Wednesday, May 18

   কানাইঘাটে বন্যার্তদের মাঝে সিলেট জেলা বিএনপির ত্রাণ বিতরণ

কানাইঘাটে বন্যার্তদের মাঝে সিলেট জেলা বিএনপির ত্রাণ বিতরণ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক ::

সিলেটের কানাইঘাটে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কায়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী সহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 

আজ দুপুরে পৌর শহরের খেয়াঘাট নামক স্থানে প্রায় শতাধিক মানুষের মাঝে তারা এসব ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। 

জানা যায়, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের অর্থায়নে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

এ সময় মামুনুর রশিদ মামুন সহ উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী শরীফুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান পারবেজ, কোষাধক্ষ আবুল বাশার, স্বেচ্ছা সেবক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব রিয়াজ উদ্দিন সহ বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ। ত্রান বিতরণ কালে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বলেন বিএনপি গণ মানুষের সংগঠন। সকল দুর্যোগে বিএনপি মানুষের পাশে ছিল এবং রয়েছে। 

এদিকে চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন বলেন কানাইঘাট  উপজেলার মানুষ দীর্ঘ ৫দিন যাবত পানিবন্দী রয়েছেন। যার কারনে বানবাসীদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে বিএনপি এসব ত্রান সামগ্রী বিতরন শুরু করেছে। আগামীকাল থেকে পর্যায় ক্রমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কানাইঘাটে দ্বিতীয় দিনেও ১২০ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন কাউন্সিলর জমির

কানাইঘাটে দ্বিতীয় দিনেও ১২০ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন কাউন্সিলর জমির


নিজস্ব প্রতিবেদক:

কানাইঘাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বন্যা দূর্গত পানিবন্দী কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের জন্য দ্বিতীয় দিনেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কামরান। 

বুধবার দিনব্যাপী তিনি তাঁর ওয়ার্ডের পানিবন্দী মানুষের খোঁজখবর নেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।

এর অাগে গত মঙ্গলবার(১৭ মে) তিনি তাঁর ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক টিম এর সহোযোগিতায় পানিবন্দী মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে নিজ কাঁধে করে খাবার সামগ্রী পৌছে দেন।


কানাইঘাটে বন্যার্তদের মাঝে কিউএম ফারুকের  ত্রাণ বিতরণ

কানাইঘাটে বন্যার্তদের মাঝে কিউএম ফারুকের ত্রাণ বিতরণ


নিজস্ব প্রতিবেদক  ::

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের বন্যা দূর্গতদের মাঝে  ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী জাপা নেতা,সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কিউএম ফররুখ আহমদ ফারুক।

বুধবার দিনব্যাপী ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের ১,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বন্যা দূর্গতদের মাঝে কিউএম ফারুকের পাঠানো শুকনো খাবার বিতরণ করেন বড়চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মালিক চৌধুরী, ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন,৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  আব্দুল মুতলিব ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  হারিছ উদ্দিন। 

কানাইঘাটে পানি ভেঙে ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির

কানাইঘাটে পানি ভেঙে ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :

বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেট। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবকিছুই এখন পানির নিচে। পানিবন্দি জীবনে চরম দুর্যোগের মুখে লক্ষাধিক মানুষ। খাদ্যাভাবে না খেয়ে মৃতপ্রায় জীবন পার করছেন জেলার সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল কানাইঘাটের বন্যাগ্রস্ত মানুষজন।

এমন নাজুক পরিস্থিতিতে স্বীয় অর্থায়ণে পানি ভেঙে ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের  ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার পৌরসভাধীন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে নৌকাযুগে দ্বিতীয় দিনের মত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল—চাল, চিড়া, মুড়ি ও মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বস্তু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আসাদ, মাওলানা জুনায়েদ শামসী, মাওলানা হারিস প্রমুখ।


বন্যাগ্রস্ত বিভিন্ন গ্রামের মানুষজনদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ‘চতুর্দিকে পানি। বসতঘর ডুবে গিয়ে চরম বিপাকে দিন পার করছি। বাজারে যেতে না পারায় খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। কঠিন এই সময়ে জনদরদি ভাইসচেয়ারম্যান আবদুল্লাহ শাকির নিজ কাঁধে করে খাদ্য নিয়ে আমাদের দরজায় দরজায় হাজির। তাঁর এমন সেবায় আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দিক।’

ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ শাকিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বন্যায় প্লাবিত কানাইঘাট।পানিবন্দি মানুষজন না খেয়ে মৃতপ্রায় জীবন পার করছে। কঠিন এই পরিস্থিতিতে সাধ্যানুযায়ী মানুষের খেদমত করার চেষ্টা করছি। বন্যার প্লাবন থেকে আল্লাহ আমাদেরকে রেহাই দিক, আমার এ ক্ষুদ্রপ্রয়াসগুলোকেও কবুল করুন।’

কানাইঘাটে নৌকাডুবি, এখনো সন্ধান মেলেনি  ব্যবসায়ী হাবিবের

কানাইঘাটে নৌকাডুবি, এখনো সন্ধান মেলেনি ব্যবসায়ী হাবিবের


নিজস্ব প্রতিবেদক :

কানাইঘাটে নদী পারাপারের সময় নৌকাডুবিতে এক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেল পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।  

জানা যায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মমতাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানসহ চারজন নৌকায় করে মমতাজগঞ্জে সুরমা নদী পার হচ্ছিলেন। এসময় প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে গেলে বাকি তিনজন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও হাবিবুর রহমান (৫১) নিখোঁজ হন। তিনি কানাইঘাট উপজেলার নক্তিপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে। 

কানাইঘাটের বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী দিলেন জেলা প্রশাসক

কানাইঘাটের বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী দিলেন জেলা প্রশাসক


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান কানাইঘাটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি কানাইঘাটে আসেন।

এ সময় তিনি স্বচক্ষে বন্যা পরিস্থিতি দেখেন এবং পৌরসভার রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ডালাচর গ্রামের বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং নদীপথে কানাইঘাটের ভয়াবহ বন্যা প্রত্যক্ষ করেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনমুন নাহার আশা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ, সদর ইউপির চেয়ারম্যান প্রভাষক আফসর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।

ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, অনেক উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর মধ্যে কানাইঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য আজ আমি এখানে এসেছি। কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক খারাপ। এখানকার বেশীরভাগ মানুষ পানিবন্ধী অবস্থায়। এই মূহুর্তে সরকারের পাশাপাশি সিলেটের প্রশাসন বন্যা দুর্গতদের পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যে কানাইঘাটে বন্যা দুর্গতদের  জন্য ৩৯ মেট্টিক টন চাল ও ৫ শত প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পর্যায় ক্রমে ত্রাণ সামগ্রী আরো বেশী করে বরাদ্দ দেওয়া হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষনিক সিলেটের বন্যাপরিস্থিতি খোঁজ খবর আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছেন। সরকার বন্যা দূর্গতদের পাশে রয়েছে এবং  প্রয়োজনে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানসহ জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা কানাইঘাটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কথা জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরে বলেন ২০০৪ সালের পর কানাইঘাটে এবারের বন্যায় গোটা উপজেলা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। এই মুহুর্তে আরো বেশী করে ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন। পাশাপাশি ভাঙ্গনকৃত সুরমার ডাইকগুলো মেরামতের পাশাপাশি বেরিবাঁধ নির্মাণও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশ^স্ত প্রদান করেন। বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে কানাইঘাটের বন্যাদুর্গত মানুষের খোঁজ খবর নেওয়ায় জেলা প্রশাসক মজিবর রহমানকে উপজেলা পরিষদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ জনপ্রতিনিধিরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি কানাইঘাটে বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে সার্বক্ষনিকভাবে প্রতিটি এলাকায় ছুটে গিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর পাশাপাশি খোঁজ খবর অব্যাহত রাখায় এ সময় তার কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন সবাই। 

Tuesday, May 17

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, নৌকা ডুবে নিখোঁজ ১

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, নৌকা ডুবে নিখোঁজ ১


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সোমবার রাতে ভারি বর্ষনের ফলে উপজেলা প্রশাসন, পৌর শহর এলাকা থেকে শুরু করে ৯টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। 

