Monday, January 15

কানাইঘাটে নদীতে ডুবে যাওয়া শিশু রাজের এখনো সন্ধান মেলেনি


আমিনুল ইসলাম : কানাইঘাট বাজারস্থ সুরমা নদীর তীরে স্কুল ছাত্র রিমন চন্দ্র রাজের মায়ের আহাজারীতে সুরমা পাড়ের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। রবিবার থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নদীতে ডুবে যাওয়া রাজকে উদ্ধার করতে সকল প্রচেষ্টা চালিয়েও কোন সন্ধান মিলেনি তার। সোমবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে রাজের সন্ধান না পাওয়ায় আপাতত উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় স্বামী হারা লিলি রানী চন্দ্র পাগলপ্রায়। তাহার কান্নার আহাজারীতে কামারপট্টি সুরমা পাড়ের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। অল্প বয়সে স্বামীর মৃত্যুর পর বড় ছেলে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী রনি ও ছোট ছেলে রাজকে নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন গ্রামের স্বামী রবিন্দ্র চন্দ্রের সাথে সংসার সাজিয়ে ছিলেন লিলি চন্দ্র। ছোট ছেলে রাজের জন্মের ৫ মাসের মাথায় ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামীকে হারান তিনি। এর পর থেকে
দুই ছেলেকে নিয়ে লিলির শেষ আশ্রয় হয় কানাইঘাট বাজারস্থ কামারপট্রিতে। স্কুল পড়ুয়া এই দুই ছেলের মধ্যে রাজ ছিল মেধাবী। তাই রাজকে নিয়ে মা লিলি চন্দ্রের ছিল অনেক স্বপ্ন। এখন রাজের মায়ের কেবল সুরমার কাছে মিনতি রাজ নয় অন্তত রাজের দেহটি চান তিনি। এদিকে সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মজনু মিয়া জানান, ২দিন ধরে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেও শিশু রাজের সন্ধান পাননি। তাদের ধারণা, যেখানে সে ডুবেছিল সে প্রান্তে নদীর স্রোত থাকায় হয়তো অন্য প্রান্তে নদীর তলদেশে তার লাশ চলে গেছে। শীতের মৌসুম হওয়ায় লাশ পানিতে ভাসতে সময় যাচ্ছে। একাধিক ডুবুরী নদীতে নামাতে হাজারো মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, গোটা সিলেটে পদ অনুযায়ী একজন মাত্র ডুবুরী রয়েছে। তাও আবার সিলেটের নন তার কর্মস্থল নারায়নগঞ্জের নদী ফায়ার স্টেশনে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়