Wednesday, December 17

মোহরানায় স্ত্রীর একচেটিয়া অধিকার


একিউএম ছফিউল্লাহ আরিফ সেক্রেটারি জেনারেল, সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ প্রশ্ন : মোহরানার টাকা যদি স্বামী ব্যবসার উদ্দেশ্যে চান তা কি দেয়া যাবে? তানিয়া রহনুমা, মিরপুর, ঢাকা। উত্তর : বিয়ের মোহর হিসেবে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে যে অর্থসম্পদ দেয়া হয়, তা স্ত্রীর একচেটিয়া অধিকার। স্বামী বা অন্য কেউ জোরপূর্বক এটি ভোগ-ব্যবহার করলে তা হারাম হবে। তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় স্বামী বা অন্য কাউকে ওই অর্থসম্পদ একেবারে দান করে দেয় অথবা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে দেয়, তা হলে তা বৈধ। প্রশ্ন : মুদারাবা ব্যবসা কী এবং কীভাবে করে? রাইয়ান শাফি, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। উত্তর : মুদারাবা এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে দুটি পক্ষ থাকে। একপক্ষ পুঁজির জোগান দেয় এবং অপরপক্ষ পুঁজি ব্যবহার করে। অতএব যে কারবারে একপক্ষ মূলধন জোগান দেয় এবং দ্বিতীয়পক্ষ শ্রম, মেধা ও সময় ব্যয় করে কারবার পরিচালনা করে, তাকে মুদারাবা বলে। যিনি মূলধন জোগান দেন তাকে সাহিবুল মাল এবং যিনি বিনিয়োগ গ্রহণ করেন, তাকে মুদারিব বলে। মুদারাবা কারবারে প্রকৃত লাভ হলে তা সাহিবুল মাল ও মুদারিব চুক্তি অনুযায়ী ভাগ করে নেবেন এবং প্রকৃত লোকসান হলে তা সাহিবুল মাল একাই বহন করবেন। প্রশ্ন : শরিয়া বোর্ড আসলে কী? মুহাম্মদ লোকমান হাকিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তর : ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম শরিয়া অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধান, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য ফিকহুল মুআমালাত (আর্থিক লেনদেন শাস্ত্র) বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত স্বাধীন সংস্থার নাম শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটি/কাউন্সিল/বোর্ড। ফিকহুল মুআমালাত বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত এ স্বাধীন সত্তাকে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে 'শরিয়া কাউন্সিল' নামকরণ করা হলেও IDB এবং AAOIFI-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র এ সংস্থাকে শরিয়া সুপারভাইজরি বোর্ড বা রিলিজিয়াস সুপারভাইজরি বোর্ড বা শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটি বলা হয়। ইসলামিক ব্যাংকিং গাইডলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংক একে 'শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটি' বলেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শরিয়া বোর্ডগুলোর সমন্বয়ে সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড নামে একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ হচ্ছে- অভিন্ন শরিয়া নীতিমালা ও সর্বসম্মত কর্মপন্থা অনুসরণে সদস্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা এবং তাদের কর্মকা-ে শরিয়া নীতিমালার বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করা। ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যাবলি শরিয়ার আলোকে সমাধান খুঁজে বের করা। ইসলামী ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সম্মাননা প্রদান, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর বই-পুস্তক, পত্রিকা ও গবেষণা জার্নাল প্রকাশ করা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়