Wednesday, October 1

ছোট পর্দায় রিয়াজ-পপি

ছোট পর্দায় রিয়াজ-পপি


ছোট পর্দায় জুটি বাঁধলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও চিত্রনায়িকা পপি। প্রায় ৯ বছর পর হিমেল আশরাফের পরিচালনায় 'তবুও তুমি আমার' নাটকে তারা অভিনয় করলেন। নাটকটি ঈদে বাংলাভিশনে প্রচার হবে। এ প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, 'নতুন নাটকে কাজ করতে গিয়ে পুরনো দিনের কথাই মনে পড়েছে বারবার।' পপি বলেন, 'আমাদের দুজনের নতুন এ কাজটি আশা করি ভালো লাগবে দর্শকের।' রিয়াজ ও পপি ছোট পর্দায় প্রথম জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন এসএ হক অলিকের পরিচালনায় 'মেম সাহেব' টেলিফিল্মে। এটি ২০০৫ সালের কোরবানি ঈদে বাংলাভিশনে প্রচার হয়েছিল। এদিকে রিয়াজ ও পপি সর্বশেষ ২০০৮ সালে চন্দন চৌধুরী পরিচালিত 'কি জাদু করিলা' ছবিতে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছিলেন। তারা দুজন প্রথম জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন প্রয়াত পরিচালক মোঃ হান্নান পরিচালিত 'বিদ্রোহ চারিদিকে' ছবিতে।
ব্র্যাডের মিলিয়ন ডলারের ঘড়ি!

ব্র্যাডের মিলিয়ন ডলারের ঘড়ি!


বিনোদন ডেস্ক: হলিউড তারকাদের বিলাসী জীবনযাপনের কথা সবাই জানেন। তবে এবার ব্র্যাড পিট তার এক ঘড়ি দিয়েই বাজিমাত করে ফেললেন তার সমকক্ষ অনেককে। তবে বিয়ের উপহার বলে কথা। আর সেই উপহারকারী যদি হয় স্বয়ং স্ত্রী তখন সেই ঘড়িটা একটু মূল্যবান হবে বৈকি। কন্টাক্ট মিউজিক ডটকম সূত্রে জানা যায়, প্যাটেক ফিলিপের ১৯৫২ সালে নির্মিত প্লাটিনাম মডেলের এ ঘড়িটির দাম পড়েছে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্র্যাডের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত বিয়ের দিনের উপহারটি যেন সব কিছু থেকে আলাদা আর বিশেষ কিছু হয়, সেই চেষ্টাতেই জোলি এমন একটি ঘড়ি উপহার দিয়েছেন।
ঈদে রান্নাঘরের প্রস্তুতি