মঙ্গলবার কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪৪ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কানাইঘাট বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে হাঁটু পানি থেকে কোমর পানি পর্যন্ত থাকায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখনো বানের পানিতে থৈ থৈ করছে। কানাইঘাট-দরবস্ত, গাজী বোরহান উদ্দিন রোডের নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট শহরের সাথে কানাইঘাট সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। পরিবহনের অভাবে জিনিসপত্রের সংকট দেখা দেয়ার পাশাপাশি হু হু করে বাড়ছে দাম। অনেক এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত। হাজার হাজার বাড়ী-ঘর এখনো পানির নিচে। দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধী অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোন ধরনের ত্রাণসামগ্রী পাচ্ছেন না। গ্রামীন পাকা, কাঁচা রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় লোকজন ঘর থেকে বাহির হতে পারছেন না।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মমতাজগঞ্জ বাজারের পাশে সুরমা নদীতে নৌকা ডুবে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির নক্তিপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান (৫০) নিখোঁজ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। 

উপজেলায় ১৭টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন উচু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানিবন্ধী প্রায় ২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান।

উপজেলার ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কৃষি, মৎস্য সেক্টরের বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করায় দিন দিন কানাইঘাটের বন্যা পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি হচ্ছে তা আরো কয়েকদিন বিরাজ করলে গোটা উপজেলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিবে বলে সচেতন মহল জানিয়েছেন।

প্রতিটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা বন্যায় আক্রান্ত পানিবন্ধী মানুষের পাশে এই মূহুর্তে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানসহ সবার প্রতি আহŸান জানিয়েছেন।

এদিকে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার পানিবন্ধী পরিবারের মাঝে নৌকাযোগে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন।

কানাইঘাটে পানিবন্দি মানুষের জন্য কাঁধে করে ত্রাণ পৌছালেন কাউন্সিলর জমির

কানাইঘাটে পানিবন্দি মানুষের জন্য কাঁধে করে ত্রাণ পৌছালেন কাউন্সিলর জমির


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছেন। কোথায় কোমর সমান অাবার কোথায় হাঁটু সমান পানি। 

এমতাবস্থায় কানাইঘাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বন্যা দূর্গত পানিবন্দী কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের জন্য নিজ কাঁধে ত্রাণ নিয়ে ছুটেছেন পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কামরান। 

মঙ্গলবার তিনি এবং তাঁর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক টিম এর সহোযোগিতায় পানিবন্দী মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার সামগ্রী পৌছে দেন।


কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কামরান জানান, সবজায়গায় পানি থাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার কোন বাহন না থাকায় আমি ও আমার স্বেচ্ছাসেবক টিম সবাই ত্রাণের প্যাকেট নিজেদের কাধে বহন করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দেই। মঙ্গলবার ২১০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 


Monday, May 16

কানাইঘাটে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে সাংসদ মজুমদার

কানাইঘাটে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে সাংসদ মজুমদার


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সিলেট-৫(কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেছেন, 'বন্যা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ,সব-সময় আমরা বন্যার পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বসবাস করে আসছি। দীর্ঘদিন পর কানাইঘাট উপজেলায় যে বন্যা দেখা দিয়েছে তা আমি সার্বিকভাবে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। এই মুহুর্তে আমাদের করনীয় হচ্ছে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে সুরমা ডাইকের বিভিন্ন এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ডাইকগুলো দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সরকারি অর্থায়নে  দ্রুত মেরামত  করা। এ নিয়ে পানি  উন্নয়ন বোর্ডের  উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমি কথা বলেছি যাতে করে ভবিষ্যতে বন্যা হলে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।'

সোমবার সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও বন্যা দুর্গতদের মাঝে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণকালে বন্যার্তদের উদ্দেশে  হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি এসব কথা বলেন। 

টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তৃতীয় দিনেও পৌর শহরের প্রশাসন পাড়া সহ পুরো উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পুরো উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ। সোমবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

এদিকে উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা সোমবার পরিদর্শন করেছেন সরকার দলীয় সাংসদ হাফিজ  আহমদ মজুমদার।   তিনি   প্রথমে   সকাল   ১০টায়  উপজেলার   সার্বিক   বন্যা   পরিস্থিতি   নিয়ে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান   আব্দুল   মুমিন  চৌধুরী   ও   নির্বাহী   কর্মকর্তা   সুমন্ত   ব্যানার্জি,  উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি   অবহিত হন। 

পরে   তিনি  নদীপথে  প্রথমে  সাতবাঁক ইউপির বন্যা কবলিত  লোভারমুখ,চরিপাড়া এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের মাঝে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করেন। 

