Sunday, December 21

আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই বিএনপির


ঢাকা: আন্দোলন ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের গাঁয়ের চামড়া তুলে নেয়া হবে- সরকারের মন্ত্রীদের এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন করবে, সাহস থাকলে আন্দোলন দমন করুন। তখন দেখা যাবে কার গাঁয়ের চামড়া তুলে নেয়া হয়।’ ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ আজ ভুলুণ্ঠিত করেছে। ১৯৭৫ সালে যেভাবে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল গঠন করা হয়েছিল আজও একই কায়দায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাই হত্যা ও মামলা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘গত ৬ বছরে রাজনীতি অনেক নিচে নেমে গেছে বলেই সবাই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শুনচ্ছে। এই বক্তব্য শুনলে আমার নিজেরই লজ্জা হয়। আর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই এই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতির পরিবর্তে মিথ্যাচার ও ব্যক্তি আক্রমণ করছে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে¡ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে পড়েছে, অন্যথায় রাজনীতি নিচেই নামতে থাকবে, উপরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ বিএনপিকে রাজপথে নামতে দেয়া হবে না- সরকারের মন্ত্রীদের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ফ্যাসিস্ট আচরণ বাদ দিয়ে অস্ত্র ছেড়ে রাজপথে নামুন তখন দেখা যাবে জনগণ কাদের পক্ষে। যদি জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকে তাহলে বিএনপি আর আন্দোলনের কথা বলবে না। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আর ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে দেয়ার চক্রান্ত করবে, সেটা আর মেনে নেওয়া হবে না। এখন আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ইয়াহিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তাকে ‘পাকবন্ধু’ বলা হয়। এই কথা বলে তারেক রহমান যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা অব্যাহত থাকবে। আর এই যুদ্ধ চলবে রাজনৈতিকভাবে।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- এনডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, গণস্বাস্থ্য বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবদিন ফারুক প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়