Tuesday, December 8

সরকার নয়, ভোটাধিকার হরণ করছে বিএনপি


ঢাকা: সরকার নয়, বিএনপিই জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। মঙ্গলবার বিকালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা রাজনৈতিক দলের ব্যাপার। বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় নাই। এটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার হরণের ক্ষমতা তাদের কে দিয়েছে? প্রশ্ন করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে সেজন্য তারা ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। প্রিজাইডিং অফিসারসহ ১৪৭ ভোটারকে হত্যা করেছিল। সে দায় লুকানোর জন্য তারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তাদের উচিত বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।’ হানিফ বলেন, এখনও নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়নি। অথচ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা হাস্যকর। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। হানিফ বলেন, ‘ইসির বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ কাল্পনিক। পাঁচ সিটি নির্বাচনের আগেও তার ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। প্রথমে ভোট কারচুপির অভিযোগ করলেও পরে যখন তাদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল তখন তারা বলেছিল জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে। গত কয়েকমাস দেশব্যাপী সহিংসতা করে ভোটারবিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ইসির বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ করে নিজেদের দায়মুক্তি করার চেষ্টা করছে।’ পৌর নির্বাচনকে বিএনপি দলীয় অপরাধীদের বাঁচানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা অপরাধ করছে তাদের শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রমাণিত অপরাধীদের বাঁচাতে নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নির্বাচনের আগে সরকার নির্দোষ কোনো ব্যক্তিকে আটক করবে না। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ১৩ ডিসেম্বর। তার আগেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে। আর যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়