নিউজ ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কায় গত দুদিনের মুসলিম
বিরোধী দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রায় ৬০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরবর্তী দাঙ্গা ঠেকাতে মঙ্গলবারও দেশ জুড়ে রাত্রীকালীন কারফিউ বলবৎ ছিলো।
এর আগে সোমবার কারফিউ ভেঙে বিভিন্ন মসজিদ ও
মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের
পুত্তালাম জেলায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে ক্রুদ্ধ জনগণ হামলা চালিয়ে
ছুরিকাঘাতে এক মুসলিম ব্যবসায়ী হত্যা করে। হেট্টিপোলা শহরেও তিনটি দোকানে
আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে শ্রীলঙ্কার কিনিয়ামা শহরে একটি
মসজিদে হামলা চালিয়ে এর দরজা-জানালা ভাংচুর করা হয়। মুসলিমদের পবিত্র
ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরিফে তছনছ করা হয়।
এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে
মঙ্গলবার ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে বৌদ্ধ দলের দুই
নেতাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদের একজন হলেন মহাসন বালাকায়া দলের
নেতা অমিথ ওয়েরাসিংহে এবং তথাকথিত দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের স্বঘোষিত নেতা
নমাল কুমারা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরো ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ
করে দেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে ইস্টার সানডের দিন সকালে
শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি গির্জা ও অভিজাত হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় ২৫০ জনের
বেশি মানুষ নিহত হয়। ওই হামলার পর থেকেই দেশ জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষ।
গত মাসে শ্রীলংকায় যে হামলা হয়েছে ইসলামী
জঙ্গীরাই সেটি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই হামলার দায় স্বীকার করে
বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ
জনসংখ্যার সিংহভাগই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। সেখান প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ
মুসলিম। সূত্র- বিবিসি/দ্য হিন্দু
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়