পরে   তিনি   ২নং   লক্ষীপ্রসাদ   লপশ্চিম   ইউপির  সুরমা   ডাইকের   ভয়াবহ   ভাঙ্গন   কবলিত  কুওরঘড়ি-গৌরিপুর সহ বিভিন্ন এলাকা নদীপথে নৌকাযোগে দেখেন। এরপর তিনি লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখার পাশাপাশি মুলাগুল ও কাড়াবাল্লা বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। 

বন্যা কবলিতন এলাকা   পরিদর্শনকালে   পৃথক   পৃথক  ভাবে   উপজেলা   পরিষদের   চেয়ারম্যান   আব্দুল  মুমিন   চৌধুরী,জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদেরচেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ,  কানাইঘাট   থানার   অফিসার   ইনচার্জ   তাজুল  ইসলাম,   জকিগঞ্জ   উপজেলা   পরিষদের   ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিও আমির হোসেন খান, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলমাছ উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন চৌধুরী, সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব   শামীম,  লক্ষীপ্রসাদ  পশ্চিম   ইউপি  চেয়ারম্যান   মাও.   জামাল  উদ্দিন,  লক্ষীপ্রসাদ   পূর্বইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন সহ গণমাধ্যমকর্মী ও  জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


এদিকে গত রবিবার বিকেলে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সোমবার সকাল থেকে আবারো লোভা ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুরমা ডাইকের গৌরিপুর-কুওরঘড়ি এলাকায় ৬টি ভাঙ্গনকবলিত পয়েন্ট দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় কানাইঘাট বাজার, থানা গেইট,উপজেলা প্রশাসন পাড়ায় বানের পানি ঢুকে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়ি-ঘর বিধ্বস্তহওয়ার  খবর  পাওয়া  গেছে।   

এখনও  উপজেলার   বেশিরভাগ   ইউনিয়নের   হাজার  হাজার   বাড়ি-ঘর   বন্যারপানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি পানিবন্দী হয়ে পড়া মানুষজনকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ১৯ টনচাল বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণের পাশাপাশি আরো ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার আসবে বলেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।


এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদারের সাথে দেখা করে জরুরী ভিত্তিতে আরো ত্রাণ সামগ্রীপ্রেরণ এবং পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গন কবলিত ডাইক মেরামতের আহান জানান। 


অপরদিকে   হাফিজ   আহমদ   মজুমদার   জকিগঞ্জ  উপজেলার   বন্যা   দুর্গত   আটগ্রাম,  কাজলশাহ ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এলাকায় অবস্থান করে সাংসদ মজুমদার আবারো জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটের অন্যান্য বন্যা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে মস্তাক আহমদ পলাশ জানিয়েছেন। 

এদিকে গত রবিবার বিকেলে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সোমবার সকাল থেকে আবারোলোভা ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুরমা ডাইকের গৌরিপুর-কুওরঘড়ি এলাকায় ৬টি ভাঙ্গনকবলিত পয়েন্ট দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় কানাইঘাট বাজার, থানা গেইট,উপজেলা প্রশাসন পাড়ায় বানের পানি ঢুকে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়ি-ঘর বিধ্বস্তহওয়ার  খবর  পাওয়া  গেছে।   এখনও  উপজেলার   বেশিরভাগ   ইউনিয়নের   হাজার   হাজার   বাড়ি-ঘর   বন্যারপানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি পানিবন্দী হয়ে পড়া মানুষজনকে আশ্রয়দেওয়ার জন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত ১৯ টনচাল বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণের পাশাপাশি আরো ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার আসবে বলেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ,হু হু করে ঢুকছে পানি

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ,হু হু করে ঢুকছে পানি


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

গত রবিবার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও সোমবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকায় নতুন করে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। 

সোমবার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা ডাইকের গৌরিপুর-কুওরঘড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্ট দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার হাজার হাজার বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। 


সোমবার সিলেট-৫ কানাইঘাট-জকিগঞ্জ আসনের এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। 

এদিকে ভয়াবহ বন্যার কারণে উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বহু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সিলেট শহরের সাথে কানাইঘাটের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। 


 



 বর্ষাকালে ভ্রমণ করার সময় যে কাজগুলো করবেন

বর্ষাকালে ভ্রমণ করার সময় যে কাজগুলো করবেন

 

