Previous
Next

সর্বশেষ


Wednesday, December 10

জাতীয় ছাত্রশক্তির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে তাওফীক এলাহী তাকরীম

জাতীয় ছাত্রশক্তির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে তাওফীক এলাহী তাকরীম


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক ও সহযোগী ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (AIUB)-এর শিক্ষার্থী তাওফীক এলাহী তাকরীম।

গত ৩ ডিসেম্বর গঠিত পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেশকে ১০টি বিভাগে ভাগ করে সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাওফীক এলাহী তাকরীমকে। তিনি এর আগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

দায়িত্ব প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে তাওফীক এলাহী তাকরীম বলেন,“২৪-এর অভ্যূত্থানের পর নতুন দেশ ও নতুন ছাত্ররাজনীতির প্রত্যাশায় আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।”

তিনি আরও জানান, গ্রুপিং-বিহীন, শিক্ষার্থী-বান্ধব রাজনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যেই তিনি সিলেট বিভাগে কাজ করবেন এবং দেশের নতুন পথচলায় জাতীয় ছাত্ররাজনীতিতে কার্যকর অবদান রাখতে চান।

বর্তমানে তিনি AIUB-এর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত। ২৪-এর অভ্যূত্থানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

তাওফীক এলাহী তাকরীমের গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোটদেশ গ্রামে।

Tuesday, December 9

সিলেট টাইটান্সের উপদেষ্টা  ফাহিম আল চৌধুরী

সিলেট টাইটান্সের উপদেষ্টা ফাহিম আল চৌধুরী


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট অঞ্চলের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পেশাদার ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট টাইটান্স-এর নতুন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফাহিম আল্ চৌধুরী। সিলেটের ক্রিকেট অঙ্গনকে আরও এগিয়ে নিতে পরিচিত এই সামাজিক ও মানবিক ব্যক্তিত্বকে দলে যুক্ত করার কথা শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট টাইটান্স-এর চেয়ারম্যান সামি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ঘোষণা করেন।

জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের শাহবাগ মহিদপুরের বাসিন্দা ফাহিম আল্ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট-এর মাধ্যমে জকিগঞ্জ, কানাইঘাটসহ সিলেট অঞ্চলে শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে তাঁর অবদান তাকে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও প্রশংসিত করেছে। এবার সিলেট টাইটান্সে যুক্ত হয়ে তিনি সিলেটের ক্রিকেট উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

চেয়ারম্যান সামি বলেন, “ফাহিম আল্ চৌধুরীর মতো নেতৃত্বগুণসম্পন্ন, কৌশলী এবং সক্ষম একজন ব্যক্তিকে দলের উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। তাঁর নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা সিলেট টাইটান্সকে আরও শক্তিশালী ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।”

উপদেষ্টা মনোনীত হয়ে ফাহিম আল্ চৌধুরী বলেন, “আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় আমি সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ। সিলেট টাইটান্স পরিবারের প্রতি আমার মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ। ন্যায়, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাই হবে আমার প্রতিশ্রুতি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সিলেট আমাদের গর্ব, আমাদের আবেগ। খেলাধুলা সততা ও স্বচ্ছতার মধ্যেই সুন্দর। কোনো অনৈতিক প্রভাব দেখলে আমি এক মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নেবো। কিন্তু সিলেট টাইটান্সের সাফল্যের জন্য আমি সবসময় পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।”

ফাহিম আল্ চৌধুরী বিশ্বাস করেন, সমর্থকদের দোয়া, খেলোয়াড়দের পরিশ্রম এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঠিক দিকনির্দেশনায় এবার সিলেটে আসবে কাঙ্ক্ষিত বিপিএল ট্রফি কারণ সিলেট সেরাটাই পাওয়ার যোগ্য।

কানাইঘাটে খেলাফত মজলিসের ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কানাইঘাটে খেলাফত মজলিসের ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট-৫ (কানাইঘাট–জকিগঞ্জ) আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত ও ৮ দল সমর্থিত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি আবুল হাসান বলেছেন, “আগামী সংসদ হবে ইসলামের। অতীতে অনেক দল ক্ষমতায় থাকলেও তারা দেশের কল্যাণ ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্য ছিল; কিন্তু ২৪শের ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।“

তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায় এবং সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে ইসলামী দলগুলো এক কাতারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কানাইঘাট–জকিগঞ্জ জনপদের উন্নয়ন বহুদিন ধরেই পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আসন্ন নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের প্রতীক দেয়াল ঘড়ি মার্কায় রায় দেওয়ার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কানাইঘাট পূর্ব বাজারে উপজেলা ও পৌর খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আমানুর রহমান চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আমিমুল ইহসান শামীম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদ,সহ-সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সালাম,জেলা সহ–সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শিব্বির আহমদ

