ডেস্ক নিউজ :
‘আমি ছেলে ধরা না, আমি ছেলে ধরা না’ বাঁচার এ আকুতিও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তাসলিমা বেগম রেনুকে। গণপিটুনির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এরপরও চলতে থাকে গণপিটুনি। একপর্যায়ে নিভে যায় জীবন প্রদীপ।
শনিবার সকালে ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর
উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে তাসলিমা হত্যার
ঘটনা এভাবে বর্ণনা দিয়েছে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
সোমবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাসিন্দা নাজমুল হক। তিনি বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাড়িতে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, ঘুম থেকে উঠেই শুনি গণ্ডগোল চলছে
বাইরে। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি স্কুলের ভেতরে অনেক লোক ‘মার মার’ বলে
চিৎকার করছে। সে সময় জোরে জোরে এক নারী চিৎকার করে বলছেন, ‘আমি ছেলেধরা না,
আমি ছেলেধরা না।।
মো. সোলাইমান নামের এক স্থানীয় সবজি দোকানি
বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে সময় একজন লাঠি
নিয়ে ভেতরে যাচ্ছিল। তাকে আমি চিনি না। সে ‘ছেলেধরাকে মার’ বলতে বলতে ভেতরে
যায়। পরে আমি যখন স্কুলের ভেতরে গেলাম, তখন ওই নারীটির শরীর আর নড়ছে না।
তখনো দুজন মারছে! ভাবা যায়?
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়