Thursday, October 24

শর্ত দিয়ে সংলাপ হয়না : যোগাযোগমন্ত্রী


সোনারগাঁ: সংলাপের প্রশ্ন উঠলেই বিরোধীদল শর্ত জুড়ে দেয়। পৃথিবীর কোথাও শর্ত দিয়ে সংলাপ হয়না, সংলাপ হতে হয় খোলামেলা। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার গঠনের ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি বিরোধীদলকে সংলাপের জন্য আহবান জানিয়েছেন কিন্তু বিরোধীদল শর্ত দিয়ে সংলাপে বসতে চায়। এভাবে সংলাপ হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার সকালে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি সেতু পরিদর্শনের সময় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বুধবার বিরোধীদলের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। আমার মনে হলো বিরোধীদল তাদের কঠোর অবস্থান থেকে কিছুটা বেরিয়ে এসেছেন। তবে তাদের এখন বটম লাইন একটি নো ইলেকশন আন্ডার শেখ হাসিনা। আপনারা যদি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে না চান সেটা আলোচনার মাধ্যেমে এসে বলেন। আপনারা সব মানেন তালগাছটি আমার। সব মানি শেখ হাসিনাকে মানিনা। আসলে আমাদের মাঝে এখন অবিশ্ব^াসের উচু দেয়াল তেরী হয়ে গেছে। তবে এ অবিশ্ব^াসের দেয়াল ভেঙ্গে উভয় দলের মধ্যে সমঝোতার সেতু তৈরী করা আপাত দৃষ্টিতে  কঠিন মনে হলেও অসম্ভব নয়।  পরস্পর স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে  এলে সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, বিরোধীদল যে সাবেক আঠারো জন উপদেষ্টার  ফর্মুলা  দিয়েছেন তা অবাস্তব।
যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৩টি সেতু পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা টচ্রগ্রাম মহাসড়ক আমাদের দেশের প্রধান অর্থনৈতিক করিডোর। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক শীঘ্রই চারলেনে উন্নীত করা হবে।
তিনটি সেতু সেনাবাহিনী নিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। সেতুগুলোকে ৭/৮ বছর চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য বর্তমান ৩টি সেতুর পাশে আরো নতুন তিনটি সেতু নির্মান করা হবে। জাইকার সহায়তায় মোট ৮৪৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি ২য় সেতুর নির্মানের কাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে। এর মধ্যে জাইকা দিবে ৬৪২৯ কোটি টাকা বাকি  ২০৫৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।
আগামী ৩১শে অক্টোবর গাজীপুর ভাওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে শেখ হাসিনা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সাথে সেতু তিনটির ভিত্তি  প্রস্তর উম্মোচন করবেন। কাঁচপুর বর্তমান সেতুর ডানপাশ দিয়ে ৩৯৫ মিটার দীর্ঘ ২য় কাঁচপুর সেতু নির্মান করা হবে এতে সময় লাগবে আড়াই বছর। বর্তমান মেঘনা সেতুর বামপাশ দিয়ে ৯৩০ মিটার দীর্ঘ ২য় মেঘনা সেতু নির্মান করা হবে এতে সময় লাগবে ৩বছর। অপরদিকে গোমতি সেতুর ডানপাশ দিয়ে ১৪১০ মিটার দীর্ঘ ২য় গোমতি সেতু নির্মান করা হবে এতে সময় লাগবে ৩ বছর। ৩টি সেতু ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য উন্নত দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
এছাড়া জাইকার সয়াহতায় গাজীপুর থেকে শাহাজালাল বিমান বন্দর পর্যন্ত বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে তা সদরঘাট পর্যন্ত চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সড়কটিকেও চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এডিবির সহায়তায় এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।  তাছাড়া জাইকার সাথে মেট্রোরেলের চুক্তি সই হয়ে গেছে।
সেতু পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সিদ্দিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুব রহমান, এনসিসি কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সড়ক ও জনপদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়