Saturday, May 31

 কাপড় ব্যবসায় নোবেল

কাপড় ব্যবসায় নোবেল

অনেকদিন থেকেই মডেলিংয়ে নিয়মিত নন নোবেল। চাকরির ব্যস্ততার কারণে মিডিয়া থেকে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে নোবেল এবার নামলেন কাপড় ব্যবসায়। রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্যাশন হাউস খুলেছেন তিনি। বনানীর ১৫নং রোডের ১০৩নং বাড়িতে অবস্থিত এই ফ্যাশন হাউসটির নাম ‘আমব্রেলা’।

গতকাল ফ্যাশন হাউসটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাদিয়া ইসলাম মৌ সহ টিভি নাটক এবং সঙ্গীত ভুবনের অনেক তারকা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন ব্যবসা সম্পর্কে নোবেল বলেন, ‘যারা ফ্যাশন সচেতন, তাদের জন্য আমার এই উদ্যোগ। দেশ এবং দেশের বাইরের মানসম্মত প্রডাক্টের কালেকশন থাকছে আমার এই হাউসে।'

রায়হান খানের পরিচালনায় ‘রেস’ নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন নোবেল। গত এপ্রিলে ব্যাংককের পাতায়ায় নাটকটির শুটিং করেছেন বেশ কয়েকদিন। - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/294874.html#sthash.QCUJ3GTg.dpuf
 আবোল তাবোল পাগলের গল্প

আবোল তাবোল পাগলের গল্প

তারা তিনজন আবোল তাবোল পাগলের দল। কায়েস আরজু আবোল তাবোল ছেলে আর আইরিন পাগল পাগল মেয়ে। তাদের এই আচরণকে উসকে দিয়েছেন পরিচালক সাইফ চন্দন। একেবারে হাতেপায়ে ধরিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে আবোল তাবোল আর পাগল হতে হয়!

তিনজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয়ে গেল একটি সিনেমা। ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’। একটু বোধহয় ভুল হলো। শুধু এই তিনজনকে দিয়েই কি সিনেমা হয়ে যায়? এত সহজ? না, এরমধ্যে অনেক গল্প আছে, আছে অসংখ্য জোড়া হাতের পরিশ্রম। সে সব কথা শুনতেই বাংলানিউজ আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সাইফ চন্দন, আরজু আর আইরিনকে। ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ সিনেমার পর্দা আর পর্দার পেছনের মূল তিন কুশলী তারা-
নামের মধ্যেই বুঝা যায়, প্রেমের গল্পের ছবি এটি। তবে নির্মাতা সাইফ চন্দনের কথায় জানা গেল,  ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ শুধুই একটি প্রেমের ছবি না, থ্রিলারও। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির গল্প নিয়েই এর কাহিনি। এই সিনেমায় জড়িয়ে আছে সাইফের বাস্তব জীবনের গল্পও।'



সেই গল্প তুলে ধরতে আরজু আইরিন কেন? সাইফ বললেন, ‘আমি একটা ভালো সিনেমা বানাতে চেয়েছি। এখানে ছবির গল্পই তাদের মতো দু’জনকে চেয়েছে। আমি বড় মাপের আর্টিস্ট নিতে চাইনি। আমার মনে হয়েছে আরজু আইরিনকে আমি যতটুকু জানি তারা সিরিয়াস, কাজে মনোযোগী। শেষপর্যন্ত আমার কাজটা খুব ভালোভাবেই শেষ হয়েছে।’

নিরব শ্রোতা হয়ে পরিচালকের কথা শুনছিলেন আরজু। সাইফ চন্দনের এটি প্রথম সিনেমা হলেও আরজুর জন্য নয়। ২০০৭ সালে ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ দিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক। এরপর মুক্তি পেয়েছে আরো কয়েকটি। ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ তার ষষ্ঠ সিনেমা।



আরজু বললেন, ‘এই সিনেমাটা নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। এখন তো দর্শক দেশের বাইরের মুভি-ই বেশি দেখছে। তাদের মতো করে সম্ভব না, তবে কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমার জায়গা থেকে আমি চেষ্টা করেছি। সবাই মিলে একটা টিম হয়ে কাজ করেছি।’

