Sunday, May 5

শ্রীলংকায় ছুরি-তলোয়ার জমা দেয়ার নির্দেশ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:

সব ধরনের তলোয়ার ও বড় আকারের ছুরি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জমা দেয়ার জন্য দেশের জনগণের প্রতি নির্দেশ জারি করেছে শ্রীলংকা সরকার। সম্প্রতি ইস্টার সানডে’তে ভয়াবহ বোমা হামলার পর শ্রীলংকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

লংকান পুলিশের মুখপাত্র রাবন গুনাসেকারা জানিয়েছেন, রোববারের মধ্যে এসব ধারালো অস্ত্র কাছের থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে নাগরিকদের। তবে দৈনন্দিন কর্মকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি বা যেসব ধারালো অস্ত্র রাখতে লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না, সেগুলো এর আওতায় আসবে না বলে জানিয়েছে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
ইস্টার সানডের ভয়াবহ হামলার পর শ্রীলংকাজুড়ে জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে নাগরিকদের কাছ থেকে।
গেল ২১ এপ্রিল কলম্বোসহ তিন শহরের তিনটি গির্জা ও চারটি পাঁচতারা হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় পাচঁশতাধিকেরও বেশি লোক।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আর শ্রীলংকা সরকারের ধারণা, স্থানীয় দুটি জঙ্গি দল কোনো বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগিতায় ওই হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে সতর্ক করে বলেছে, আরো সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে শ্রীলংকার সামনে। জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর ছদ্মবেশে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে শ্রীলংকা সরকার।
রাবন গুনাসেকারা জানান, ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি কারও কাছে পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর পোশাকের মত দেখতে কোনো ক্যামোফ্লাসড পোশাক থেকে থাকলে তাও জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ রোববারের মধ্যে এসব অস্ত্র বা পোশাক থানায় জমা দিলে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে কি-না; এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা শনিবার রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইস্টার সানডের হামলায় সম্পৃক্ততা ছিল- এরকম ২৫ থেকে ৩০ জন এখনও পলাতক বলে তাদের ধারণা।
এর আগে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হামলা নিয়ে কথা বলেন শ্রীলংকার সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহেশ সেনানায়েকে। তিনি বলেন, সম্ভবত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ নিতে হামলাকারীরা ভারতের কাশ্মির, কেরালা ও বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিল। তবে তাদের সেখানে যাওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে লংকান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়