Saturday, November 8

কম্বল কারখানায় আগুনের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি


ঢাকা: পুরান ঢাকার কম্বল কারখানায় আগুনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিদেন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দমকল বাহিনীর কর্তব্যরত কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন কমিটি গঠনের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কথা বলা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের কথা বলা হয়নি।’ তদন্তকমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে দমকল বাহিনীর ঢাকা দক্ষিণ বিভাগের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল হালিমকে। সদস্য সচিব হচ্ছেন সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও সদস্য লালবাগ অঞ্চলের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নজরুজ্জামান। আগামী সাতদিনের মধ্যে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। আগুন লাগার পরবর্তী অবস্থা ও করনীয় জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলি, এটা আমার অধীনে নই। নেত্রকোনার সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল কারখানাটি ইজারা নিয়েছেন। তিনিই এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার চকবাজার থানার বকশি বাজার এলাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নিয়ন্ত্রিত কম্বল কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনা পর ওই কারখানার মালিক ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বৈদ্যুতিক বাল্ব ফেটে গিয়ে কম্বলের ওপর পড়লে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তিনি বলেন, ২ লাখ ৮০ হাজার কম্বল পুড়ে তার ২১ থেকে ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখানে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জন্য ২ লাখ ২১ হাজার ৫০০ পিস ও জেলখানার জন্য ২০হাজার পিস কম্বল তৈরি কাজ চলছিল। এসব কম্বল তৈরিতে ১ থেকে দেড়শ শ্রমিক কাজ করতো বলে জানান তিনি। দমকল বাহিনীর পরিচালক অপারেশন মেজর শাকিল আগুন নিভানোর কাজ তদারকি করছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগুন কোনোভাবেই কারাগারের দিকটিতে ছড়িয়ে পড়বে না। এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে দমকল কর্মীরা। স্থানীয়রা জানায়, বিকাল ঠিক ৪টায় আগুন লাগে কম্বল কারখানার গোডাউনে। পরে তা কারখানার দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে এই কারখানাটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদিদের রাখা হয় যে অংশে তার প্রাচীরের বাইরে। ফলে ওই অংশে আগুনের কোনো প্রভাব পড়েনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়