রাজশাহী: চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এরই মধ্যে চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা রয়েছেন মুখোমুখি অবস্থানে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সর্তক রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুতি নিয়েছেন বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে রাজাকারের পুত্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার। এজন্য তারা একটি সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করছেন। বসে নেই মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন তিনি।
নির্বাচনী কূট কৌশল ছাড়াও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। রাজশাহীর অনেক নামী-দামী আবাসিক হোটেল, বাসা-বাড়ি ও মেসে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন দলের সশস্ত্র ক্যাডার আর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন রাস্তার মোড়, চায়ের দোকান, খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন স্থান সরগরম করে রেখেছে তারা। এছাড়াও শালবাগান, হেতেম খাঁ, মেহেরচ-ী, বিনোদপুরসহ আশেপাশের এলাকায় চিহ্নিত ও দুর্র্ধষ শিবির ক্যাডার এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের একাধিক মামলার আসামিরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা চষে বেড়াচ্ছেন রাজশাহীর অলিগলি। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আদায়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতারও সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজশাহীর মাটি এখন উত্তাপ আর উত্তেজনায় ভাসছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্বাচনী উত্তেজনা যে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে যে কোনো সময়ই সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণেই এখন সময় যাচ্ছে বেশি। স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের প্রতিযোগিতায় হিমশিম খাচ্ছেন নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও। বুধবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত অভিযোগ জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে এদের মধ্যে ৩/৪টি ছাড়া অধিকাংশেরই নিষ্পত্তি হয়েছে।
এদিকে পুলিশের তালিকায় থাকা অতি গুরত্বপূর্ণ তথা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী নির্বাচনকালীন সহিংসতার আশঙ্কা করছেন। পুলিশ প্রশাসনও শুরু থেকে রাজশাহীতে সহিংসতার আশঙ্কা করে আসছেন।
রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিজিবি ৩৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সোলায়মান তালুকদার জানান, বিজিবি সদস্যরা নগরীর প্রধান সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে টহল দিচ্ছেন।
মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।” তিনি জানান, প্রতি কেন্দ্রে সশস্ত্র আনসার সদস্যসহ নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে র্যাব-পুলিশের পৃথক মোবাইল টিম কাজ করবে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ থাকবে। এছাড়াও প্রস্তুত থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা বরদাশত করা হবে না বলেও জানান তিনি।(ডিনিউজ)
সর্তক রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুতি নিয়েছেন বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে রাজাকারের পুত্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার। এজন্য তারা একটি সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করছেন। বসে নেই মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন তিনি।
নির্বাচনী কূট কৌশল ছাড়াও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। রাজশাহীর অনেক নামী-দামী আবাসিক হোটেল, বাসা-বাড়ি ও মেসে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন দলের সশস্ত্র ক্যাডার আর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন রাস্তার মোড়, চায়ের দোকান, খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন স্থান সরগরম করে রেখেছে তারা। এছাড়াও শালবাগান, হেতেম খাঁ, মেহেরচ-ী, বিনোদপুরসহ আশেপাশের এলাকায় চিহ্নিত ও দুর্র্ধষ শিবির ক্যাডার এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের একাধিক মামলার আসামিরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা চষে বেড়াচ্ছেন রাজশাহীর অলিগলি। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আদায়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতারও সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজশাহীর মাটি এখন উত্তাপ আর উত্তেজনায় ভাসছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্বাচনী উত্তেজনা যে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে যে কোনো সময়ই সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণেই এখন সময় যাচ্ছে বেশি। স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের প্রতিযোগিতায় হিমশিম খাচ্ছেন নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও। বুধবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত অভিযোগ জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে এদের মধ্যে ৩/৪টি ছাড়া অধিকাংশেরই নিষ্পত্তি হয়েছে।
এদিকে পুলিশের তালিকায় থাকা অতি গুরত্বপূর্ণ তথা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী নির্বাচনকালীন সহিংসতার আশঙ্কা করছেন। পুলিশ প্রশাসনও শুরু থেকে রাজশাহীতে সহিংসতার আশঙ্কা করে আসছেন।
রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিজিবি ৩৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সোলায়মান তালুকদার জানান, বিজিবি সদস্যরা নগরীর প্রধান সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে টহল দিচ্ছেন।
মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।” তিনি জানান, প্রতি কেন্দ্রে সশস্ত্র আনসার সদস্যসহ নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে র্যাব-পুলিশের পৃথক মোবাইল টিম কাজ করবে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ থাকবে। এছাড়াও প্রস্তুত থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা বরদাশত করা হবে না বলেও জানান তিনি।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়