Saturday, December 6

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ৫৩ হাজার লোক সমুদ্র পাড়ি দেয়


ঢাকা : থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার উদ্দেশে এ বছর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে প্রায় ৫৩ হাজার লোক সমুদ্র পথে পাড়ি দিয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৫৪০ জন। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, সাগর পথে পাড়ি জমানো ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের। রাষ্ট্রহীনের বোধ বা নিরাপত্তার অভাববোধ থেকে এরা চলে যায়। আর বাংলাদেশের লোকজন উন্নত জীবনের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ বেছে নেয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, নৌকায় করে সাগর পথে পাড়ি জমানোর পথে এই মানুষগুলোকে পানি, খাবার ও থাকার স্থানের সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। পথে পাচারকারী অন্য কোনো সশস্ত্র দলের সামনে পড়ে গেলে তা থেকে বাঁচতে যাত্রীদের কখনো কখনো সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে নৌকায় থাকতে হয়। তখন ক্ষতি কাটিয়ে নিতে অতিরিক্ত যাত্রী ওই নৌকায় তোলা হয়। যারা এভাবে পাড়ি জমিয়েছে, তাদের কাছ থেকে নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর পথে ৫৪০ জন মারা গেছে। নৌকার মালিকপক্ষের লোকজনের মারধর, খাদ্য, পানি-সংকট, অসুস্থতা ও গরমে এরা মারা গেছে। দালালেরা প্রথমে খুব অল্প টাকায় থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নৌকায় তোলে। পরে পরিবার আরও অর্থ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের মাসের পর মাস আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। দালালেরা এভাবে বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার আয় করে। সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর অনেকে সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। অনেকে শরণার্থী মর্যাদা দাবি করে। আবার কেউ কেউ ইন্দোনেশিয়া বা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়