ঈদে রান্নাঘরের প্রস্তুতি


কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আর এ ঈদে রান্নাঘরের ওপর একটু বেশি চাপ থাকে। তাই রান্নাঘরের জিনিসপত্র এখন থেকেই গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন ঈদের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করলে ঈদের দিন কাজের চাপ কিছুটা কমবে। চাইলে ঈদের দিনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো এখন থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। মাংসের জন্য আদা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, তেজপাতা, গরম মশলা, গোলমরিচ, জায়ফল, শাহি জিরা, জয়ত্রী, ভিনেগার, পোস্তাদানা, সয়াসস, ওয়েস্টার সস, তেল, টক দই এবং প্রয়োজনীয় জিনিস আগেই কিনে রাখুন। মাংসের উপকরণের সঙ্গে সালাদ তৈরির উপকরণগুলোও কিনে নিতে পারেন আগে থেকেই। যেহেতু এ ঈদে মাংসের তৈরি খাবার বেশি খাওয়া হয়, এক্ষেত্রে আগে থেকেই টক দই কিনে ফ্রিজে রাখতে পারেন। উৎসব মানেই বাড়িতে অতিথির আগমন। তাই ঈদের দিন যাই করুন না কেন, অতিথি আপ্যায়নের কথাটা মাথায় রাখতে হবে সবার আগে। অতিথিদের মিষ্টিমুখ করাতে পায়েস, ফিরনি, সেমাই রান্না করে বা মিষ্টিজাতীয় কিছু কিনে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সাধারণত কোরবানির মাংসের মধ্যে কলিজা সবার আগে সংগ্রহ হয়ে যায়। তাই আপনি চাইলে অতিথিদের কলিজা দিয়ে পোলাও বা পরোটা খেতে দিতে পারেন। কোরবানির ঈদে চাপাতি, ছুরি, বঁটি খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই আগে থেকেই এসব জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন। চাপাতি, ছুরি, বঁটি শান দিয়ে রাখুন এবং কিচেন ক্যাবিনেটের নিরাপদ স্থানে রেখে দিন। যেহেতু কোরবানির ঈদ, তাই মশলা তো লাগবেই। আর এ মশলা পেষার জন্য শিল-নোড়া খোঁটায়ে রাখুন। এতে করে ঈদের দিন মশলা পেষা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না। পারলে এখনই ঠিক করে ফেলুন ঈদের দিন কী রাঁধবেন। কারণ কোরবানির মাংস রান্নার উপযোগী করতে অনেক সময় লাগবে। এছাড়া আগে থেকে কী রাঁধবেন তা ঠিক করে রাখলে রান্নার উপকরণগুলো গুছিয়ে রাখতে সহজ হবে। এতে করে প্রয়োজনের সময় সহজেই উপকরণ চোখে পড়বে এবং কাজের চাপ কিছুটা কমবে। কোরবানির ঈদে ফ্রিজের ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে, তাই আগে থেকেই লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজ বা ডিপ ফ্রিজের ভেতর মুছে রাখুন। ঈদের দিন দেখা যায়, রান্নাঘরে ময়লা চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। তাই এখনই একটি ঢাকনাওয়ালা ডাস্টবিন কিনে রাখুন, যাতে করে ময়লা নিয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়। রান্নার ক্ষেত্রে চামচ খুব প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই ছোট-বড় চামচ আলাদা করে একটি ট্রেতে রেখে দিন। কারণ চামচ পৃথক করে রাখলে স্বল্পসময়ে রান্নার কাজ শেষ করা যাবে। খাবার পরিবেশনের জন্য সার্ভিং ডিশ ও বড় বাটি কিনে রাখতে পারেন এখনই। ঈদের এক সপ্তাহ আগেই ওভেন, বেস্নন্ডার, রাইস কুকার এবং ফুড প্রসেসর পরিষ্কার করে রাখুন। রান্নাঘরের মেঝে ও কাঠের আসবাবপত্র ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। রান্নাঘরের জায়গাটি যদি হয় নিখুঁত, পরিপাটি হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কারণ পরিপাটি ঘরে কাজ করে কিছুটা হলেও শান্তি পাওয়া যাবে। * মারুফা আকতার অাঁখি
একনজরে কোরবানির মাসায়েল

একনজরে কোরবানির মাসায়েল


মুফতি আল আমীন: কার ওপর কোরবানি ওয়াজিব প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কোরবানির নিসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। আর নিসাব হলো, সোনার ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি বা ৮৫ গ্রাম, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৫৯৫ গ্রাম, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (আলমুহিতুল বুরহানি : ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১৭/৪০৫)। নিসাবের মেয়াদ কোরবানির নিসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কোরবানির তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কোরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার : ৬/৩১২)। কোরবানির সময় তিন দিন কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই কোরবানি করা উত্তম। (মুয়াত্তা মালেক : ১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে : ৪/১৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২৯৫)। প্রথম দিন কখন থেকে কোরবানি করা যাবে যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েজ। (সহিহ বোখারি : ২/৮৩২; কাজিখান : ৩/৩৪৪; আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৮)। কোরবানির উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের পর জবাই করলে কোরবানির দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০২; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১)। কোন কোন পশু দ্বারা কোরবানি করা যাবে উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ নয়। (কাজিখান : ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৫)। কোরবানির পশুর বয়সসীমা উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে। উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কোরবানি জায়েজ হবে না। (কাজিখান : ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৫-২০৬)। এক পশুতে শরিকের সংখ্যা একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কোরবানি করলে কারোটাই সহিহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের অধিক শরিক হলে কারও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (সহিহ মুসলিম : ১৩১৮; কাজিখান : ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭-২০৮)। শরিক নিতে হুশিয়ার কেউ আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য কোরবানি না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়ত করলে তার কোরবানি সহিহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরিকদের কারও কোরবানি হবে না। তাই সতর্কতার সঙ্গে শরিক নির্বাচন করুন। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৮; কাজিখান : ৩/৩৪৯)।
সোনাল চৌহানের নগ্ন ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