আর আইরিন কী বলেন? সিনেমার মত বাস্তব জীবনে তিনি কতটা পাগল পাগল ধরনের? শুনেই হেসে ওঠেন। বলেন, ‘এমনিতে আমি কিছুটা আউলা ঝাউলা। আর পাগল পাগল.. হয়তো কিছুটা। এখানে আমি দুইটা চরিত্রে কাজ করেছি। তরুণী চরিত্র একটা আর আরেকটা বৃদ্ধা চরিত্র। এই সিনেমাটায় অনেক কষ্ট করেছি তো, তাই আশাটা বেশি। মজার ঘটনা হচ্ছে, শুটিংয়ের সময় আমাদের ইউনিটের যতজনের জন্মদিন ছিল, সবার জন্মদিন উদযাপন করেছি আমরা।’
আইরিনের কথার সমর্থনে আনন্দজাগানিয়া অনেক কথা বের হয়ে এলো সাইফ-আরজুর মুখেও। তবে এই সিনেমা সবটুকু যে আনন্দের ছিল, তাও না। বেশ কিছু বাধা-বিপত্তি আসে শুরুর থেকেই।



শুটিং শুরুর তিনদিনের মাথায় মোটরসাইকেলের এক শট দিতে গিয়ে আঘাত পান আরজু। সেই এক আঘাতের চোটে তিনমাস বিছানায় কাটাতে হয় তাকে। আরেকবার পরিচালক নিজেই স্টান্টম্যানের একটি দৃশ্যে নায়িকাকে নিয়ে শট দিচ্ছিলেন। সেবার পড়ে গিয়ে আইরিনের হাত আর কোমরের অংশ কেটে যায়। হাতে ব্যথা পান পরিচালক সাইফ। এই নিয়ে আবার একমাস শুটিং বন্ধ। এছাড়া সিনেমার আরেক নায়িকা সিগারেট খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, ইউনিটের একজনের মাথায় লাইট ভেঙে পড়া, তিনদিনের শিডিউলে কক্সবাজারে গিয়ে প্রথম দুইদিনই বৃষ্টিতে পণ্ড- এমন নানান অপ্রত্যাশিত ঘটনা তো ছিলই।

তবে বড় এক দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে শুটিয়ের শেষের দিকে এসে। ক্যামেরা থেকে শুটিংয়ের ফুটেজ নিতে গিয়ে দেখা গেল পাক্কা দুইদিনের শুটিং নাই। তিন সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি!
তবে প্রযোজক শামীম আলমের সহযোগিতায় সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন পরিচালক।



প্রযোজকের পাশাপাশি সাইফ চন্দন প্রশংসা করলেন ক্যামেরাম্যন হৃদয় খান, এডিটিং প্যানেলের মোস্তফা কামাল রাজ, ডাবিংয়ের রিপন নাথসহ শাহীন কবির টুটুল, শেখ এমদাদ সুমনদেরও। বিভিন্নভাবে তারা ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ সিনেমার জন্য সহায়তা করেছেন।

পোস্ট প্রডাকশনের কাজ শেষে চলতি মাসের শেষ দিকে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিনেমাটির অডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। সাইফ চন্দন জানালেন, এবার আরো বেশি চমক রেখে সিনেমাটির প্রিমিয়ার করা হবে। মুক্তি দেয়া হবে রমজানের আগেই।
বন্দিদশা থেকে মুক্ত সিনাওয়াত্রা

বন্দিদশা থেকে মুক্ত সিনাওয়াত্রা

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে জেল থেকে মুক্তি দিল দেশের জুন্টা সরকার। তাঁকে সেনার হেফাজত থেকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনই সিনাওয়াত্রা পূর্ণ মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রীকে আপাতত গৃহবন্দি করে রাখা হবে। মঙ্গলবার সেনা বাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত। এই ঘটনার জেরে দেশে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ায় দিন কয়েক আগেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে দেশের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আর ক্ষমতা দখলের পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দলের একাধিক সরকারকে বন্দি করেছিল দেশের জুন্টা সরকার। সিনাওয়াত্রাকে জেল থেকে মুক্তি দিলেও অন্য নেতাদের মুক্তি নিয়ে সরকারের তরফে এদিন কিছু জানানো হয়নি।

Thursday, May 29

স্নাতক ডিগ্রি নেই ভারতের শিক্ষামন্ত্রীর!

