কানাইঘাট লোভা ও দনা সীমান্তে গত ১৩ অক্টোবর সকালে ভারতীয় অস্ত্রধারী
খাসিয়াদের গুলিতে নিহত মামুন উদ্দিন (২৮) এর লাশ আদালতের নির্দেশে শনিবার
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া
সুলতানা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুসিকান্ত হাজংয়ের উপস্থিতিতে
কানাইঘাট থানা পুলিশ মামুনের অর্ধগলিত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে।
উত্তোলনের পর নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা লাশের প্রাথমিক সুরতহাল
রির্পোট তৈরী করেন। পরে থানা পুলিশের হেফাজতে খাসিয়াদের গুলিতে নিহত
মামুনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক মর্গে প্রেরন করা হয়।
লাশ উত্তোলনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি (তদন্ত)
মোঃ নুনু মিয়া, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়েজ আহমদ, স্থানীয়
ইউপি সদস্য, মজির উদ্দিন, সাংবাদিক আব্দুর রব, মামুন নিহতের মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই লিটন মিয়া এবং নিহতের স্বজন ও উৎসুক শত শত
জনতা।
প্রসঙ্গত যে, গত ১৩ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী
লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সোনারখেওড় গ্রামের দরিদ্র জালাল উদ্দিনের পুত্র
মামুন উদ্দিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তের
১৩২৮ মেইন ফিলার এলাকায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং পুঞ্জির অস্ত্রধারী
খাসিয়ারা গুলি করে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখে। ঐ দিন বিকেল ২টার সময়
স্থানীয় লোকজন নিহত মামুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করে ১৪
অক্টোর তার পিতা জালাল উদ্দিন অজ্ঞাত নামা আসামী করে থানায় একটি মামলা
দায়ের করেন। ময়না তদন্ত ছাড়া মামুনের লাশ দাফন করায় সিলেটের সিনিয়র
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৫ এর বিজ্ঞ বিচারক পুনরায় তার লাশ
উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। আদালতের সেই নিদের্শে গতকাল
মামুনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়