Wednesday, June 1

পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের পাঁচটি শাখা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রাসুলুল্লাহর (সা.) মাধ্যমে আমাদের পর্যন্ত যে শরিয়ত এসেছে এটাই হলো সর্বশেষ। এরপর আর কোনো শরিয়ত আসবে না। উম্মতে মোহাম্মদী হিসেবে আমরা যে শরিয়ত লাভ করেছি এটাই সেরা শরিয়ত। এই শরিয়তেই রয়েছে মুমিনের মুক্তির সোপান। তবে এই শরিয়তের ওপর আমল করতে হলে প্রথমে জানতে হবে এর শাখা-প্রশাখাগুলো। আমাদের শরিয়তের মোট শাখা পাঁচটি। ১. আকাইদ ২. ইবাদত ৩. মুআমালাত ৪. মুআশারাত ৫. আখলাকিয়াত। এই পাঁচটি শাখা মিলেই হলো পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। এর মধ্য থেকে কোনো একটি নিয়ে কেউ বসে থাকলে আর বাকিগুলো ছেড়ে দিলে সে দ্বীনের প্রকৃত চিত্র পেশ করতে পারবে না। ইদানীং কারও কারও মধ্যে এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে যে, দ্বীনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তালিম, তাবলিগ, দাওয়াত ও তাজকিয়া। পাশাপাশি আলহামদুলিল্লাহ আকাইদও গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু বাকি কয়েকটি শাখা যেমন ১. মুআমালাত (লেনদেন) ২. মুআশারাত (সামাজিকতা) এবং ৩. আখলাকিয়াত (আচার-আচরণ) এসবের দিকে তেমন মনোযোগ দেয়া হচ্ছে না। অথচ এই বিষয়গুলোর দিকেও মনোযোগী হওয়া দরকার। বর্তমানে সামাজিকতা এবং আচার-আচরণ এসবের প্রতি আমাদের কোনো মনোযোগ নেই বললেই চলে। অথচ এগুলোও হলো শরিয়তের অন্যতম প্রধান অংশ। বাস্তবে লোকদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বানের জন্যও এই শাখাগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ সামাজিকতা যদি ভালো হয়, সমাজে যদি শৃঙ্খলাবোধ ও দায়িত্বশীলতা থাকে এর দ্বারা সমাজ ভালো হবে। এটা দেখে অন্যেরাও ইসলামের দিকে ধাবিত হবে। ইতিহাস এ কথার সাক্ষ্য বহন করে। কোনো সমাজে বিকৃতি এলে এর দ্বারা শুধু গোনাহই হয় না বরং পাশাপাশি এটা লোকদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে ফেলার একটি কারণও বটে। যেমন শরিয়ত নির্দেশ দিয়েছে এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে কোনো কষ্ট দেবে না। হাদিসে নবী করিম সা. বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ।’ এসব বিষয় হলো শরিয়তের প্রাণ। রাসুল (সা.)ও এগুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শরিয়ত সামাজিকতার প্রতি এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছে যে, মসজিদে গিয়ে জামাতে নামায আদায় কত ফজিলতের বিষয়। আর এর প্রতি কত গুরুত্বই না দেয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যারা জামাতে নামায আদায় করে না আমার মন চায় আমি গিয়ে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিই।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়