শিশুর সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে আগামী ২২ জুন।
রোববার (১৬ জুন) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ১ম রাউন্ডের এ
কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের (১
লাখ আই. ইউ) ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি লাল রঙের (২ লাখ আই. ইউ)
উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সাল থেকে পরিচালিত এ কার্যক্রমের ফলে
৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের কভারেজ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭ সালে
শতকরা ৯৯ তে উন্নীত হয়েছে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সহস্রাব্দ উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ছিল রাতকানা রোগের হার ১ ভাগের নীচে নামিয়ে আনা।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত
রাতকানার হার ০.০৪ ভাগে নেমে এসেছে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে এ
অর্জিত হার ধরে রাখা অথবা তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সরকারের অন্যতম
লক্ষ্য। তাছাড়া এ ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শিশু
মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভিটামিন ‘এ’ দেহের
স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর
ঝুঁকি কমায়। এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী,
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’
ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়