কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ভুয়া প্যাথলজি রিপোর্ট, মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার, নষ্ট ফ্রিজে
ইনজেকশন ও ইনসুলিন রাখা এবং অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে রাজধানীর দুটি
জেনারেল হাসপাতালকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সোনারগাঁও রোডের পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড ও হাতিরপুল রোডের ব্রাইটন হাসপাতাল। রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালায় র্যাব-২।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মাহবুব আলম, সিনিয়র এএসপি মাহমুদ উর রশীদ, এএসপি সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. শাহজাহান ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার রাজিবুল হাবিব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায়, পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের স্ক্যান করা ভুয়া স্বাক্ষরযুক্ত প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট; ডায়াগনস্টিক টেস্টে ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট। অনুমোদন ব্যতীত ব্লাডব্যাংক, রক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫টি টেস্ট বাধ্যতামূলক থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে টেস্ট ছাড়াই রোগীর শরীর রক্ত স্থানান্তর করছিল। এছাড়া সংগৃহীত রক্ত সাধারণ ফ্রিজে রাখা, ব্লাড গ্রুপিংয়ের এ্যাম্পলের ডেট ঘষামাজা করা ও এক্সপায়ার্ড ডেট পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই, অত্যন্ত নোংরা পরিবেশ, ফার্মেসির ফ্রিজ নষ্ট থাকা সত্ত্বেও তাতে ইনজেকশন ও ইনসুলিন রাখা হচ্ছিল। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ও ফার্মেসির মালিক আবু সালেহ খান (৩০), ল্যাব ইনচার্জ কামাল হোসেন শিমুল (২৮), টেকনিশিয়ান রবিউল ইসলাম (৫০) এবং রিসিপশনিস্ট মৃণাল সরকারকে (৩০) আটক করে বিদেশি আট প্রকার ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
অন্যদিকে হাতিরপুল রোডে ব্রাইটন হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা ল্যাব পরিচালনা করা, ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক না থাকা, ল্যাবে সাধারণ ফ্রিজ ব্যবহার করা এবং ফ্রিজের ভেতর নোংরা ও অপরিষ্কার। অপারেশন থিয়েটারের সামনে ডাস্টবিন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মো. মাসুদ রেজা (৪৪), এজিএম মো. নাজমুল হুদা (৪০) ও অ্যাডমিন অফিসার রায়হান উদ্দিনকে (২৬) আটক করা হয়। পরে দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়াও অভিযানে জব্দকৃত বিদেশি ওষুধ ধ্বংস করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সোনারগাঁও রোডের পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড ও হাতিরপুল রোডের ব্রাইটন হাসপাতাল। রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালায় র্যাব-২।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মাহবুব আলম, সিনিয়র এএসপি মাহমুদ উর রশীদ, এএসপি সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. শাহজাহান ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার রাজিবুল হাবিব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায়, পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের স্ক্যান করা ভুয়া স্বাক্ষরযুক্ত প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট; ডায়াগনস্টিক টেস্টে ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট। অনুমোদন ব্যতীত ব্লাডব্যাংক, রক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫টি টেস্ট বাধ্যতামূলক থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে টেস্ট ছাড়াই রোগীর শরীর রক্ত স্থানান্তর করছিল। এছাড়া সংগৃহীত রক্ত সাধারণ ফ্রিজে রাখা, ব্লাড গ্রুপিংয়ের এ্যাম্পলের ডেট ঘষামাজা করা ও এক্সপায়ার্ড ডেট পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই, অত্যন্ত নোংরা পরিবেশ, ফার্মেসির ফ্রিজ নষ্ট থাকা সত্ত্বেও তাতে ইনজেকশন ও ইনসুলিন রাখা হচ্ছিল। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ও ফার্মেসির মালিক আবু সালেহ খান (৩০), ল্যাব ইনচার্জ কামাল হোসেন শিমুল (২৮), টেকনিশিয়ান রবিউল ইসলাম (৫০) এবং রিসিপশনিস্ট মৃণাল সরকারকে (৩০) আটক করে বিদেশি আট প্রকার ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
অন্যদিকে হাতিরপুল রোডে ব্রাইটন হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা ল্যাব পরিচালনা করা, ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক না থাকা, ল্যাবে সাধারণ ফ্রিজ ব্যবহার করা এবং ফ্রিজের ভেতর নোংরা ও অপরিষ্কার। অপারেশন থিয়েটারের সামনে ডাস্টবিন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মো. মাসুদ রেজা (৪৪), এজিএম মো. নাজমুল হুদা (৪০) ও অ্যাডমিন অফিসার রায়হান উদ্দিনকে (২৬) আটক করা হয়। পরে দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়াও অভিযানে জব্দকৃত বিদেশি ওষুধ ধ্বংস করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়