রোববার রংপুরে আঠারো দলীয় জোটের জনসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া

রংপুর: দীর্ঘ ১৪ বছর পর জনসভায় যোগ দিতে রংপুর আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। রোববার স্থানীয় জিলা স্কুল মাঠে আঠারো দলীয় জোটের এই জনসভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জনসভার প্রধান সমন্বয়ক লে. জে. (অবঃ) মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় (রংপুর বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ আঠারো দলীয় জোটের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি’র জেলা আহবায়ক মোজাফ্ফর হোসেন।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এক জনসভায় ভাসন দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৬ সালের ২৫ অক্টোবর কালেক্টরেট ভবন ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে এক ঘন্টার জন্য তিনি রংপুর এসেছিলেন। এরপর আর রংপুর আসেননি। তবে এ জেলার উপর দিয়ে বিভিন্ন জেলায় লংমার্চসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর তাঁর রংপুরে আসার ঘোষনায় চলছে নানা আয়োজন। কিভাবে তাকে বরণ করা হবে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের মতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রংপুরের ১৮ দলীয় জোটের মহাসমাবেশই হবে সরকার পতন আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। এ জনসভা সফল করার লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেল মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন আঠারো দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অবঃ) মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা আহবায়ক মোজাফ্ফর হোসেন, মহিলা নেত্রী সাহিদা রহমান জোৎস্না প্রমূখ।
সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগরীর মর্ডান মোড়ে ২৫টি ঘোড়া গাড়ীর বহর দিয়ে তাঁকে বরণ করে যাত্রা বিরতির জন্য সার্কিট হাউজে আনা হবে। চেকপোষ্ট থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে শিল্পীরা আদিবাসী, ভাওয়াইয়া এবং আঞ্চলিক গান ও নৃত্য পরিবেশন করবে। চারুকারু শিল্প দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে রাস্তার দু’ধার। এর পাশাপাশি বগুড়া থেকে রংপুর পর্যন্ত ৫ হাজার তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে পীরগঞ্জ থেকে রংপুর পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি। এজন্য কাজের তোড়জোর চলছে। জোরদার ভাবে চলছে মাইকে প্রচারের কাজ। গোটা নগরী ছেয়ে গেছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিলবোর্ড এবং জনসভার পোষ্টার, ব্যানার ও ফেষ্টুনে। বিশেষ করে জনসভাস্থল জিলা স্কুল মাঠের বাউন্ডারী ওয়াল লাগোয়া চারধার বেগম জিয়ার ছবি সম্বলিতবিল বোর্ডে ভরে গেছে।
তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রংপুরে সন্ধ্যা বা রাতে অবস্থান করার কথা না থাকলেও পুরো মহানগরীর প্রধান সড়ক জুড়ে ব্যাপক আলোক সজ্জা করা হয়েছে। ---ডিনিউজ