এক মুমূর্ষু রোগীর সঙ্গে প্রতারণা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়ক ও শিল্পপতি অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লামিয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধিভুক্ত শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদফতর (ডেডো) থেকে রফতানিকারকদের গ্যাস বিলের বিপরীতে মূশক বাবদ অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরিদফতরেই চেক ইস্যু করার জন্য সব প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিশেষ কারণে এই সুবিধা চার বছর বন্ধ থাকে।
এদিকে পোলো কম্পোজিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত জলির এই টাকা উত্তোলনের জন্য আমাকে প্রস্তাব দিলে আমি তার প্রস্তাব গ্রহণ করি। এরপর আমাকে তার কাজ দেওয়ার শর্তে জামানত হিসেবে আমার ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে রাখে। আর উভয়পক্ষের ফিফটি-ফিফটি শতাংশের এক চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়। বিজিএমইএ’র সহযোগিতায় ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এনবিআর চেয়ারম্যানের পুনঃঅনুমোদন লাভ করি।
এরপর পরিচালক মুজতবা আলীর সঙ্গে বিজিএমইএ টিম লিডার নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করি। তিনি এক সপ্তাহ পর আমাকে চেক প্রদানে রাজি হন। তিনটি চেকের মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৩৮২ টাকা, যার পঞ্চাশ শতাংশ হচ্ছে, ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার ১৯১ টাকা। এরমধ্যে আমাকে মাত্র ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে আরবিটেশন বিভাগের বিচারক এ টি এম মতিন ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রশাসনিক প্রহসনের মাধ্যমে আমাকে ৫ লাখ টাকা নিতে বাধ্য করেন। আর পুলিশের কাছে যেতে নিষেধ করে হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলে আমি অভিযোগ করেছি। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানে মূসক অব্যাহতির সনদ এনে দেই। এখনো প্রতি মাসে ১৫ লাখ টাকা সে অব্যাহতি সুবিধা পায়।
তিনি আরো বলেন, অনন্ত জলিলের শ্যালক জি এম শরীফ ও নেপচুন গ্রুপের মালিক সালাউদ্দিন হাওলাদারের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আমার পাওনা ৫৬ লাখ টাকা না দেওয়ার চক্রান্ত করে। পরে আমি সিএমএম আদালতে মামলা করি। আর অনন্ত জলিলের পক্ষে আমার বিরুদ্ধে সাভার আমলি আদালতে মামলা হয়। উভয় মামলায় আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইএ’র এসআই আনোয়ার হোসেন এবং আনিসকে প্রভাবিত করেন অনন্ত জলিল।
সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়