সোনাল চৌহানের নগ্ন ভিডিও নিয়ে তোলপাড়


কানিউজ ডেস্ক : এ যাবৎ নানা আলোচনার জন্ম দেয়া বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহান সম্প্রতি আরও একবার আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন। দিন কয়েক আগে অনলাইনে এ অভিনেত্রীর একটি নগ্ন ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে। আর বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একদিনের মাথায় এই ভিডিওটির দর্শক দুই লাখ ছাড়িয়েছে। যদিও ভিডিওটি এরই মধ্যে ইউটিউব থেকে মুছে ফেলার আবেদন করেছেন সোনাল। ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে সোনালকে দেখা গেছে পুরোপুরি নগ্ন অবস্থায়। একে একে নিজের পরনের কাপড় খুলে ফেলেন তিনি। এরপর একজন তরুণের সঙ্গে রোমান্সে জড়িয়ে পড়েন। অনেকে ভিডিওটিকে পর্ণো ফিল্মের সঙ্গেই তুলনা করছেন। যদিও ভিডিওটির নিজের নয় বলে জোর দাবি জানিয়েছেন সোনাল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই ভিডিওটির তরুণী আমি নই। সেটা ভাল করে লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে। কারণ আমি শারীরিক দিক থেকে আরও অনেক বেশি সিøম। গ্রাফিক্সের কারসাজির মাধ্যমে ভিডিওটি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি বেশ বিব্রত। কারণ অনেকেই আমাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমি আইনি সহায়তা নেব বলে ঠিক করেছি।
এবার ঢাকার পূজা মন্ডপগুলো ঘুরে দেখব

এবার ঢাকার পূজা মন্ডপগুলো ঘুরে দেখব


চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। সম্প্রতি তিনি থাইল্যান্ডে দুটি ছবির শুটিং শেষ করে দেশে ফিরেছেন। ঈদের ছবি ও পূজা নিয়ে আজকের 'আলাপন' বিভাগে কথা বলেছেন তিনি- নতুন ছবির শুটিং কেমন হয়েছে? প্রায় ২০ দিন দুটি ছবির শুটিং করেছি। খুব ভালোভাবেই 'শোধ' ছবির গানগুলোর দৃশ্যায়ন হয়েছে। গানের লোকেশন এবং কোরিওগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। ছবিটি দর্শকের ভালো লাগবে। ঈদে আপনার ক'টি ছবি মুক্তি পাবে? আমার দুটি ছবির কাজ শেষ হয়ে আছে। শুনেছি, 'হিটম্যান' ছবিটি মুক্তি পাবে। ছবিতে আমার বিপরীতে আছেন শাকিব খান। অ্যাকশন এবং রোমান্টিক গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়া 'কঠিন প্রতিশোধ' ও 'সেরা নায়ক' দুটি ছবি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্গা পূজা উপলক্ষে বিশেষ কোনো আয়োজন? শুক্রবার দেশে ফিরেই ছবির ডাবিং নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটছে। মা এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য দুর্গা পূজার শপিং করেছি। পূজায় ঢাকায় থাকব। এবার বাবাকে ছাড়াই পূজা করব। বাবাকে খুব মিস করছি। কারণ প্রতি বছর বাবার জন্য আমি নিজেই পূজার কাপড় কিনি। এবার কেনা হলো না। পূজা উপলক্ষে একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নেব। এবার ঢাকার পূজা ম-পগুলো ঘুরে দেখব। চলচ্চিত্র নিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা? আমি নতুন বেশ ক'টি চলচ্চিত্রে কাজ করছি। পাশাপাশি বিগ বাজেটের ছবির জন্য প্রস্তাব পেয়েছি। নিজের পোশাক এবং গেটআপে একটু পরিবর্তন নিয়ে আসব পর্দায়। আশা করছি, নতুন বছরে আমার বেশ ক'টি ছবি দর্শক এবং সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হবে। বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বলুন। ৩ অক্টোবর কাতারে প্রবাসীদের ঈদ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেব। আমাদের টিমে থাকছেন শাকিব খান ও জেমস। অনুষ্ঠান শেষ করে ৮ তারিখ দেশে ফিরেই নতুন ছবির শুটিং শুরু করব। * নিপু বড়ুয়া
হজের আদব ও বৈশিষ্ট্য

