিয়ে গেলে বা ঝাল খেলে অনেকের ফ্রেনিক নার্ভ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তার ফলে ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারণ এর মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াফ্রামের এই সংকোচনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে, শ্বাসনালীর ভেতরের স্বররন্ধ্র থেকে খানিকটা বাতাস হঠাত করে বেরিয়ে যাওয়ার কারনে গলা দিয়ে এক অদ্ভুত শব্দ বেরুতে থাকে। একেই আমরা বলি- হেঁচকি উঠা।
পানি খেলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয় যে কারণে:
কারো হেঁচকি উঠলে আমরা সাধারণত আমরা তাকে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। হেঁচকি ওঠার সময় ঠান্ডা পানি খেলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে চলে যায়। পাকস্থলীতে রয়েছে “ভেগাস নার্ভ”। ভেগাস নার্ভ থেকে সংকেত পৌছায় বলেই ফ্রেনিক নার্ভ উত্তেজিত হয়ে থাকে। ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে ভেগাস নার্ভ অসাড় হয়ে পড়লে ফ্রেনিক নার্ভে সংকেত পৌছায় না। এর ফলে তার উত্তেজনা কমে এবং ডায়াফ্রাম তার দুলুনির নিজস্ব ছন্দে ফিরে আসে। সেই সাথে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যায়।
হেঁচকি উঠার কারণ:
• খাবার খাওয়ার সময় পানি কম খেলে বা শুকনো জাতীয় খাবার খেলে।
• খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত কথা বললে।
• অতি দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে।
সতুরাং, খাবার খাওয়ার সময় একটু সচেতনতা অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবুও যদি হেঁচকি উঠেই যায় তাহলে আর কি করবেন। ফ্রিজ থেকে পানি বের করে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে ফেলবেন। ব্যাস, হয়ে গেল বিরক্তিকর হেঁচকি থকে মুক্তি।
জেনে নিন কিছু মজার তথ্য:
• সজনে পাতার রস ৯/১০ ফোঁটা আধ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে ফেলুন এক নিঃশ্বাসে। দেখবেন হেঁচকি ওঠা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে।
• হেঁচকি উঠলে পেঁয়াজের রস মিশানো পানি খেলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে
• হেঁচকি উঠা শুরু করলে দম আটকে রাখলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাক চেপে ধরুন এবং মুখ বন্ধ করে রাখুন। এভাবে যতক্ষণ থাকা সম্ভব হয় ততক্ষণ থাকুন। হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেলে দম ছেড়ে দিন।
Sunday, May 24
এ সম্পর্কিত আরও খবর
ভিন্নধর্মী স্বাদের কমলার রেসিপি কমলালেবু এক ধরনের সুস্বাদু ফল। ফলটি খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার। আর কমলালেবুর
ভেষজ ফল পাকা পেঁপের বীজ সুস্থ রাখে কিডনি, দ্রুত ওজনও কমে ভেষজ ফল পাকা পেঁপে বহু রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। স্বাস্থ্যকর খাবা
কানাইঘাটে এইচপিভি টিকা নিশ্চিতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে সভানিজস্ব প্রতিবেদক:সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় চলমান জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদ
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় থানকুনি পাতা, দূর করে ঘুমের সমস্যাকানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলেই মাথায় উঁকি দিতে পারে উৎক
শীতকালে ত্বকের যত্নে করণীয় দেশে শীতের মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। আর এর প্রভাবে সারাদেশে কমতে শুরু করেছে দিন ও রাতের তাপমা
কানাইঘাটে এইচপিভি টিকা সম্পর্কে অবহিতকরণ সভানিজস্ব প্রতিবেদক: :‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে স
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়