গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যোগাড় করা কোন তথ্যই প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে অজানা থাকেনা। ফিউশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করলেন তিনি।
ওবামা বলেন, জাতীয় নিরাপত্তাসংস্থাগুলোর কাজের উদ্দেশ্য একটাই, আর সেটা হলো আমেরিকার জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সেজন্যে তাদের সংগ্রহ করা সব তথ্যেরই সর্বশেষ ব্যবহারকারী আমি।
ওবামা আরো জানান, হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে নীতিগত নির্দেশনা এলেও, দক্ষতা বাড়াতে নিজেদের মতো করেই কাজ করে মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থাগুলো।
এদিকে, মিত্রদেশগুলোর ওপর গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়টির একটা ফয়সালা না হলে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আস্থার সম্পর্ক আর ফিরে আসবেনা বলেই মনে করছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। এ বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের ব্যাখা শুনতে ওয়াশিংটন সফর করছেন তাঁরা।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান বলেন, আবারো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের জানতে হবে কেন এরকম বিশাল পরিসরে,গণ নজরদারির ঘটনা ঘটেছে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গিলা মের্কেলের টেলিফোনে আড়ি পাতা, স্পেনের লাখ লাখ মানুষের টেলিফোন, ইমেইল এমনকি মোবাইলের এসএম এসএর ওপর নজরদারি, এসবই এখন অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম। সাবেক সিআইএ সদস্য এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যের কারণেই মিত্রদেশগুলোর সামনে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে ওবামা প্রশাসন।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়