বর্ষাকালে ভ্রমণ করার সময় যে কাজগুলো করবেন

বর্ষায় প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। ভ্রমণপিপাসুরা এসময় নিজেকে এমন সৌন্দর্য থেকে দূরে রাখতে পারেন না। তবে বর্ষার সময় ভ্রমণে বের হলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। এসময় ভ্রমণ বেশি উপভোগ্য। তবে বর্ষাকালে ভ্রমণ করা কিছুটা কষ্টসাধ্যও। কারণ এসময় বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন বিড়ম্বনার পাশাপাশি থাকে অসুখ-বিসুখের ভয়ও। বৃষ্টির সময়ে ভ্রমণে গেলে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন-

পর্যাপ্ত কাপড়

ভ্রমণের জন্য বের হওয়ার আগে লাগেজ সাবধানে গুছিয়ে নিন। পর্যাপ্ত কাপড় সঙ্গে নিন। ভেজা কাপড় কিন্তু ত্বকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। তাই পর্যাপ্ত শুকনো কাপড় সঙ্গে রাখুন। যেন কোনো কাপড় ভিজে গেলেও দ্রুত পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

ছাতা ও রেইনকোট

বর্ষাকালে শুধু ভ্রমণের সময়েই নয়, বাইরে বের হলেও সঙ্গে ছাতা রাখুন। সেইসঙ্গে রাখতে পারেন রেইনকোট। বৃষ্টির সময় বাস বা ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রা করলে এই দুই জিনিস বেশি কাজে আসবে। বৃষ্টি থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে চলুন। কারণ হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকে।

পানির বোতল

বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত পানির বোতল। এসময় কিন্তু গরমকালের মতোই ডিহাইড্রেশন হওয়ার ভয় থাকে। একটানা দীর্ঘ ভ্রমণ করলে ঘেমে যাওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়। তাই পর্যাপ্ত পানি ও শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। 

ওয়াটার প্রুফড ব্যাগ

বর্ষাকালে যে ব্যাগ নিয়ে ভ্রমণে যাবেন সেটি যেন ওয়াটার প্রুফড হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। লাগেজ কিনতে চাইলে সেটি ওয়াটার প্রুফড ব্যাগ কিনা তা যাচাই করে নিন। এতে বৃষ্টির মধ্যেও লাগেজ ভিজে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

খাবার

ভ্রমণের সময় খুব বেশি ভারী খাবার খাবেন না। এতে হজমে সমস্যা সৃষ্টি হলে বিপাকে পড়বেন। এসময় ব্যাগের রাখুন শুকনো খাবার। ফলমূল ও জুসও রাখতে পারেন। দীর্ঘ জার্নিতে সেসব খাবার কাজে লাগবে। যেখানে বেড়াতে যাবেন, সেখানকার খাবার সম্পর্কে আগেই ধারণা নিয়ে যান। যেসব খাবার আপনি খেতে পারবেন, সেগুলোই খান। 

টিস্যু পেপার

বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কারের কাজে ব্যবহারের জন্য সঙ্গে রাখুন টিস্যু পেপার। সেইসঙ্গে রাখুন সুতির নরম কাপড়। ক্যামেরার লেন্স ও ত্বক পরিষ্কারের কাজে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। টয়লেটের ব্যাকটেরিয়া এড়াতে সঙ্গে রাখুন টয়লেট স্প্রে ও টয়লেট টিস্যু।

Sunday, May 15

কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল সুরমা ডাইকের বাঁধ কাটার চেষ্টা

কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল সুরমা ডাইকের বাঁধ কাটার চেষ্টা


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাটে যখন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এরই মধ্যে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল বাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর ডাইক বীরদল খালের বাঁধ কেটে ফেলার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, রবিবার ভোর রাত ৪টার দিকে এলাকার একদল দুর্বৃত্ত বীরদল খালের বাঁধ প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে ফেলে মারধর করে কোদাল ও সাবল দিয়ে দিয়ে বীরদল সুরমা নদীর খালের বাঁধের অনেকটা খাল করে কেটে ফেলার চেষ্টা করে। 

বাঁধ রক্ষার কাজে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কয়ছর আহমদ বিষয়টি দ্রুত কানাইঘাট থানা পুলিশ ওএলাকার লোকজনকে অবহিত করলে সাথে সাথে একদল পুলিশ এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ রক্ষা করতে সক্ষম হন। 

