Wednesday, January 7

ঘনঘন চাকরি বদল, ভালো না খারাপ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: একটানা কয়েকমাস পরেই এক চাকরিতে হাঁফিয়ে ওঠেন অনেকেই। অগত্যা ফলাফল চাকরি পরিবর্তন। লেগে যান জব সাইটগুলোতে কোথায় কী খালি রয়েছে, তা দেখতে৷আবার অনেকের পচ্ছন্দ না হলেও বছরের পর বছর হয়তো থেকে যান একই চাকরিতে৷ঘনঘন চাকরি বদলের যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু নেতিবাচক দিকও৷ ইতিবাচক দিকগুলো- ১) যারা এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভালো সুযোগ পেলে চলে যান, তারা প্রতিভা ও সৃজনশীলতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারেন৷কারণ বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিস্থিতিতে কাজ করার ফলে নিজের জানাশোনার পরিধিটাও স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। নেতৃত্ব দেওয়া, কাজের ব্যাপারে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ সম্পর্কে এরা অনেক বেশি ওয়াকিবহাল থাকে। ২) অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়া মানেই ধরে নেওয়া হয়, বেতন আগের থেকে একটু হলেও বেশি হবে৷ ফলে আর্থিক নিরাপত্তার ব্যাপারেও তারা থাকেন অনেক বেশি সুরক্ষিত৷ ভবিষ্যতের সঞ্চয়ও ভালোভাবে করতে পারেন৷ফলে জীবনধারণে আসে স্বাচ্ছন্দ্য৷ ৩) বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়৷বর্তমানে প্রতিযোগীতামূলক বাজারে এটা খুবই জরুরি৷ ফলে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কীভাবে দেখা হয়, মূল্যায়ন কীভাবে হয়, কী কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এবং সর্বোপরি কাজের পরিবেশই বা কেমন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়৷যেমন কেউ যদি অলাভজনক সংস্থা থেকে মুনাফা অর্জনকারী সংস্থায় যান, তাহলে তারা লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট ও ফাইনানশিয়াল ম্যানেজমেন্টের বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন৷ ৪) পরপর অনেকগুলো চাকরি পরিবর্তনের পর আপনি অবশেষে বুঝতে পারবেন, জীবনে ঠিক কী ধরনের কাজে আপনি ভালো করবেন। ৫) বেশি অভিজ্ঞতা থাকলে ক্যারিয়ারেও দ্রুত উন্নতি করতে পারবেন৷ মানে ভালো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা সহজ হয়ে যায়৷ এছাড়া জীবনবৃত্তান্তে এত কিছুর উল্লেখ থাকলে প্রতিষ্ঠানকে সহজেই আশ্বাস দিতে পারবেন, তাদের জন্য আপনি কেন অপরিহার্য৷ নেতিবাচক দিকগুলো- ১) ঘনঘন চাকরি পরিবর্তনের যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনই এটা জীবনবৃত্তান্তে ফেলতে পারে নেতিবাচক প্রভাব৷ প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে৷ ঘনঘন প্রতিষ্ঠান পাল্টাচ্ছেন মানে, কর্মচারী হিসেবে আস্থা অর্জনের জায়গায় পৌঁছননি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই৷ ২) সন্তুষ্টির অভাব রয়েছে এবং ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি খুশি নন৷ তাই কোন প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘদিন থাকতে পারছেন না৷ মনে হয়, অন্য প্রতিষ্ঠানে গেলেই হয়তো মনের মতো কর্মপরিবেশ পাবেন৷ ৩) আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন৷ পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিতেও আপনি দৃঢ়বদ্ধ নন৷এর অর্থ ক্যারিয়ারে কমিটমেন্টও কম৷ ৪) ঘনঘন চাকরি পরিবর্তন খুবই মানসিক চাপের৷ কারণ প্রতিবার চাকরি খোঁজা বা চাকরির পরিবেশ পাল্টানোর মতো ব্যাপারগুলোর সঙ্গে অনেকেই মানিয়ে নিতে পারে না৷ যার প্রভাব পড়তে পারে কাজেও৷এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে বা যদি কোনওভাবেই নিজের মনের মতো চাকরি খুঁজে না পান, তাহলে আপাতত চাকরির চেষ্টা না করাই ভালো৷ ৫) কেন এতগুলো চাকরি ছেড়েছেন, সে সম্পর্কে ই্টারভিউ বোর্ডে ঠিকমতো উত্তর দিতে না পারলে, প্রশ্নকর্তাদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়