Monday, August 19

কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা : দুর্ভোগ

কক্সবাজার:  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগরে ৩নং সতর্ক সংকেত জারী অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে কক্সবাজার শহর হোটেলে মোটেল জোনের রাস্তাগুলো কাদায় ভরে গেছে। সেসাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। হোটেল মোটেল জোনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মেয়র সরয়ার কামাল  গত ২ আগস্ট  পৌর প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি । ফলে জলাবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। 
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানা যায়, ৩নং সর্তক সংকেতের কারনে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হযেেছ। লঘু চাপের কারণে কয়েক দিন ধরে মেঘলা আবহাওযা বিরাজ করছে সেই সাথে থেমে থেমে ও কোন কোন স্থানে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরের মাছ ধরারত সকল নৌ-যানকে নিরাপদে থেকে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অথচ পাচঁ শতাধিকেরও বেশী মৎস ট্রলার নির্দেশ অমান্য করে সাগরে মাছ শিকারে গেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার ১৮ আগস্ট সকাল ৬ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পযর্ন্ত ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলার কোন কোন স্থানে।
জানা যায়,বৈরী আবহাওযার কারণে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাস্তাঘাট জলাবদ্ধতা ও কাদাযুক্ত হওয়া এলাকা হচ্ছে বাজারঘাটা, পেশকার পাডা, রুমালিযারছরা উত্তর বাহারছড়া, সমিতিপাড়া, বড বাজার, ফুলবাগ, বৌদ্ধমন্দির সডক, ঘোনারপাডা, গোলদিঘীর পাড নিকটবর্তী মহল্লা, গাড়ীর মাঠসহ পুরো পর্যটন এলাকা। এসব এলাকায় পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তো নেই । তার উপরে মৌসুমী ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে নালা নর্দমা গুলো।  
তা ছাড়া দখল হয়ে যাওয়া পর্যটন এলাকার নালা নর্দমাগুলো এখনও পৌর কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে পারেনি। এত করে সামান্য বৃষ্টিতে শহরে ব্যাপক কাদা ও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এখনও বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে উত্তর বাহারছাডা মধ্য বাহারছড়ায় নিষ্কাশন ভেঙ্গে পড়ায় বৃষ্টির পানি যাতায়তে যেমনি বিঘিত হচ্ছে তেমনি অনেকের বাড়ীঘরেও প্রবেশ করছে । সব চেয়ে বড় সমস্যা হল বৃষ্টি কমলে পানি নেমে গেলেও ময়লা আবর্জনা ও কাদায় ভরা সড়কগুলিতে যাতায়ত সম্ভব হয় না বলে এলাকার ভোক্তভোগীরা জানান। 
এদিকে, হোটেল মোটেল জোন এলাকায় পয়নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে গড়ে তুলেছে বাণিজ্যিক ভবন। এক্ষেত্রে রাস্তার ড্রেনের পাশে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সবচেয়ে বেশী জলাবদ্ধতা হোটেল মোটেল জোনে। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হতে কলাতলী মোড় পর্যন্ত অল্প বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পর্যটকসহ স্থানীয়দের। রাস্তার পাশে ডোবা নামের ড্রেন থেকে পচা দুর্গন্ধ সৈকতের পরিবেশ হুমকির মুখে। বিশেষ করে গত বছর বর্ষা মৌসুমে এবং চলতি বর্ষামৌসুমে ভারী বর্ষণের ফলে হোটেল মোটল জোন এলাকায় দুর্ষিত বর্জ্য ও ড্রেনের ময়লাযুক্ত পানি রাস্তাপার হয়ে সাগরে পড়েছে। এ ছাড়াহোটেলমোটেলজোটের প্রায় সব রাস্তাই জল আর কাদায় ভরে যাওয়ায় পর্যটক সহ স্থানীয়রাও চরম দূর্ভোগে পড়ে গেছে। 
স্থানীয়রা বলেন, হোটেল মোটেল জোনসহ কলাতলী পর্যন্ত অপরিকল্পিত ও সরু ড্রেনেজের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক ফাইভ স্টার মানের হোটেল পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে এবং পর্যটকদের নিকট কক্সবাজারের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ থেকে উত্তোরণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।
অপরদিকে, গত ২ আগস্ট কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র সরওয়ার কামালহোটেলমোটেলজোনের রাস্তাগুলো পরির্দশন করেন।সে সময় তিনি রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখে সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৌর প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু এ পর্যন্ত সে নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে। ---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়