কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর মূল উৎসস্থল মাঞ্জরি, আপারমুখ, বড়গ্রাম এলাকায় গত দু’দিন ধরে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্পের জওয়ানরা। বিজিবি কর্তৃক কোয়ারির মূল উৎসস্থলে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় শত শত বারকি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। বারকি শ্রমিকরা স্থানীয় সাংবাদিকদের কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনে যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলামকে পূর্বে প্রতিদিন বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদার মাধ্যমে উত্তোলন করা প্রতিদিন ২৫হাজার টাকা করে দেওয়া হত। সম্প্রতি গত কয়েকদিন ধরে পাথর মজুদের উৎসস্থল লোভানদীর পানি কমে যাওয়ায় শত শত পাথর শ্রমিকরা প্রতি বছরের ন্যায় মাঞ্জরি, আফা, রাজবাড়ি ও বড়গ্রাম নামক স্থান থেকে নৌকা দিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করলে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করে লোভাছড়া ক্যাম্প কর্তৃপ। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম ক্যাম্পে যোগদানের পর থেকে কথায় কথায় পাথর কোয়ারীটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অযুহাত তোলে বন্ধ করে দেন। গত কয়েকমাস ধরে পাথর কোয়ারীতে আর্ন্তজাতিক সীমা রেখার দোহাই দিয়ে কোয়ারীর মুল উৎসস্থল মাইঞ্জরি, আফারমুখ, রাজবাড়ী এলাকা থেকে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলনে বিজিবি জওয়ানরা বাঁধা প্রদান করলেও রাঁতের আধারে জওয়ানরা তাদের মনোনিত শ্রমিকদের দিয়ে নৌকা প্রতি হাজার টাকা আদায় করে উক্ত স্থান থেকে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ায় কোয়ারীতে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। দুই দিন ধরে কোয়ারির মূল উৎস স্থলে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় একদিকে শত শত বারকি শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন, অপরদিকে সরকার এ কোয়ারী থেকে বিরাট অংশের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাথর শ্রমিকরা ােভ প্রকাশ করে বলেন, গত দু’দিন ধরে বিজিবি জওয়ানরা মুলাগুল বাজারের উজানে পাথর কোয়ারীর মুল উৎসস্থলে সব ধরনের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। পাথর উত্তোলন কাজে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিকরা জানান বাংলাদেশ সীমান্তের নোমেন্স ল্যান্ডের দেড়শ গজ বাহিরে অবস্থিত লোভা নদীর মাঞ্জরি, আফারমুখ, বড়গ্রাম থেকে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের সীমান্ত রি বিএসএফ’র বাঁধা ছাড়াই পাথর উত্তোলন করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে বিজিবি জওয়ানদের চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন তারা। কোয়ারী থেকে নির্বিঘেœ পাথর উত্তোলনের জন্য সরকারের হস্তপে কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে দায়িত্বে থাকা হাবিলদার রাশিদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাথর শ্রমিকদের কাছ থেকে বিজিপি ক্যাম্পের নামে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি তিনি জ্ঞাত নন। তিনি ৩দিন পূর্বে ক্যাম্পে যোগদান করেছেন। পাথর কোয়ারীর মূল উৎসস্থল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নোমেন্স ল্যান্ডের ভিতরে অবস্থিত সীমান্তের ১৩২৬ পিলারের আশপাশ এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে, তবে মুলাগুল নয়বাজার এলাকা থেকে শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়