হজের আদব ও বৈশিষ্ট্য


শায়খ ড. আলী আবদুর রহমান হুজাইফি: হজ শ্রেষ্ঠতম ইবাদত, চাই তা ফরজ হোক বা নফল। এর অশেষ সওয়াব ও প্রতিদান উভয় জগতে পাওয়া যায়। তবে হজের অসংখ্য কল্যাণ ও উপকারিতা সে-ই লাভ করবে, যে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য তা পালন করবে এবং হজের কাজগুলো প্রিয় নবী (সা.) এর সুন্নত ও তরিকা মোতাবেক আদায় করবে। হজের কিছু রুকন, শর্ত, ওয়াজিব ও আদব রয়েছে। যে হজের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে আদায় করবে তার পাপরাশি মোচন হবে, অশেষ নেকি পাবে এবং জান্নাতে তার মর্তবা বুলন্দ হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করল এবং কোনো অশ্লীল ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হলো না, সে এমনভাবে গোনাহমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরবে, যেভাবে শিশু মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম লাভ করে।' (বোখারি ও মুসলিম)। তিনি আরও বলেন, মাবরুর হজের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়। (বোখারি, মুসলিম)। হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) কে নবীজি (সা.) বললেন, 'হে আমর! তুমি কি জান না! ইসলাম গ্রহণ পূর্ববতী যাবতীয় পাপ ধ্বংস করে দেয়। আর হিজরত আগের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়। আর হজ পেছনের সব অন্যায়-অপরাধ নির্মূল করে দেয়।' (মুসলিম)। হজ বিশ্বের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মিলন। এখানে শিক্ষিত-অশিক্ষিত, রাজা-প্রজা, পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড়, সুস্থ-অসুস্থ, ধনী-দরিদ্র সর্ব শ্রেণীর মানুষের সম্মিলন ঘটে। গোত্র, বর্ণ, ভাষার ব্যবধান ভুলে তারা এখানে ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ঐক্য ও সাম্যের প্রকাশ ঘটায়। হজের সময়ে বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেন। পরস্পরে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও হৃদ্যতার পরিচয় দেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই মোমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।' (সূরা হুজরাত : ১০)। হজরত নোমান বিন বশির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, 'পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসার ক্ষেত্রে মোমিনরা এক দেহের মতো। দেহের কোনো অঙ্গ ব্যথিত হলে সে ব্যথা পুরো দেহ অনুভব করে।' (বোখারি ও মুসলিম)। পবিত্র ইসলাম মোমিনদের উত্তম আদব, শিষ্টাচার ও অনুপম চরিত্র অর্জনের নির্দেশ দিয়েছে। হজের মৌসুমে যেহেতু নানা দেশের, নানা স্বভাবের ও মেজাজের মানুষের সমাবেশ ঘটে, তাই বিশেষ করে সে সময় তর্ক-বিতর্কে জড়ানো এবং ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'হজের মাস নির্ধারিত। যে ব্যক্তি এ মাসে হজ পরিপূর্ণ করার ইচ্ছা করে, তার জন্য অন্যায়, অশোভন উক্তি ও কাজ এবং ঝগড়া-বিবাদে জড়ানো জায়েজ নেই। তোমরা যা কিছু পুণ্য কাজ কর, আল্লাহ তা জানেন।' (সূরা বাকারা : ১৯৭)। হজের গুরুত্বপূর্ণ আদব হচ্ছে_ নিষিদ্ধ কাজ ও অশোভন উক্তি থেকে বিরত থাকা। বেশি করে জিকির, তালবিয়া ও কোরআন তেলাওয়াত করা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'বায়তুল্লাহর তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ, জামারায় পাথর নিক্ষেপ_ প্রবর্তন করা হয়েছে আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠার জন্য।' (মুসনাদ আহমাদ)। হজের সময়ে