Friday, July 29

জুমার দিনের আমল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পবিত্র জুমার দিন মুসলমানদের জন্য মহাসম্মানিত একটি দিন। মহান আল্লাহ এই দিনকে সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলনায় ফজিলতপূর্ণ করেছেন। এ দিনের যেকোনো নেক আমলের সাওয়াব অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। এ দিনে রয়েছে মুসলমানদের জন্য বেশি বেশি পুণ্য অর্জনের পাশাপাশি পাপ মোচনেরও বিশেষ সুযোগ। এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে বিশেষ কিছু আমলও, যার প্রতিটির জন্য রয়েছে অগণিত সওয়াব। তাই জুমার দিনের আমলগুলো এখানে তুলে ধরা হলো- হাদিস শরিফের বিশুদ্ধ গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালোভাবে গোসল করবে, সকাল সকাল যথাসম্ভব হেঁটে মসজিদে যাবে, ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসবে, মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে, অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবে, তার প্রতিটি কদমে পূর্ণ এক বছরের নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব দান করা হবে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমাবারে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য একটি নূর প্রজ্ব্ব্বলিত হবে, যা পরবর্তী জুমাবার পর্যন্ত প্রজ্ব্বলিত থাকবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, এই আলো তার থেকে বায়তুল্লাহ শরিফ পর্যন্ত প্রসারিত হয়ে থাকবে। ৮০ বছরের গুনাহ মাফ, ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব অর্জন হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমাবারে আসরের নামাজ শেষে স্বীয় স্থান ত্যাগ করার আগে নিম্নোক্ত দরুদ শরিফ ৮০ বার পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় দান করা হবে। দরুদ শরিফটি হলো- 'আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদানিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লিম তাসলীমা' হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমাবার এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময়ে মুসলমান বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে, আল্লাহ তায়ালা দয়া করে তাঁকে অবশ্যই তা দান করেন। সময়টি হলো আসরের পর সূর্যাস্তের কিছু আগে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়