বর্তমানে ই-সিগারেটে অনেকটাই ঘুঁকেছেন
ধূমপায়ীরা। অনেকেই অতিরিক্ত সিগারেট খাওয়া কমাতে বা ফ্যাশনের জন্য
ই-সিগারেটে আসক্ত হয়েছেন। আবার কেউ সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে
ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটের শরণাপন্ন হন। একটি নতুন গবেষণায় জানা
গিয়েছে, এতে হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা এবং প্রদাহসহ অসংখ্য শ্বাস প্রশ্বাস
সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যেতে পারে। এই ধরণের ই-সিগারেটে মাইক্রোবায়াল
বিষক্রিয়া হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
আরো জানা গেছে, এই পণ্যগুলোর ২৭ শতাংশেই
এন্ডোটক্সিনের চিহ্ন পাওয়া যায়। এই এন্ডোটক্সিন হল গ্রাম-নেগেটিভ
ব্যাকটেরিয়াতে পাওয়া একটি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এবং ৮১ শতাংশ গ্লুকান
পাওয়া গেছে। এই গ্লুকান বেশিরভাগ ছত্রাকের কোষের প্রাচীরগুলোতে পাওয়া যায়।
যা এয়ারবোর্ন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোটক্সিন এবং ছত্রাকের পাওয়া
যাওয়া গ্লুকানগুলো পেশাগত ও পরিবেশগত নানা পরিস্থিতিতে শ্বাসযন্ত্রের উপর
তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করে। ই-সিগারেট পণ্যগুলোতে এই
বিষক্রিয়াগুলো শণাক্ত করার ফলে, ব্যবহারকারীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রতিকূল
প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ আরো বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৫ টির মধ্যে ১৭ টি
পণ্যেই এন্ডোটক্সিনের সংশ্লেষণ ধরা পড়েছে এবং এই ৭৫ টির মধ্যে ৬১ টি পণ্যে
গ্লুকান সংশ্লেষণ দেখা গিয়েছে। ফলের স্বাদ যুক্ত পণ্যে এন্ডোটক্সিনের
পরিমাণ ছিল বেশি। এই ধরণের স্বাদ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল মাইক্রোবিয়াল
দূষণের উৎস হতে পারে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, পণ্যগুলোর দূষণ উপাদানগুলো
উৎপাদনের সময় বা একটা গোটা ই-সিগারেট তৈরি শেষ হয়ে যাওয়ার সময়েও ঘটতে
পারে। ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থসমেত শ্বাস নেয়া ছাড়াও, ই-সিগারেট
ব্যবহারকারীদের এন্ডোটক্সিন এবং গ্লুকানের মতো জৈব দূষণেও আক্রান্ত হতে
পারেন।
খবর বিভাগঃ
স্বাস্থ্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়