বিনম্রভাবে কথা বলা, সালামের প্রসার ঘটানো, সদকা করা এবং মেহমানদারি পুণ্যময় হজের বৈশিষ্ট্য। এমনিভাবে অন্তরকে স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সব মুসলমানের জন্য দোয়া ও হিত কামনা করা হজের অন্যতম আদব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, '(মুহাজির ও আনসারি সাহাবাদের) পরে যারা আগমন করেছে, তারা বলে_ হে আমাদের প্রভু! আমাদের এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদের ক্ষমা করো এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ রেখো না। হে প্রভু! নিশ্চয়ই তুমি দয়ালু, পরম করুণাময়।' (সূরা হাশর : ১০)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, 'যার মধ্যে তিনটি জিনিসের সমন্বয় হবে, তার প্রতি কোনো মুসলিমের অন্তরে হিংসা, বিদ্বেষ জন্মাবে না। তা হচ্ছে_ ১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল করা। ২. মুসলিম নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলদের কল্যাণ কামনা করা। ৩. মুসলমানদের সঙ্গে জামাতবদ্ধ থাকা।' (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)। এ গুণ তিনটির কারণে সে মুসলমানদের দোয়ায় শামিল হবে এবং ইসলামের সুদৃঢ় দুর্গে হেফাজতে থাকবে। এ কথা স্পষ্ট, হজ পালনে এসে প্রতিটি মুসলমান আনন্দবোধ করেন। কেননা বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে তার দেখা-সাক্ষাৎ হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি হজের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে, সে নিজের ও সব মুসলমানের প্রতি অনুগ্রহ করে। আর যার হজ সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে, তার জীবন সুন্দর হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি মুসলমানদের কষ্ট দেয়ার জন্য কিংবা অন্যায় কাজের জন্য অথবা অসৎ কোনো উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে বা হজের শিক্ষাকে ভূলুণ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে মক্কায় আগমন করে, সে আল্লাহর সম্মানিত শহরে ধর্মদ্রোহী কাজ করল। আর যে সম্মানিত শহরে ধর্মবিরোধী কাজ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে অবশ্যই শাস্তি দেবেন। তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি মসজিদে হারামে অন্যায়ভাবে ধর্মদ্রোহী কাজ করার ইচ্ছা করে, আমি তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাবো।' (সূরা হজ : ২৫)। মুসলমানদের এ বার্ষিক মহাসম্মিলন বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে বিরাট প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, হজ বিশ্বময় তাওহিদের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষালয়। ইসলামের প্রচার-প্রসারে এবং তাবলিগের ক্ষেত্রে হজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও হজের রয়েছে বিরাট প্রভাব এবং উপকারিতা। কেননা হজের সময়ে মুসলমানরা পরস্পরে নিজেদের সমস্যাগুলো আলোচনা করে থাকেন। তখন তাদের জ্ঞানের প্রসার ঘটে এবং নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সেগুলো প্রসার করতে পারে। সুতরাং মুসলমানদের এ সম্মেলন একে অন্যের পরিপূরক। আর মুসলমানদের বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য স্থাপনের ক্ষেত্রে এ মহাসম্মিলনের প্রভাব সম্পর্কে যতই বলা হবে, তা কমই বলা হবে। ২ জিলহজ মদিনার মসজিদে নববিতে প্রদত্ত জুমার খুতবার সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন মাহবুবুর রহমান নোমানি