Monday, June 17

হকির নির্বাচনে প্রার্থী জোয়ার : টাকার খেলা

ঢাকা:২৭ জুন অনুষ্ঠেয় হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে রীতিমতো  প্রার্থী জোয়ার। অনেকের অভিমত এবারকার হকি নির্বাচনে টাকার খেলা অতীতের যে কোনো সময়ের তূলনায় ভয়ঙ্কর অবস্থায় পৌঁছেছে। এর ফলেই এত প্রার্থী। ভোটার(কাউন্সিলর) ৭১। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬৪ জন । ২৮টি পদের জন্য ৩৭টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে খাজা রহমতউল্লাহদের পরিষদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের নেতা আশিকুর রহমান মিকু। অন্যদিকে,প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল্লাহ আল মুনির পরিষদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ২৮টি পদে। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, মোট ভোটারের প্রায় ৯০ শতাংশই প্রার্থিতা পেশ করেছেন। অনেকদিন হকি অঙ্গনে পা পড়েনি, এমন অনেকে আছেন এই তালিকায়।  এখন পর্যন্ত বাকি থাকবেন মাত্র ৭ জন কাউন্সিলর। যারা প্রার্থী হচ্ছেন না।
রহমতউল্লাহর পরিষদে একজন দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এই পরিষদ থেকে আটজনকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁরা বাদ পড়ে প্রতিপক্ষ পরিষদে চলে আসবেন, এমন দাবি মোহামেডান সমর্থনপুষ্ট শফিউল্লাহ পরিষদের। তবে রহমতউল্লাহ পরিষদের দাবি, কেউই বেরিয়ে যাবে না। তাই তাঁরা জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। রহমতউল্লাহর পরিষদে পাঁচটি সহসভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন আবদুস সাদেক, মীর্জা ফরিদ আহমেদ, সাব্বির ইউসুফ, আবদুর রশিদ, সৈয়দ মোস্তাক আলী ও জুম্মন লুসাই। শফিউল্লাহর পরিষদে সহসভাপতি প্রার্থী শামসুল বারী, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, সাজেদ আদেল, রইসউদ্দিন। এই নির্বাচন নিয়ে গোটা হকি অঙ্গন বিভক্ত। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ বললেন, সমঝোতার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। শফিউল্লাহর কথা, ৭০ ভাগ ক্লাব আমাদের সঙ্গে। ঢাকার বাইরের সমর্থনও আমরা বেশি পাব। মোট কথা জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় হকির বর্তমান এই অবস্থা। বর্তমানে দেশে ক্রিকেট,ফুটবলের পরপরই হকির অবস্থান। তাই হকির দিকে সবার নজর । এর ফলে হয়তবা হিতে বিপরীত হয়ে দেখা দিতে পারে।(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়