Wednesday, September 11

না’গঞ্জে আ’লীগ-বিএনপিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা


নারায়ণগঞ্জ : প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ জেলা শহর সব দিক থেকেই সাড়া দেশের মাঝে অন্যতম। ব্যবসা বানিজ্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, রাজনীতি-অর্থনীতি। বর্তমানে সাড়া দেশের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক চিত্র কিছুটা ভিন্ন। জেলার ক্ষমতাশীন দলের উত্তর-দক্ষিণ মেরুর দ্বন্দ ও প্রধান বিরোধী দলের সংস্কারবাদী দ্বন্দ্বে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে দীর্ঘদিন থেকে। আইন শৃংখলার অবনতিসহ স্থানীয় সরকার ও এমপিদের বিরোধ নারায়ণগঞ্জ জেলার উন্নয়নে সব চেয়ে বড় বাধা বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছে। 
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে চলছে নান টানাপোড়ন। অন্যদিকে, জেলা বিএনপি’র সভাপতি’র সংস্কারবাদী বিরোধী অবস্থান একের পর এক নিত্য নতুন বিভেদ সৃষ্টি করছে। যার ফলে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পরস্পর বিরোধী কোন প্রকার রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহন করতে পারছে না। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান দলীয় ক্ষমতার বছরগুলোতে নাসিক নির্বাচনে পরাজায়সহ সাংস্কৃতিক কর্মী রফিউল রাব্বি‘র ছেলে ত্বকি হত্যা কান্ড নিয়ে বিপাকে রয়েছে। তার ওপর পরিবহন সেক্টরে চাদাঁবাজী বর্তমান সময়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখিন করছে এ নেতাকে। শহর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর সন্ত্রাস বিরোধী অনড় অবস্থান জেলার রাজনীতিতে উত্তর মেরু -দক্ষিণ মেরুর দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করছে বারংবার।
পক্ষান্তরে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি এড. আবুল কালামের পরস্পর বিরোধী অবস্থান এবং রাজানৈতীক কুট কৌশল দলের তৃনমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে একের পর এক বিভেদ সৃষ্টি করছে। নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহ্ আলম, অধ্যাপক মনিরুল আলম, চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। রূপগঞ্জে জেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপ, আড়াইহাজারের বদিউজ্জামান খান খসরু, সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ, এএফ ইকবাল, সোনারগাঁওয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, যুব উন্নয়ণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল, থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম মান্নান ওরফে বালু মান্নানসহ ৫টি আসনে প্রায় অর্ধশত প্রার্থী দলিয় মনোনয়নের প্রত্যাশী। তবে জেলা বিএনপি‘র সাথে অধিকাংশ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরোধ রয়েছে। তার ওপর বিএনএফ আতংকে রয়েছেন নেতা কর্মীরা। বিএনএফ জেলা ও উপজেলা কমিটির তালিকায় বিএনপির বিদ্রোহীদের নাম প্রকাশ হলেও অধিকাংশ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বিকার করেছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া যেখানে সংস্কারবাদীদের প্রশ্নে চুপ সেখানে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের বিভেদ সৃষ্টি করাকে অনেকে আওয়ামী ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা আলোচনা সমালোচনা হলেও কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনি ক্ষমতাশীনরা। প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী আগাম প্রস্তুতি নিলেও জেলা শহরে শামিম ওসমানের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। যদিওবা পূর্বেই তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন আগামীতে নারায়নগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী হবেন না। তার পরে জেলায় আওয়ামী লীগের তুমুর দ্বন্দ তৃনমূল থেকেই লক্ষ্য নিয়। এমপি সারাহ বেগম কবরী, ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, গাজী গোলাম দস্তগীর এমপি, কায়সার হাসনাত এমপি, আবুল কালাম, কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ প্রায় বিএনপি‘র সমপরিমান প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাশীন দলের।

কোন্দলে কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামীলীগ ও বিএনপি‘র হযবরল অবস্থার উন্নতি না হলে আগামীতে আন্দোলনের মৌসুমে সুযোগ কোন ৩য় পক্ষ গ্রহন করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতীক বিশ্লেষকরা  । ---ডিনিউজ



শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়