Thursday, June 1

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা বলেছেন, সিদ্ধান্তটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আমেরিকা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম কার্বন নি:সরনকারী দেশ। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি কার্বন নি:সরন কমানেরা এ ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় তবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর আন্দোলনে বড় আঘাত হয়ে দাঁড়াবে।

ফ্রান্সের প্যারিসে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনতে প্রায় ২০০টি দেশ একমত হয়। ঐতিহাসিক ওই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৫ সাল নাগাদ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ ২০০৫ সালের নিঃসরণের তুলনায় ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা।

অতীতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। যদিও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিষয়ে বুধবার নিজের টুইটে স্পষ্ট করে কিছু বলননি ট্রাম্প।

তার টুইট, 'আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্যারিস চুক্তি নিয়ে আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাব'। গত শনিবার জি৭ (বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর সম্মেলন) সম্মেলনেও জলবায়ু চুক্তিতে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প।

তারপর এক টুইটে তিনি এ সপ্তাহে জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার কথা জানিয়েছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একজোট হয়ে লড়াইয়ের জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে এক সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তি সই হয়, যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ স্বাক্ষর করে।

বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৯৫টি দেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। শুধুমাত্র সিরিয়া ও নিকারাগুয়া ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।

ওই চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা এবং নিয়মিত অগ্রগতি পর্যালোচনার বিষয়ে দেশগুলো নিজেরা আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গুঞ্জন ওঠার পরই গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্স সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তাঁর মন্ত্রিসভাকে বলেছেন, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে তাঁর দেশ ‘অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা’ পালন করবে।

ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোন সেফকোভিচ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়