নিউজ ডেস্ক:
বাহ্যিক দৃষ্টি নেই কিন্তু অন্তরদৃষ্টি তার প্রখর। আর সেই দৃষ্টি দিয়ে ৪৬ বছর বয়সী জামাল উদ্দীন মুখস্ত করে নিয়েছেন পবিত্র কোরআন শরিফ। নওগাঁর পোরশার উপজেলা নিতপুর ইউনিয়নের কুলাডাংগা গ্রামের দরিদ্র ইউছুফ আলীর ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে জামাল দ্বিতীয়। জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। দেখতে
পারেন না দু’চোখেই। চোখে দেখতে না পেলেও স্থানীয় এক মাওলানার নিকট থেকে
শুনে শুনে মুখস্ত করেছেন পবিত্র কোরআন শরীফ। মসজিদের ঈমাম হিসেবে চাকরিও
করেছেন বেশ কিছুদিন। দৃষ্টি না থাকায় ইমাম পদের চাকরি টেকেনি বেশীদিন।
চাকরি চলে যাওয়ার পর সংসার চালানোর জন্য
জমানো টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে শুরু করেন পশু পালন। এতেও সুবিধা না করতে
পেরে শুরু করেছেন বয়লার মুরগীর ব্যবসা। বর্তমানে এ ব্যবসা থেকে যা আয় হয়
তা দিয়েই চলছে তার সংসার। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও তিনি এখন সফল ব্যক্তি।
জামালের সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত তথ্য গুলি জানান।
তিনি আরো জানান, তার বাবার ১৩ ছেলে-মেয়ের
মধ্যে দুই ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার বড় ভাই প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তার
ভাগ্যে আজও জোটেনি কোনো ভাতা। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন, আক্ষেপও নেই। বরং
শরীরে খেটে পরিশ্রম করে রোজগার করতে পছন্দ করেন। প্রতিবন্ধী হয়ে সমাজে
বোঝা হয়ে থাকতে চান না তিনি। নিজে খেটে উপার্জন করা অনেক সম্মানের কাজ বলে
তিনি মনে করেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়