বক্তারা সিলেট-৫ আসনে ৮ দলীয় জোটের বিজয় নিশ্চিত করতে মুফতি আবুল হাসানকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ছাত্র ও যুব মজলিসের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা তারিকুল ইসলাম, শেখ মাওলানা আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুল জলিল, শাহজাহান মো. সেলিম, মো. জাকারিয়া, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিসবাহ, মাওলানা এখলাছুর রহমান, আবু বক্কর সিদ্দিক, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আব্দুর রব চৌধুরী, মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, মাওলানা ফারুক আহমদ, হাফিজ আব্দুল হালিম, আব্দুল কুদ্দুছ, শাহ জাহান সেলিম, খাইরুল ইসলাম এবং ছাত্রনেতা সালমান আহমদ।

সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং আগামী নির্বাচনে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

কানাইঘাটে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও রোকেয়া দিবস উদযাপন

কানাইঘাটে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও রোকেয়া দিবস উদযাপন


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় কানাইঘাটে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অফিসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫ উদ্যাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী পরবর্তী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও অদম্য নারী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশ^জিৎ রায়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জিলানী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী পনিরুজ্জামান, থানার এস.আই শৈলেশ দাস, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাস্টার মহি উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুর রহমান, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী রানী দাস, রোকশানা জাহান, মানবাধিকার কর্মী মুহিবুর রহমান, উপজেলার সফল জননী নারী মিনু বালা রায়।

বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, বিপুল সংখ্যক নারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও কর্ম উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাকিল বলেন, নারী-পুরুষের সমন্বিত উদ্যোগ সহ কর্মদক্ষতার কারনে দেশের অর্গগতি অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখনও সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়নি। বিশেষ করে কন্যা শিশু ও মেয়েরা নানাভাবে নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হলে আমাদের সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে এবং নারীদের তাদের অধিকারের ব্যাপারে আরো সোচ্চার হতে হবে। সেই সাথে তিনি নারী ও কন্যা শিশুরা যাতে করে সাইবার বুলিং এর স্বীকার না হন এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার সফল জননী নারী মিনু বালা রায়কে সম্মাননা স্মারক প্রদান সহ ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাকিল।

কানাইঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন

কানাইঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের কানাইঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস-২০২৫ পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাস্টার মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান শাকিল।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, সূধীজন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জিলানী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী পনিরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) শামসুন নাহার, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুল হক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, থানার এসআই শৈলেশ দাস, কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান ও সুহেল আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মেহেদী হাসান শাকিল বলেন,“দুর্নীতি সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য এক গুরুতর ব্যাধি। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও নানা রূপে দুর্নীতি বিদ্যমান। ধর্মীয় চর্চা, সামাজিক আন্দোলন ও দেশপ্রেম জাগ্রতির মাধ্যমে এ অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন,“রাষ্ট্রের সমন্বিত উদ্যোগ ও জনগণের সচেতনতার ফলে দুর্নীতি মোকাবিলায় আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। তরুণ ও শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। কানাইঘাটের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।”

পরিশেষে তিনি দূর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

Monday, December 8

বিজয় দিবস উদযাপনে কানাইঘাটে প্রস্তুতি সভা

বিজয় দিবস উদযাপনে কানাইঘাটে প্রস্তুতি সভা


নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস এবং ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক   সভা   সোমবার   (৮   ডিসেম্বর)   সকাল   ১১টায়   উপজেলা  পরিষদ   মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। 

নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান শাকিলের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী   ও   সূধীজনদের   উপস্থিতিতে   প্রস্তুতি   মূলক   সভায়   ১৪ই   ডিসেম্বর   শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে   ১৬ই   ডিসেম্বর   মহান   বিজয়   দিবসের   সকল   অনুষ্ঠান   কানাইঘাটে   উৎসবমুখর পরিবেশে   উদ্যাপন   করতে   বিজয়   দিবসে   সর্বসাধারণের   স্বতঃস্ফুর্ত   উপস্থিতির   আহবান জানান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাকিল। 

