Sunday, November 30

ইভটিজিং প্রতিরোধের আহবান আইজিপির


ঢাকা : নারী নির্যাতন, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার, ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিংসতার মতো ঘৃণ্য অপরাধের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে বলেছেন পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। রবিবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহবান জানান তিনি। আইজিপি অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে টহল ব্যবস্থা ও নজরদারি জোরদার করতে হবে। পুলিশ প্রধান একটি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে অনেক প্রতিভাবান মেধাবী তরুণ যোগ দিচ্ছে। তিনি তাদেরকে জনসেবার ব্রত নিয়ে নিবেদিত হয়ে কাজ করার মানসিকতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (স্পেশাল ক্রাইম এন্ড প্রসিকিউশন) মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া গত তিন মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। দেশব্যাপী অপরহরণ, খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে সভায় আলোচনা হয়েছে। অপরাধ পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত প্রান্তিকের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে মোট মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ফলে মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে। গত প্রান্তিকে চোরাই গাড়ি উদ্ধারের পরিমাণ অনেক বেড়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। আলোচ্য সময়ে ৭২৬টি চোরাই গাড়ির মধ্যে ৫৩৫টি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রান্তিকের প্রায় দ্বিগুণ। আলোচিত সময়ে পুলিশের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পরিমাণও বেড়েছে। পুলিশের কার্যকর ভূমিকার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। সভায় জামিনে থাকা জঙ্গি ও দাগী সন্ত্রাসীদের উপর নজরদারির বিষয়ে আলোচনা হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, আগামী বছরের শুরুতে টঙ্গীতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ বিদেশীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়। সভায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর প্রিন্সিপাল নাইম আহমেদ, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. আমির উদ্দিন, এপিবিএন এর অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হেমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মইনুর রহমান চৌধুরীসহ সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের প্রধানগণ ও পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়