স্নাতক ডিগ্রি নেই ভারতের শিক্ষামন্ত্রীর!

ডিনিউজ ডেস্ক,ঢাকা: স্মৃতি ইরানিভারতে সদ্যগঠিত নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ ও উন্নয়নমন্ত্রী (এইচআরডি) জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন।
আজ বুধবার এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, টুইটারে একাধিক বার্তায় মোদির মন্ত্রিসভা নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন অজয়। এর মধ্যে একটি বার্তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এইচআরডি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে আক্রমণ করেছেন ওই কংগ্রেস নেতা।
অজয় লিখেছেন, ‘মোদির কী এক মন্ত্রিসভা? এইচআরডি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি স্নাতকও নন! ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) সাইটে ১১ নম্বর পৃষ্ঠায় তাঁর হলফনামা দেখুন।’
অজয়ের এই টুইটার বার্তা তাত্ক্ষণিকভাবে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
স্মৃতিকে নিয়ে করা অজয়ের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
মোদির মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, তাঁর (ইরানি) সম্পর্কে এমন কথা বলা হয়েছে। স্মৃতি ইরানি পার্লামেন্টে হিন্দি ও ইংরেজিতে কথা বলেন। তাঁর যোগ্যতার কথা মাথায় রেখেছেন মোদি।’
পাল্টা আক্রমণে পানিসম্পদমন্ত্রী উমা ভারতী আরেক ধাপ এগিয়ে। তাঁর আক্রমণের নল সরাসরি কংগ্রেসপ্রধান সোনিয়া গান্ধীর দিকে। স্মৃতির পক্ষ নিয়ে আজ তিনি বলেছেন, ‘আমি ম্যাডাম সোনিয়া গান্ধীর কাছে জানতে চাই, তাঁর যোগ্যতা কী?’
সোনিয়াকে উদ্দেশ করে উমা ভারতী আরও বলেন, ‘তিনি (সোনিয়া) ইউপিএ সরকার চালিয়েছেন। সরকারকে নানা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি কতটা যোগ্য, তা দেখতে আমি তাঁর সনদ দেখতে চাই। তারপর কংগ্রেসের লোকজন স্মৃতির যোগ্যাতা নিয়ে প্রশ্ন করুক।’
অজয়ের ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। আজ টুইটারে তিনি লিখেছেন, এইচআরডি মন্ত্রণালয় চালাতে কারও শিক্ষিত হওয়া দরকার—এ কথা অনেকটা বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের জন্য পাইলট এবং কয়লা মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন খনিশ্রমিক দরকার-ধাঁচের কথার মতো।
এ ছাড়া অনেকেই টুইটারে কংগ্রেস নেতার ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্বপন দাসগুপ্ত টুইটারে লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন? তিনি নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত একজন এবং শিক্ষা সম্পর্কে তাঁর আলোকিত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।’
৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৮২টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৪৪ আসন।
ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২৬ মে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ওই দিনই ৪৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেন তিনি।
- See more at: http://dnewsbd.com/?p=2578#sthash.2wuPqooo.dpuf
মেয়র আইভীর সমর্থন চাইলেন সেলিম ওসমান

মেয়র আইভীর সমর্থন চাইলেন সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের উপ নির্বাচনে প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছোট ভাই জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থন চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার ছোটভাই শামীম ওসমান যেমন আমাকে সমর্থন করেছেন। ঠিক তেমনি আমি মেয়র আইভীরও সমর্থন চাই।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ব্যবসায়ী নেতা, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সেলিম ওসমান একথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জে এমপি ও মেয়রের বিরোধ প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, ‘এ জেলা একটা জায়গায় থেমে আছে। যেদিন এমপি ও মেয়র এক টেবিলে বসবেন তার পরের দিন থেকেই নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নের চাকা ঘুরতে থাকবে। তাই আমি চারজন এমপি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নিয়ে বসতে চাই।’