সেই সাথে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে করতে প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায়  উপস্থিত ছিলেন,  উপজেলা  সহকারী কমিশনার  (ভূমি)  তাপস চক্রবর্তী  তুষার,  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ  সুবল চন্দ্র বর্মণ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিশ্বজিৎ রায়, থানার এস.আই সাইফুল, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মুফিদুল হক, উপজেলা ফায়ার ব্রিগেড স্টেশনের কর্মকর্তা কাদির আহমদ, সাতবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীম, মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান,   সিলেট   জেলা  বিএনপির  উপদেষ্টা  মন্ডলীর   সদস্য  সাবেক  কাউন্সিলর  আবিদুর  রহমান, বড়চতুল   ইউপির   সাবেক   চেয়ারম্যান   কেন্দ্রীয়   জমিয়ত   নেতা   মাও.   আবুল   হোসেন   চতুলী, উপজেলা   মুক্তিযোদ্ধা   সংসদের   সাবেক   কমান্ডার   নাজমুল   হক,   নুরুল   হক,   বীরমুক্তিযোদ্ধা সুবেদার  আফতাব   উদ্দিন,  উপজেলা বিএনপির  সাংগঠনিক   সম্পাদক খসরুজ্জামান পারভেজ, উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাও. আলতাব হোসেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধা-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার সলীল চন্দ্র দাস, কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি   শিক্ষক   আব্দুস   শুক্কুর,   উপজেলা   ছাত্র   জমিয়তের   সভাপতি   মাও.   গিয়াস   উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মীম সালমান সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Sunday, December 7

কানাইঘাটের উন্নয়নে সহযোগিতার আহ্বান নবাগত ইউএনওর; সভা বয়কট করল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো

কানাইঘাটের উন্নয়নে সহযোগিতার আহ্বান নবাগত ইউএনওর; সভা বয়কট করল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল রাজনৈতিক দল ও সূধীজনদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাকিল বলেন ,তিনি গত মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। যোগদান করার পর এটি তার প্রথম মতবিনিময় সভা। তিনি বলেন ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকে কানাইঘাট একটি মর্যাদাপূর্ণ জনপদ। এখানকার এলাকা যেন প্রকৃতি কন্যার আঁচলে ঢাকা। এখানকার দৃশ্য অনেক সুন্দর এবং পর্যটন সম্ভবনাময় একটি এলাকা। পাশাপাশি কানাইঘাটে লোভাছড়ার মত একটি প্রাচীনতম পাথর কোয়ারী রয়েছে। কানাইঘাটকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিতে এবং এখানকার মানুষজনের প্রত্যাশা পূরণে তার উপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব নিষ্টার সাথে পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আজকের মতবিনিময় সভায় আপনারা যেসব মতামত তুলে ধরেছেন তা বাস্তবায়নে আমি চেষ্টা করে যাবো। বিশেষ করে আগামী ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রয়োজনী সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করা, উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্তিতি উন্নয়ন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলন বন্ধ ও মাদক নিয়ন্ত্রনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জবাবদিহিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। 

এছাড়াও নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাকিল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরে সরকারি সেবা বিধি অনুযায়ী নিশ্চিত করা হবে এ ক্ষেত্রে কোন ধরণের অনিয়ম-দূর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তার এই দায়িত্ব পালনে সব ধরণের ভুল বুঝাবুঝির উর্ধ্বে উঠে কানাইঘাটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সূধীজন ও গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেন। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাপস চক্রবর্তী তুষার, কানাইঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর কবির। রাজনৈতিক ও সূধীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা নজির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফয়জুল হাসান, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাষ্টার মহি উদ্দিন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলার শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার সলিল চন্দ্র দাস, উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা বিলাল আহমদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভজন লাল দাস, সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মীম সালমান, চতুল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলা উদ্দিন বাদল, সাধারণ সম্পাদ কাওসার আহমদ জনি, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুমিন রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সুজন চন্দ অনুপ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয়নাল আজাদ, সদস্য শাহীন আহমদ, উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি হাবিব আহমদ, প্রচার সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াহইয়া, ব্যবসায়ী জয়নাল আহমদ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

এদিকে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাকিলের মতবিনিময় সভায় কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জমিয়তে উলাম ইসলাম সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কোন নেতৃবৃন্দকে দেখা যায়নি।




কানাইঘাট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

কানাইঘাট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক:

তিহ্যবাহী কানাইঘাট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভা রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুমিন রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সুজন চন্দ অনুপ, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয়নাল আজাদ, তথ্য প্রযুক্তি ও পাঠাগার সম্পাদক মাহফুজ সিদ্দিকী। 

জরুরী সভায় কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুমিন রশিদকে জড়িয়ে ফেইসবুকে উদ্দ্যেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা-বানোয়াট অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেই সাথে সভায় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত সদস্যদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যৎতে সাংবাদিকদের মধ্যে বিবেধ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও কানাইঘাটের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রেসক্লাবের সদস্যদের নিষ্টার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য সভা থেকে আহবান জানানো হয়।   




