প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর দৃষ্টিতে সেরা ১০ জন মানুষ।
(এক) রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে
এবং অন্যকে শেখায়। ’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৫০২৭)।
(দুই) রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের
মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬০৩৫)।
(তিন) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। ’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ২৩০৫)।
(চার) রাসূলে করিম (সা.)
ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই
কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর :
২২৬৩/২৪৩২)।
(পাঁচ) রাসূলে করিম (সা.)
ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের
কাছে ভালো।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর : ৪১৭৭)।
(ছয়) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ ও কর্ম ভালো হয়।’ (জামিউল আহাদিস, হাদিস : ১২১০১)।
(সাত) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানবতার জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী।’ (সহিহুল জামে, হাদিস নম্বর : ৩২৮৯)।
(আট) মহানবী (সা.) ইরশাদ
করেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা
জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু
পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে অন্তর
স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই
খেয়ানত ও বিদ্বেষ।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৩২৯১)।
(নয়) মহানবী (সা.) ইরশাদ
করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর
আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’
(তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৯৪৪)।
(দশ) রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে
বেশি সুন্দর।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৩৫৫৯)।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম
উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর দৃষ্টিতে সেরা
মানুষগুলোর গুণাবলীতে পরিপূর্ণ করে দিন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়