Saturday, December 17

আমরা গণতন্ত্র এনেছি, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবো: প্রধানমন্ত্রী

আমরা গণতন্ত্র এনেছি, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবো: প্রধানমন্ত্রী

  কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন স্বাধীনতার ঘোষণা বিতর্কে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরাই লাভবান হয়েছে। শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় বিএনপির উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।’

ছিয়ানব্বইয়ের ১৫ ফেব্রুয়ারি কারচুপির নির্বাচন করা করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আয়নায় চেহারা দেখুন, চেহারা শুধু সাজুগুজু করার জন্যই নয়। আমরা গণতন্ত্র এনেছি, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবো। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। মিথ্যা বলাটা ওদের অভ্যাস। ওরা তো বলবেই। কিন্তু বিকৃত ইতিহাস এ দেশের মানুষকে আর গেলাতে পারবে না। কারণ, দেশের মানুষ, যুব সমাজ এখন সঠিক তথ্য জানার সুযোগ পেয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের ইতিহাস যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। আওয়ামী লীগই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছে।’

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপোষ করলে সেবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে মার্কিন গ্যাস কোম্পানি তাদের সঙ্গে গ্যাস বিক্রির চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই চুক্তিতে ছিল তারা (মার্কিন কোম্পানি) আমাদের কাছ থেকে গ্যাস কিনে ভারতের কাছে বিক্রি করবে।  কিন্তু তখন তাদের আমরা বলেছি, আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য ৫০ বছরের গ্যাস রিজার্ভ করতে পারলেই গ্যাস বিক্রি করবো।’

ক্ষমতা নয় দেশ তার কাছে বড় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন গ্যাস বিক্রি করার জন্য আমাদের প্রস্তাব দিয়েছিল। এরপর আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েও তাঁরা একই প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি তখন তাদের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই।’

তিনি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে লতিফুর রহমান তত্ত্বধায়ক সরকার দায়িত্ব পালন করে তখন আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার বাংলাদেশে এসেছিল। লতিফুর রহমানের বাসায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে আমি এবং তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জিল্লুর রহমান গিয়েছিলামি আর বিএনপির পক্ষে গিয়েছিল বেগম খালেদা জিয়া এবং মান্নান ভূঁইয়া। সেখানেও আমাকে একই প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু আমি তাদের বলে এসেছি ক্ষমতায় আসার জন্য আমি দেশের সম্পদ বিক্রি করতে পারবো না। বিএনপি তখন তাদের সাথে প্রস্তাববে সম্মত হয়ে ক্ষমতায় এসছিল।

আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ. সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কার‌্যনির্বাহী সদস্য বদর উদ্দিন কামরান, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
সূত্র:- বিডিলাইভ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়