Saturday, December 6

কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এমএ রকিবের সহধর্মিণীর ইন্তেকাল,দাফন সম্পন্ন

কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এমএ রকিবের সহধর্মিণীর ইন্তেকাল,দাফন সম্পন্ন


নিজস্ব প্রতিবেদক :

কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান, দানবীর ও শিক্ষানুরাগী মরহুম এমএ রকিবের সহধর্মিণী দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ নয়াগ্রাম নিবাসী মোছাম্মদ বদরুন নেছা ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে সিলেট শহরের হাউজিং এস্টেটের নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

একই দিন বাদ আছর সিলেট শহরের নয়াসড়ক জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বদরুন নেছার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। পরে তাঁকে মানিকপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বড়দেশ এলাকার স্থানীয়রা জানান, বদরুন নেছা সবসময় এলাকার অসহায় মানুষদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। তিনি ছিলেন অতিথিপরায়ণ, মানবিক এবং সমাজসেবামূলক কাজে অগ্রগামী। তাঁর স্বামী মরহুম এমএ রকিব ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী দানবীর, যিনি নারীদের শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে কানাইঘাটের একমাত্র রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনন্য।

এদিকে মরহুমার সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের বিগত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুজ্জামান বাহার তাঁর মায়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।




Friday, December 5

কানাইঘাটে টাকার দ্ব ন্দ্বে সাইফুল হ ত্যা ! সুমনকে কুলাউড়া থেকে পাকড়াও

কানাইঘাটে টাকার দ্ব ন্দ্বে সাইফুল হ ত্যা ! সুমনকে কুলাউড়া থেকে পাকড়াও


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে চোরাচালানের ব্যবসার ২ লাখ টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সাইফুল ইসলাম (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২ নম্বর আসামি সুমন আহমদ (২৫) কে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সুমন বাঙ্গালীপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহা-আলম ও এসআই নুর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি শাকিলের পিতা আব্দুল হান্নান হানইকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহা-আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে চোরাচালানের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে শাকিল ও সুমন মিলে সাইফুল ইসলামকে শাকিলের বাড়ির টিলার উপরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টিলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়।

ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা মো. ছলু মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২–১ জনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০১, তারিখ: ০২/১২/২৫ইং)।

কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানান, প্রধান আসামি শাকিলসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Thursday, December 4

কানাইঘাট হানাদার মুক্ত দিবস আজ

কানাইঘাট হানাদার মুক্ত দিবস আজ


মাহবুবুর রশিদ :

জ ৪ ডিসেম্বর। কানাইঘাট মুক্ত দিবস। উপজেলাবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় এ জনপদ। সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা কানাইঘাটকে হানাদার মুক্ত করেন। এরপর থেকে এই দিনটি কানাইঘাট মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। 

বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলাপ করে জানা যায় , ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর কানাইঘাটকে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা ৩ ডিসেম্বর রাতে পাক-হানাদার বাহিনীকে বিভিন্ন দিকে থেকে ঘেরাও করেন। ৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব মেজর জেনারেল চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) আর পাক বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন বসারত। মুখোমুখি লড়াইয়ের একপর্যায়ে পরাজয় বরণ করে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। আর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা কানাইঘাট উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন। 

মুক্তিযুদ্ধকালের অন্যতম স্মরণীয় যুদ্ধ হলো কানাইঘাটের যুদ্ধ। কানাইঘাটে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। সম্মুখ যুদ্ধে নিহত অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর ও স্মৃতিসৌধ এখানে রয়েছে।

১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে বীরত্বের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা বহু মা-বোনের ইজ্জত হরণ করার পাশাপাশি শত শত বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেয়। কিন্তু থেমে থাকেনি মুক্তিকামী জনতা। ৪ ডিসেম্বর শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে কানাইঘাটকে মুক্ত করে বিজয়ের স্বাদ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন।

কানাইঘাট উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজমুল হক বলেন,'১৯৭১ সালের ৩ডিসেম্বর রাতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়,দীর্ঘ সময়ে যুদ্ধ করে শত লাশের বিনিময়ে ৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় কানাইঘাট।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম বলেন,'১৯৭১ সালে আমি প্রায়ত মেজর জেনারেল চিত্তরঞ্জন দত্তের (সি আর দত্ত) এর অধীনে ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করি। সিলেটের কানাইঘাট,গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় ভারি অস্ত্র নিয়ে আমার যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন,'সেদিন আমার সাথে আব্দুল খালিক ও মকবুল হোসেন নামে আমাদের এলাকার দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন,আমাদের ক্যাম্প ছিলো লালাখাল। ৪ ডিসেম্বর আমরা কমান্ডারের নির্দেশে বড়বন্দ এলাকার হাজি মুছব্বির সাহেবের বাড়ি থেকে অপারেশন চালাই। পাক হানাদার বাহীনির সাথে আমাদের তুমুলযুদ্ধ হয়,একপর্যায়ে তারা পিছু হটলে মুক্ত হয় কানাইঘাট।

