Tuesday, June 23

ইতালির মুসলিমদের রোজা রাখার ধৈর্য দেখে অবাক হয়ে যায় অমুসলিমরা!


ইসলাম ডেস্ক: ইউরোপের হাজারো ঐতিহ্যে ঘেরা দেশ ইতালি। এ দেশের অবস্থান ইউরোপ মহাদেশের সর্বশেষ প্রান্তে এবং আটলান্টিক মহাসাগরের কিনারে। ইতালিতে শতকরা ৯৮ জন মানুষ শিক্ষিত। এ দেশের বেশিরভাগ জনগণ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী। এ ছাড়া আছে বৌদ্ধ, ইহুদিদের সংখ্যাও কম নয়। ইতালিতে প্রায় ৬ লক্ষ মুসলমান বসবাস করে, যা মেটা জনসংখ্যার ১ ভাগ। তবে রমজান তাদের কাছে অন্যসব দেশের মুসলিমদের তুলনায় মোটেই কম তাৎপর্যের নয়। রমজান মাসে আসতেই ইতালির মুসলমানদের মাঝে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। স্বল্পসংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীর লোকজন মিলেই বেশ ঘটা করে স্বাগত জানায় মাহে রমজানকে। যদিও জুন মাসে রমজান হলে ১৭ ঘণ্টারও বেশি সময় রোজা রাখতে হয় তাদের। তারপর প্রচণ্ড গরমেও হাঁসফাঁস করে মানুষ। তবু তাদের উৎসাহে ভাটা পড়ে না। সেখানকার মুসলিমদের এই ধৈর্য দেখে অবাক হয়ে যায় অমুসলিম নাগরিকরা। ইতালির রোম, সিসিলিয়া ও মিলানে বেশ কয়েকটি মসজিদ আছে। রমজান আসতেই মুসলমানরা মসজিদে ভিড় জমায়। অনেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে মসজিদে বসে কোরআন তেলাওয়াত করে, কিংবা নামাজ ও দোয়ার মতো ইবাদতে মশগুল থাকে। ইতালির মুসলমানরা সেহেরিতে সাধারণত বার্গার ও বার্গার টাইপের খাদ্য খেয়ে থাকে। আর ইফতারিতে তারা খায় মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, বা নানা ধরনের ফলের রস। রোম ইতালির রাজধানী এবং এ দেশের বড় শহরগুলোর একটি। কোরআনে সুরা ‘রূম’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে এবং তাতে যে অঞ্চলের নির্দেশ রয়েছে, তার মধ্যেও ইতালির বর্তমান অঞ্চলটিই ছিলো ছিলো মূল ভূখণ্ড। রাসূলের [স] মক্কি জীবনে যেখানে রোমক ও পারসিকদের মধ্যে সংগঠিত যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। ইতিহাসের সেই রোম এখন শান্তির শহর, পোপের শহর, নীরব শহর, সাত পাহাড়ের শহর বলে পরিচিত। রমজান এলে এ শহর যেনো আরো শান্ত, স্নিগ্ধ ও ভাবগম্ভীর্যে পূর্ণ হয়ে ওঠে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়