Thursday, December 5

জরুরি অবস্থা ঘোষণায় ভূমিকা রাখতে পারে সেনাবাহিনী

ঢাকা : বাংলাদেশে আসন্ন দশম জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমঝোতায় না বসলে সেনাবাহিনী জাতীয় স্থিতিশীলতার নামে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করাতে পারে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে ‘টু লিডারস’ এনমিটি স্ট্রোকস কনসার্ন ওভার ভোট ইন ফ্র্যাজাইল ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে।

ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রধান দল দুটি সমঝোতায় না পৌঁছলে এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করলে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হবে, যার ফল মোটেই ভালো হবে না। তখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে রাজপথে নামবে বিরোধী দল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে দেশে সেনাবাহিনী দ্বারা জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কা জোরালো হয়ে উঠবে।

এতে বলা হয়, সামরিক শাসনের ছায়ায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র এরই মধ্যে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বিশ্লেষকরা একমত। বাংলাদেশে কয়েকবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বলবৎ ছিল। ১৯৯১ সালে যখন দেশটি দীর্ঘ সামরিক শাসন থেকে উঠে এলো, তখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারই অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করা হয় ও সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন, তার দল একটি কোর্টের রায়ের মাধ্যমে ৩ বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। যা বিরোধী দলকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা প্রধান দুই দলকে অবিলম্বে একটি রাজনৈতিক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। এ সপ্তাহে চলমান সঙ্কটের মধ্যস্থতায় ঢাকায় ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দূত পাঠাবে। এরই মধ্যে বান কি মুন ব্যক্তিগতভাবে এ অচলাবস্থা ভাঙার চেষ্টা করেছেন।---ডিনিউজ


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়