Tuesday, July 8

জুস নয়, গোটা ফলটাই খান


খালিদ সাইফুল্লাহ : কে না চায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারি হতে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বিভিন্ন ফলমূল খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২ শতাংশ কমে। সম্প্রতি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একদল বিজ্ঞানী এমনটাই বলছেন। আর সে জন্যই তো সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলের কোনো বিকল্প নেই। ফলের রস গরমে দেহে পানির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি কমিয়ে ফেলে আপনার বাড়তি মেদ বা ওজন। তবে অনেকেই ফলের থেকে ফলের জুস খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু জুসের থেকে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অধিক উপকারী। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা বলেন, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অন্তত দুই শতাংশ কমে। তবে এই ফল আস্ত, খোসাসহ ও প্রচুর আঁশযুক্ত হতে হবে। কারণ যেসব ফলে প্রচুর আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে সেগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন ফল খাওয়া ভালো। আর ফল থেকে তৈরি জুস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি না কমিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই ফলের রস বা জুস নয়, বরং আস্ত ফল খাওয়ার অভ্যাসই ভালো। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য বিষয়ক তিনটি বড় ধরনের গবেষণার তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের গবেষকরা এ কথা জানিয়েছেন। এসব গবেষণা ২৫ বছর ধরে চালানো হয়। গবেষণায় এক লাখ ৮৭ হাজার নার্সসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী পেশার মানুষ অংশ নেন। কয়েক বছর ধরে তাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এবং খাওয়ার অভ্যাস, তারা শারীরিক কতটুকু সক্রিয় ওজন, ধূমপানসহ তাদের জীবনযাত্রার মানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’বার ব্ল–বেরি, আঙ্গুর ও আপেলের মতো নির্দিষ্ট কিছু ফল গোটাটা খেয়েছেন তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি যারা প্রতি মাসে একবারের কম খেয়েছেন তাদের তুলনায় ২৩ শতাংশ কম। আমাদের দেশে আঁশযুক্ত প্রচুর খাবার আছে। যেমন বেল, পেয়ারা, কদবেল, আমড়া, আতাফল, নারিকেল, জাম, গাব, কামরাঙ্গা, পাকা টমেটো, আম, পেঁপে ইত্যাদি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়