Monday, December 1

নারী শিক্ষা ও পর্দার বিধান


মাওলানা শামছুল ইসলাম হাকেমী খতিব, 
আলহাজ জাকির হোসেন কন্ট্রাক্টর জামে মসজিদ, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম 
  মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত, আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবীর উম্মত আমরা। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি আল্লাহর প্রেরিত সর্বপ্রথম বাণী ছিল 'ইকরা' অর্থাৎ পড়। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শিক্ষা সম্পর্কিত বাণী হলো 'জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজ (অত্যাবশ্যকীয়)।' একজন ভালো মুসলমান হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম জ্ঞানার্জন প্রয়োজন। পুরুষদের মতো নারীদেরও শিক্ষালাভের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এমনকি নারীদের শিক্ষা বা জ্ঞানার্জনের জন্য ইসলাম যেভাবে উৎসাহিত করেছে তা অন্য আদর্শে বা ধর্মে পরিলক্ষিত হয়নি। আল্লাহর রাসূল (সা.) পুরুষদের চেয়ে নারীদেরও জ্ঞানার্জন বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছেন। পর্দা শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ হুকুম। এ হুকুমের ওপর আমল নর-নারীর সম্মান বহুগুণে বৃদ্ধি করে। দুনিয়ার জীবনে তাকে সুসংহত ও নিরাপদ করে। কিন্তু ইসলামে পর্দার সঠিক বিধান সম্পর্কে যা বোঝানো হয়েছে তার মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা না করে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একশ্রেণীর মানুষ পর্দার অপব্যাখ্যা ও পর্দার বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পর্দা আরবি 'হিজাব' শব্দের বাংলা ও উর্দু তরজমা, এর অর্থ আবরণ বা আচ্ছাদন। নামাজ-রোজার মতো নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দার বিধান পালন করা ফরজ। পর্দা লঙ্ঘনকারী যে কেউ নামাজ-রোজা আদায় করলেও জাহান্নামের শাস্তি থেকে অব্যাহতি পাবে না। ইদানীং পরিলক্ষিত হচ্ছে, পুরুষদের জন্য যে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকলেই পর্দার বিধান পূর্ণ হতো সেখানে কেউ কেউ পায়ের গোড়ালির নিচেসহ সারা শরীরই পোশাকে আবৃত করে রাখছে। আর অন্যদিকে নারী শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ছাড়া বলতে গেলে সারা শরীরই খোলা রেখে দেহপ্রদর্শনী করে বেড়াচ্ছে। পুরুষদের জন্য বলা হয়েছে, 'মুমিনদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে।' (সূরা নূর : ৩০)।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়