Friday, June 28

১৫৪টি শিল্প কারখানা পরিবেশ দূষণ করছে

ঢাকা : শিল্প কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্যের মাধ্যমে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। দেশের ১৫৪টি শিল্প-কারখানাকে ইতোমধ্যেই পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনযোগ্য শিল্প ইউনিট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে টেবিলে উপস্থাপন করা প্রশ্নোত্তর পর্বে শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সংসদকে এ কথা জানান।

আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে নাটোর চিনিকলে ইটিপি প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ফরিদপুর ও জয়পুরহাট চিনিকলে ইটিপি প্লান্ট স্থাপন করার জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের গঠিত টাস্কফোর্স ১০টি বিসিক শিল্প নগরী সরেজমিনে পরিদর্শন করে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন সংক্রান্ত প্রতিবেদন শিল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে। সারাদেশে চার হাজার ৪৬২টি শিল্প কারখানার মধ্যে ২৭টি শিল্পনগরীর ১৫৪টি শিল্প কারখানাকে ইটিপি স্থাপনযোগ্য শিল্প ইউনিট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৯টি কারখানায় ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া ১৩টি শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপনের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে।

বেগম নাসরিন জাহান রতনার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতায় ১৫টি চিনিকল চলতি অর্থ বছরে এক লাখ সাত হাজার ১২৩ মেট্রিক টন চিনি উত্পাদন করেছে। উত্পাদিত চিনি দেশের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। একই বিষয়ে অপু উকিলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৩-২০০৪ অর্থ বছর থেকে দেশে চিনি উত্পাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আখ চাষীদের আখ আবাদের জন্য ভর্তুকি হিসাবে সরকারি অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

রাশেদা বেগম হীরার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিসিআইসি'র অধীনে সরকারি মালিকানায় ছয়টি ইউরিয়া, একটি টিএসপি এবং একটি ডিএপি সার কারখানা রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে গত ১৮ জুন পর্যন্ত উত্পাদন হয়েছে ১০ রাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। দেশে উত্পাদিত সার দিয়ে শতকরা ৪০ ভাগ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। অবশিষ্ট ইউরিয়া সার আমদানি করতে হয়।(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়