প্রতি বছর এই দিনে কানাইঘাট মুক্ত দিবস স্মরণে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়ে থাকে।


Wednesday, December 3

কানাইঘাটের নবাগত ইউএনও হিসেবে মেহেদী হাসান শাকিলের যোগদান

কানাইঘাটের নবাগত ইউএনও হিসেবে মেহেদী হাসান শাকিলের যোগদান


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসাবে যোগদান করেছেন মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল। গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবাগত ইউএনও মেহেদী হাসান শাকিল। 

৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে এ কর্মকর্তা এর আগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ঢাকায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার পূর্ব আদালত পাড়া গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত।

সম্প্রতি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে মাঠপর্যায়ে ইউএনও পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বদলী ও পদায়ন করা হয়। বদলীর সরকারি আদেশে মেহেদী হাসান শাকিল কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন হয়ে যোগদান করেন। বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলী করা হয়েছে।

দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক মহল, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন নবাগত ইউএনও মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল। তিনি বলেন, কানাইঘাটের সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড জবাবদিহিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সহ সরকারের নির্দেশনাগুলো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করতে চান তিনি।

Tuesday, December 2

কানাইঘাটে বিদায়ী ইউএনও’র আবেগময় ফেসবুক স্ট্যাটাস

কানাইঘাটে বিদায়ী ইউএনও’র আবেগময় ফেসবুক স্ট্যাটাস


নিজস্ব প্রতিবেদক:

দলির আদেশ পাওয়ার পর কানাইঘাট উপজেলাবাসীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ছিল কানাইঘাটে তার শেষ কর্মদিবস। দায়িত্ব পালনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুপুরে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি সেই আবেগঘন বার্তাটি প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসে ইউএনও তানিয়া আক্তার উল্লেখ করেন, কানাইঘাটে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, সহযোগিতা ও শ্রদ্ধা। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, মানুষের আন্তরিকতা এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতাগুলো তার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

কানাইঘাট নিউজের পাঠকদের জন্য ইউএনও’র লেখা স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

"আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কানাইঘাটবাসী

১০ মাস ১৫দিন দায়িত্ব পালন শেষে সরকারি আদেশে বদলি হয়ে যাচ্ছি। একাধারে দায়িত্ব পালন করেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা পরিষদের প্রশাসক, প্রশাসক, কানাইঘাট পৌরসভা,সহকারী কমিশনার (ভূমি)  অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব ও বহু স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ সরকার প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব । সঙ্গত কারণেই পুরোটা সময়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে দপ্তরে, বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠানে, হাটে ও মাঠে। স্বল্প সময়ে সব জায়গায় সব মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পারিনি, এই দুঃখবোধটা রয়ে গেল। কানাইঘাট  উপজেলার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক, সেগুলো অনুসন্ধান করে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক-সামাজিক ঐক্য কানাইঘাটবাসীর রয়েছে। এটিই এই উপজেলার মূল শক্তি। কানাইঘাট এর সকল অনাগত সন্তান সুন্দর ভবিষ্যত পাক,বর্তমান প্রজন্ম বেড়ে উঠুক আপন মহিমায়, এবং সকল সন্তান সূর্য সন্তান হিসেবে  সন্মানিত হোক। এই শক্তি কানাইঘাট  অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাক- এই আশাবাদ নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  সর্বোপরি সকল সম্মানিত নাগরিক বৃন্দ,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রেসক্লাব সহ সমাজের দর্পন তূল্য সম্মানিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্য বৃন্দ সকল শ্রেণি ধর্মীয় ব্যক্তি, পেশা, কলাকৌশলী সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা, সম্মান, স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছি।সবার প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা। 

জানা,অজানায় যদি কারো মনোকষ্টের কারণ হয়ে থাকি নিজগুণে ক্ষমা করবেন। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আলেম উলামার ঘাটি কানাইঘাট হৃদয়ে  থাকবে আজীবন।

সবসময়ই ভালো থাকুক, প্রিয় কানাইঘাটবাসী।

আল্লাহ হাফেজ।