স্পোর্টস রিপোর্টার,ঢাকা: ৩-০ ম্যাচে সিরিজ হার দিয়ে শেষ করল বাংলাদেশ হকি দল।জয় দিয়ে প্রস্তুতি আর শেষ করা হলো না বাংলাদেশ হকি দলের। ভারতের সঙ্গে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা।
আগের দুই ম্যাচেও ভারতের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের হারের ব্যবধান ছিল আরো বেশি ৫-১।
ওয়ার্ল্ড হকি লিগ ও এশিয়ান গেমস সামনে রেখে তিন ম্যাচের এই সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) গতিময় হকি খেলেছেন মিমো-খোরশেদরা। তবে অভিজ্ঞ ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তারা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রাব্বি সালেহীন রকির হিটে মিলন হোসেনের ফ্লিক ভারতের গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে ৬ষ্ঠ মিনিটে বেলালের ভুলের সুযোগ ঠিকই কাজে লাগিয়েছে ভারত। বেলালের ভুল পাস থেকে পাওয়া বল রিভার্স শটে বাংলাদেশের গোলপোস্টে ঢুকিয়ে দেন যুবরাজ সিং।
২০তম মিনিটে জাসজিৎ সিংয়ের পেনাল্টি শট আটকে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক অসীম গোপ।
৩৯তম মিনিট গুরজিন্দর সিংয়ের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভারত।
শেষ দিকে পুস্কর খিসা মিমোর গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। মিলনের হিটে ভারতের গোলমুখের সামনে থেকে আলতো টোকায় জালে পৌঁছে দেন মিমো।
স্বাগতিকদের এ স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিমোর গোলের রেশ কাটাতে না কাটতেই ভারত অধিনায়ক বিক্রমকান্ত স্কোরলাইন ৩-১ করে দেন।
টানা তিন ম্যাচের জয়ে খুশি ভারত কোচ তুষার খান্ডেকার। তিনি মনে করেন, প্রস্তুতি ম্যাচের সিরিজটি বাংলাদেশের মতো ভারতেরও কাজে আসবে।
আমার মনে হয় এটি দুই দেশের জন্যই ভালো সিরিজ হয়েছে। আমরা কিছু অর্জন করেছি, তারাও কিছু অর্জন করেছে। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের প্রশংসা করেন ভারত কোচ। তিনটি ম্যাচেই তারা (বাংলাদেশ) ভালো খেলেছে। বিশেষ করে তাদের খেলোয়াড়রা ভালো ডিফেন্স করেছে।
শক্তির ব্যবধান জেনে বাংলাদেশ কোচ নাভিদ আলম আগেই বলে রেখেছিলেন, এটি তাদের জন্য শেখার সিরিজ। তৃতীয় ম্যাচে হারের পর পুরনো কথাই বলেছেন নতুন করে। তবে যে লক্ষ্য নিয়ে ভারতের বিপক্ষে নামা, তা পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন নাভিদ।
ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে। আমি বলব, সিরিজটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। যে লক্ষ্য নিয়ে সিরিজ শুরু করেছিলাম, সেটা পূরণ হয়েছে। ভারতের কাছে কম গোল খাওয়াটাকে তিনি সাফল্য হিসেবেই বিবেচনা করছেন। আগে বাংলাদেশ এক ম্যাচেই ১০ থেকে ১২টা গোল খেত। এবার তিন ম্যাচে ১০ গোল খেয়েছি আমরা। আমার মনে হয় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলছি।
-
খবর বিভাগঃ
খেলাধুলা

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়