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ভুল বোঝাবুঝি চলছে এমন মন্তব্য করে সেলিম ওসমান বলেন, ‘ভুল বুঝাবুঝির কারণে কেউ কেউ অন্ধকারে ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। অনেক জীবন চলে যাচ্ছে। একে অপরকে দোষারোপ করার মধ্য দিয়ে প্রকৃত খুনীরা বেঁচে যাচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের মেঝ ছেলে সেলিম বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জকে শান্তির শহর বানাতে চাই। নারায়ণগঞ্জে মানুষ যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই। নারায়ণগঞ্জ ছিলো প্রাচ্যের ডান্ডি। সেই প্রাচ্যের ডান্ডি ফিরিয়ে আনতে হবে। নারায়ণগঞ্জের একটি মানুষও যেন বেকার না থাকে।’

জাতীয় পার্টিতে প্রার্থী হওয়া এবং রাজনীতিতে প্রবেশের ব্যাপারে সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমি ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমার বাবা রাজনীতিবিদ ছিলেন। সেই সুবাদে অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। সপ্তাহে একদিন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছি। বাবা দুই ভাইকে রাজনীতিতে ঢুকিয়েছেন। কিন্তু কখনও আমার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা ছিলো না। বুধবার সকাল পর্যন্তও আমি জানতাম না আমি মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুমতি চাইতে আসবো। হঠাৎ করে সব কিছু হয়ে গেছে।’

সেলিম ওসমান এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘আমার মা যিনি দীর্ঘদিন ধরে বৈধব্য জীবন যাপন করছেন। যার একটি ছেলে ইতোমধ্যে চলে গেছেন, সেই মা বিছানায় শুয়ে টিভির স্ক্রলে আমার মনোনয়নপত্র কেনার খবর শুনে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন সেল্লু তুই এগিয়ে যা। তোর বাবা ভাইয়েরা যা করতে পারে নাই তুই সেটা করে দেখা। তাদের অসমাপ্ত স্বপ্নকে সত্যি করে দে। তাই আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

নির্বাচনে বিজয়ী হতে সবার সমর্থন চেয়ে সেলিম বলেন, ‘এখন আপনাদের সমর্থন চাই। আমি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করি। শ্রমিক ছাড়া কোনো মালিক যেমন টিকে থাকতে পারে না। ঠিক তেমনি আমি তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। তৃণমূলকে সম্মান দিতে চাই।’

নাসিম ওসমান ও শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জের চার এমপি এবং মেয়রকে নিয়ে এক টেবিলে বসে কাজ করতে চাই। যদি সেটা আমি না করি তাহলে আপনারা আমাকে কান ধরে নারায়ণগঞ্জ থেকে বের করে দেবেন। আর আমি যদি না যেতে পারি যারা সংসদে যাবে তাকেও এক টেবিলে কাজ করতে হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি করা যাবে না।’

প্রয়াত নাসিম ওসমান সম্পর্কে ছোট ভাই সেলিম বলেন, ‘উনার অনেক স্বপ্ন ছিলো যা উনি পূরণ করে যেতে পারেনি। এর কারণ হচ্ছে, পর্যাপ্ত টাকার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা আর হিংসা বিদ্বেষ। আমি কোনো হিংসা বিদ্বেষ রাখতে চাইনা। আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করতে চাই।’

গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সদস্য প্রবীর সাহা, বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহজালাল, ইয়ার্নমার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, শোভন গার্মেন্টেসের পরিচালক আবু আহম্মেদ সিদ্দিক, বিকেএমইএ লেবার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জিএম ফারুক, ফেন্ড্রস্ মার্কেট বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন টিটু, সাবেক সভাপতি বাদশা মিয়া, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রধান, জেলা জাসদের সভাপতি এম এ সাত্তার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল, নগর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মজিদ খন্দকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ফেডারেশন অব ওয়ার্কাস এর কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি কাউসার আহম্মেদ পলাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মুহাম্মদ বাদল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতি, শহর যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মাহমুদা মালা প্রমুখ।

বাংলামেইল২৪ডটকম/