কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
নোবেল শান্তি পুরষ্কার গ্রহণ করলেন পাকিস্তানী আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাই ও শিশু অধিকার রক্ষা কর্মী ভারতের কল্যাণ সত্যার্থী। নোবেল কমিটি এসময় তাদেরকে “চ্যাম্পিয়ন্স অব পিস) হিসাবে অবহিত করেন।পুরস্কার গ্রহণের আগে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষতকারে মালালা ইউসুফজাই নিজেকে রাজনীতিতে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা শেষে রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়তে চাই এবং পাকিস্তানের দুবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো তার আদর্শ বলেও জানান মালালা।
আজ বুধবার অসলোর এক অনুষ্ঠানে নোবেল পুরষ্কার গ্রহণ করেন শিশু অধিকার রক্ষা কর্মী ভারতের কল্যাণ সত্যার্থী এবং পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই।
শিশুদের পড়াশোনার অধিকার দেওয়া ও তাদের শৈশব ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন কল্যাণ সত্যার্থী। পুরস্কার গ্রহণের আগে সত্যার্থী বলেন, ‘যদি একজন শিশুও বিপদে থাকে, তার মানে পুরো বিশ্ব বিপদে রয়েছে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে মালালা বলেন, ‘এই পুরষ্কারের মানে শুধুই বাড়িতে গিয়ে সাজিয়ে রাখা নয়। এখান থেকে আমরা সব দেশের যুব সম্প্রদায়কে বলছি তারা যেনো সামনে এসে প্রতিবাদ করে। এই পুরস্কারটি আমার জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আমার সাহস এবং প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এখন নিজেকে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী মনে করছি। কারণ এখন আমি একা নই, অনেকে রয়েছে আমার সঙ্গে।
মালালা আরও বলেন, ‘নোবেল জয়ের ফলে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে এবং আমি নিজের মধ্যে সেই দায়িত্ববোধকে অনুভব করছি। আমি মনে করি এখন স্রষ্টার কাছেও আমি জবাবদিহি করতে পারবো। কারণ আমি মানুষের জন্য কাজ করছি, যা আমার দায়িত্ব।’
এছাড়া নোবেল পুরস্কার জয়কে অত্যন্ত সম্মানীয় অর্জন এবং কল্যাণ সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে এ অর্জন তাকে আরও সম্মানিত করেছেন বলে জানায় মালালা।
মালালা সম্পর্কে সত্যার্থী বলেন, মালালা আমার দেখা অন্যতম সাহসী এক মেয়ে। ও আমার মেয়ের মত।
নিজের দেশ সম্পর্কে মালালা বলেন, ‘আমি দেশের জন্যে কিছু করতে চাই। আমার স্বপ্ন পাকিস্তান বিশ্বের উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এ দেশের প্রতিটি শিশু শিক্ষা অর্জন করবে।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো মালালার নোবেল পুরস্কার জয়ের অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। বেনজির ভুট্টোকে নিজের আদর্শ স্মরণ করে মালালা বলেন, ‘আমি যদি রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তবে অবশ্যই বেনজির ভুট্টোর আদর্শকে পাথেয় হিসেবে গণ্য করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে আবারও আক্ষেপ জানিয়ে মালালা বলেন, এখনো শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেদের সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না মেয়েরা।
এছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নোবেল পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থাকছেন না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন ইউসুফজায়ী।
এর আগে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, হিন্দু, মুসলিম, পাকিস্তানি বা ভারতীয় সকলের জন্যেই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা উচিত।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়