ঢাকা : ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনার পেছনে অর্থনৈতিক মোটিভ ছিল। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মোটিভও থাকতে পারে। এ বিদ্রোহের তথ্য আগে জানতে না পারার ঘটনায় ‘গোয়েন্দা দুর্বলতা’ পিলখানা হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে আদালত। অপারেশন ডাল-ভাত এর অর্থসংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরকে জড়ানো ঠিক হয়নি বলেও মনে করছে আদালত।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাজারদর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেয়, যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বিডিআরকে। এ মামলার শুনানিতে বিজিবির সিকিউরিটি ইউনিটের মেজর আরএমএম আসাদ-উদ-দৌলা আদালতকে জানান, বিদ্রোহ শুরুর চারদিন আগে (২১ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও ডালভাত কর্মসূচি নিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রচারপত্র পিলখানায় পাওয়া যায়।
আসাদ তার জবানবন্দিতে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার শুরুর পর মহাপরিচালক মেজর জেরারেল শাকিল আহমেদ ডালভাত কর্মসূচি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় সৈনিক মইন মঞ্চে উঠলে হৈচৈ শুরু হয়। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনার ব্যাপারে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, অপারেশন ডাল-ভাত’ কর্মসূচি একটি বড় কারণ। কোনো শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ‘অপারেশন ডাল-ভাত’ এর মতো কাজে যুক্ত রাখা উচিত নয়।
পিলখানার ভেতরে স্কুলগুলোতে বিডিআর জওয়ানদের সন্তানদের ভর্তি করতে পারার বিষয়ে আরও ছাড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে আরও স্কুল তৈরি করা যায় কি না, তা কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো বিডিআর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো যায় কি না, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ভেবে দেখতে পারেন।
এ ছাড়া সেনা সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে বিডিআর সদস্যরা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন। এ জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতো ২০ শতাংশ ভাতা তাদের পাওয়া উচিত। তাদেরকে ঝুঁকি ভাতা দেয়া যায় কি না, তাও দেখা উচিত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের কারণ হিসেবে সামরিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কারণ থাকতে পারে; যাতে আমাদের সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট করা যায়। কূটনৈতিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীকে উচ্ছশৃঙ্খল দেখানো, যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে গন্ডগোল থাকলে বাহিনীর মধ্যে উশৃঙ্খলতা থাকবে। এতে বিনিয়োগ হবে না। অর্থনৈতিক মেরুদ- দুর্বল করার জন্য হতে পারে। সামাজিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে নিরুৎসাহিত করার জন্য।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, আমাকে রায় দিতে হবে। আমার বিবেচনায় যা মনে হয়েছে তাই দিয়েছি। আসামিরা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। সকাল ১০টায় বিচারকার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। দুপুর ১২টার দিকে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আদালতে যান। সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
উল্লেখ্য, রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন।----ডিনিউজ
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাজারদর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেয়, যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বিডিআরকে। এ মামলার শুনানিতে বিজিবির সিকিউরিটি ইউনিটের মেজর আরএমএম আসাদ-উদ-দৌলা আদালতকে জানান, বিদ্রোহ শুরুর চারদিন আগে (২১ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও ডালভাত কর্মসূচি নিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রচারপত্র পিলখানায় পাওয়া যায়।
আসাদ তার জবানবন্দিতে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার শুরুর পর মহাপরিচালক মেজর জেরারেল শাকিল আহমেদ ডালভাত কর্মসূচি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় সৈনিক মইন মঞ্চে উঠলে হৈচৈ শুরু হয়। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনার ব্যাপারে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, অপারেশন ডাল-ভাত’ কর্মসূচি একটি বড় কারণ। কোনো শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ‘অপারেশন ডাল-ভাত’ এর মতো কাজে যুক্ত রাখা উচিত নয়।
পিলখানার ভেতরে স্কুলগুলোতে বিডিআর জওয়ানদের সন্তানদের ভর্তি করতে পারার বিষয়ে আরও ছাড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে আরও স্কুল তৈরি করা যায় কি না, তা কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো বিডিআর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো যায় কি না, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ভেবে দেখতে পারেন।
এ ছাড়া সেনা সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে বিডিআর সদস্যরা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন। এ জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতো ২০ শতাংশ ভাতা তাদের পাওয়া উচিত। তাদেরকে ঝুঁকি ভাতা দেয়া যায় কি না, তাও দেখা উচিত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের কারণ হিসেবে সামরিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কারণ থাকতে পারে; যাতে আমাদের সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট করা যায়। কূটনৈতিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীকে উচ্ছশৃঙ্খল দেখানো, যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে গন্ডগোল থাকলে বাহিনীর মধ্যে উশৃঙ্খলতা থাকবে। এতে বিনিয়োগ হবে না। অর্থনৈতিক মেরুদ- দুর্বল করার জন্য হতে পারে। সামাজিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে নিরুৎসাহিত করার জন্য।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, আমাকে রায় দিতে হবে। আমার বিবেচনায় যা মনে হয়েছে তাই দিয়েছি। আসামিরা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। সকাল ১০টায় বিচারকার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। দুপুর ১২টার দিকে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আদালতে যান। সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
উল্লেখ্য, রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন।----ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়