কানিউজ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ২১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার বেইলী আক্তার রহিমা ও রাশেদা খানম পারভীনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার রহিমা ও রাশেদাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আলম সরকার।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম জয়নাব বেগমের আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ৩টার দিকে প্রসবজনিত কারণে অসুস্থ হলে স্ত্রী রুনা আক্তারকে ঢামেক হাসপাতালের ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন স্বামী কাওসার হোসেন বাবু। ভর্তির দুই ঘণ্টা পর জমজ দুই ছেলের জন্ম দেন রুনা আক্তার।
২০ আগস্ট সকালে রাশেদা খানম পারভীন রুনার ওয়ার্ডে আসেন। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, পাশের ওয়ার্ডে তার রোগী আছে। এ পরিচয়ে রুনার সঙ্গে বিভিন্ন গল্প করতে থাকেন তিনি।
এরপর নবজাতককে কোলে নেন তিনি। গত ২১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে ওই নারী আবার রুনার ওয়ার্ডে যান এবং নবজাতকটিকে কোলে নেন। এরপর নবজাতককে নিয়ে হাঁটাহাঁটির এক পর্যায়ে পালিয়ে যান।
হাসপাতালে নবজাতক চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নবজাতক উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এক সপ্তাহের ব্যাপক অনুসন্ধানের পর বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকা থেকে রাশেদা খানম পারভীন ও বেলী আক্তার রহিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, রাশেদা খানম পারভীন একজন প্রশিক্ষিত ধাত্রী। এর আগেও তিনি শিশু চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে নবজাতকটিকে চুরি করে রহিমাকে দেন রাশেদা।
র্যাব আরও জানায়, প্রশিক্ষিত ধাত্রী হওয়ার কারণে রাশেদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রসূতি মায়েদের শিশু মৃত বলেও অন্য লোকের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়