আগামী ১৮ জানুয়ারী কানাইঘাট পৌরসভার নির্বাচন উপল েনির্বাচনী প্রচারনা বেশ জমে উঠেছে। কারণ এই প্রথমবারের মত কানাইঘাটে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্টিত হবে তাই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা একটু বেশী। নির্বাচনী উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে গোটা পৌর এলাকায়। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় ২০০৫সালের ২৫অক্টোবর ২৩টি গ্রাম নিয়ে কানাইঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভার প্রতিষ্ঠার পর পর বেশ কিছুদিন বর্তমান কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই আশিক চৌধূরী পৌরপ্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ১/১১ সময় আশিক চৌধুরীকে পৌরপ্রশাসকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পদাধিকার বলে অদ্যবদি পর্যন্ত পৌরপ্রশাসকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সিলেট জেলার মধ্যে কানাইঘাট পৌরসভার বহু কাঙ্খিত প্রথম পৌরনির্বাচন উপল্যে দীর্ঘদিন ধরে যারা মেয়র ও কাউন্সিলার পদে প্রতিধ্বন্ধিতা করার জন্য সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে নিরবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তারা বর্তমানে পৌর নির্বাচনের তপশীল ঘোষনার পর থেকে সমর্থকদের নিয়ে কোমর ভেঁধে নির্বাচনী প্রচারণায় পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন। কানাইঘাট পৌরসভা গঠনের পর প্রথম নির্বাচন হওয়ায় পৌর এলাকার জনসাধারণ ছাড়াও গোটা উপজেলাবাসীর মধ্যে এক অন্য রকম আনন্দ ও উৎসাহ উদ্বীপনা বিরাজ করছে। কে হবেন পৌরসভার প্রথম মেয়র? এনিয়ে হোটেল রেস্তোরা সর্বত্রই এখন চলছে নির্বাচনী আড্ডা । পৌরবাসীর সুখ-দুঃখে অংশীদার হতে এবং নির্বাচনী নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র প্রাথর্ীরা দিন-রাত বিরামহীন ভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জোট-মহাজোট থেকে কে হচ্ছেন মেয়র প্রাথর্ী তানিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে নানা কৌতুহল দেখা দিয়েছে। আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত এবং জাতীয় পার্টি থেকে একাধীক প্রাথর্ী মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে মাঠ চষে ভেড়াচ্ছেন। যার ফলে শেষ পর্যন্ত আ'লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক প্রাথর্ীও নির্বাচন করতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যে নীতিগত ভাবে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমানকে আ'লীগ সমথর্ীত প্রাথর্ী জেলা আ'লীগের একটি ঘরোয়া বৈঠকে ঘোষণা করা হলেও আ'লীগ নেতা চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস এবং সোহেল আমীন ও তাজ উদ্দিন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তবে সোহেল আমীন নাগরিক পরিষদের ব্যানারে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির উপজেলা আহবায়ক সিরাজুল হক মনোনয়ন পত্র কিনলে ও অজ্ঞাত কারণে পরে মনোনয়ন পত্র জমা দেননি তবে শেষপর্যন্ত নাগরিক পরিষদের ব্যানারে মেয়র প্রার্থী যুবলীগ নেতা সোহেল আমিন জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। অপর দিকে বিএনপি থেকে দলের উপজেলা শাখার একাংশের সাধারণ সম্পাদক কানাইঘাট বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী হাজী এম.এ মতিনকে মেয়র পদে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও উলামা দলের নেতাকমর্ী তাদের সমর্থণ দিয়ে তার প েনির্বাচনী কাজ শুরু করেছেন। মেয়র পদে সাবেক ছাত্র নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওলিউল্লাহকে জামায়াতের প থেকে তাকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিএনপির অপর একটি অংশ কানাইঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মালিক (মালিক ট্রেডার্স) কে দলে যোগদান করিয়ে তার প েকাজ করে যাচ্ছেন। ভোটার সংখ্যা ১৩হাজার ৯শত ৪জন ভোটারের এ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও সংরতি মহিলা কাউন্সিলার পদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক কাউন্সিলার প্রাথর্ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করায় শেষ পর্যন্ত জোট-মহাজোটের বাহিরে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে মেয়র ও কাউন্সিলার প্রাথর্ীরা নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আওয়ামীলীগ-বিএনপি থেকে একাধীক প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ায় দলের নেতাকর্মীরা অনেকটা নির্বাচন বিমুক হয়ে পড়েছেন।
পৌর সভা নির্বাচন
জমে উঠেছে কানাইঘাট পৌরসভা নির্বাচন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়