এ সময় এলাকার লোকজন বালু-মাটির বস্তা এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে বাঁধটি রক্ষা করতে না পারলে পুরো এলাকা সহ হাওরাঞ্চল এবং বাড়ি-ঘর তলিয়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হত। বন্যা দেখা দেয়ার পর থেকে বীরদল বাজার সংলগ্ন খালের বাঁধ কেটে দেয়ার সংবাদ জানতে পেরে গত শনিবার রাতে সেই এলাকায় পুলিশ সার্বক্ষণিক টহল ও খোঁজখবর নিতে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বীরদল খালের বাঁধটি এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঁধের উপর দিয়ে   বীরদল   বাজার   সহ   আশপাশের   অনেক   গ্রামের   যাতায়াতের   পাকা   ও   ইটসলিং   রাস্তারয়েছে। বাঁধের সম্মুখে সদর ইউনিয়নের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম অবস্থিত। যা গতবছর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে বালু ঋাট করা হয়েছিল। দুস্কৃতিকারীরা বাঁধটি সম্পূর্ণ পুরোপুরি   কেটে   ফেললে   বীরদল   বাজার,   ছোটদেশ   বাজার   সহ   সদর   ইউনিয়ন,   পৌরসভা,বাণীগ্রাম ইউনিয়ন, বীরদল বড়হাওর সহ আশপাশ এলাকা বন্যায় তলিয়ে যেত। ক্ষতিগ্রস্তহত এলাকার শত শত বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, বহু মৎস্য খামার, গবাদি পশুর খামার ইত্যাদির। এলাকাবাসী   বাঁধ   কাটার   সাথে   জড়িত  প্রকৃত   দুষ্কৃতিকারীদের  চিহ্নিত  করেআইনানুগ ব্যবস্থা সহ তাদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। 

এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানান, বীরদল সুরমা ডাইকের খালের বাঁধ কেটে ফেলার চেষ্টার সংবাদ আমরা পেয়েছি। ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের চিহ্নিতকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। 

কোন দুষ্কৃতিকারী চক্র বন্যার সুযোগে সুরমা ডাইক সহ কোন এলাকায় এভাবে বাঁধ কেটে ফেলারচেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 



কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, সুরমা ডাইকের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে ডুকছে পানি

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, সুরমা ডাইকের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে ডুকছে পানি


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকায় কিছুটা পানি কমলেও হাওর ও সমতল এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। 


রবিবার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১২১ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা ডাইকের গৌরিপুর-কুওরঘড়ি এলাকায় ৬ টি ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্ট দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

এখনও উপজেলার বেশির ইউনিয়নের হাজারহাজার বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন। 

উপজেলা   পরিষদের  চেয়ারম্যান  আব্দুল  মুমিন  চৌধুরী   ও  নির্বাহী  কর্মকর্তা  সুমন্তব্যানার্জি      রবিবার   বন্যা   কবলিত   দক্ষিণ   বাণীগ্রাম,   ঝিঙ্গাবাড়ী   ও   রাজাগঞ্জইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা সুরমা নদী যোগে পরিদর্শন করেন। 

এ সময় তাদের সাথে ছিলেন- বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার লোকমান উদ্দিন, রাজাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানমাও. সামছুল ইসলাম, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন। 

এছাড়া ২নংলক্ষীপ্রসাদ   পশ্চিম   ইউনিয়নের   বন্যা   কবলিত   এলাকায়   ত্রাণের   চাল   বিতরণ   করেন   তারা।ইতিমধ্যে   বন্যা   দুর্গতদের   জন্য   বরাদ্দকৃত   ১৯   মেট্রিকটন   চাল   প্রতিটি   ইউনিয়নে পৌঁছে   দেয়া   হয়েছে   এবং   বিতরণ   কার্যক্রম   শুরু   হয়েছে   বলে   নির্বাহী   কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানান। 

আরো ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রীয়ায় রয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ বন্যার কারনে উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বহু   শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে   পানি   ঢুকে   পড়েছে।   এখন   পর্যন্ত   সিলেট   শহরের   সাথে   সড়কযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। বন্যায় মৎস্য খামার ও গবাদি পশুর খামার সহ অন্যান্য কৃষি সেক্টরের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মুহুর্তে সরকারের পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকায়

বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিত্তশালী ও দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেএগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।