Saturday, December 31

আজাব থেকে মুক্তি লাভে করণীয় ও বর্জনীয়

আজাব থেকে মুক্তি লাভে করণীয় ও বর্জনীয়


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পরকালে মানুষের চিরস্থায়ী জীবনের চূড়ান্ত ফয়সালার বিচারক হবে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। যে দিন মানুষের আমল অনুযায়ী ফয়সালা প্রদান করা হবে। যারা নেককার বান্দা হবে তারা ডান হাতে আমলনামা পাবে এবং জান্নাতে স্থান পাবে। আর যারা প্রতিদান দিবসে আল্লাহ তাআলার দরবারে আসামী হয়ে যাবে। দুনিয়ার কোনো কাজের হিসাব দিতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা তাদের বাম হাতে আমলনামা ধরিয়ে দিবে। তারা হবে জাহান্নামী। দুনিয়ার কোনো মানুষই চাইবে না যে, তারা অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে জাহান্নামে পতিত হোক। তাই পরকালের প্রতিদান দিবসে সফলতা লাভে কিছু কাজ মেনে চলতে হবে। আর কিছু কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে হবে। যা তুলে ধরা হলো- যা পালন করতে হবে ক. নিয়মিত নামাজ-আদায় করতে হবে; খ. দুনিয়াতে চলাফেরায় বেশি বেশি সদকা- করতে হবে। গ. তারতিলের সঙ্গে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। ঘ. সকাল-সন্ধ্যায় বেশি বেশি তাসবিহ পড়তে হবে। যা করা যাবে না ক. কখনো মিথ্যা-কথা বলা যাবে না; খ. অপরের সম্পদ (হক) অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা যাবে না। গ. কোনোভাবেই চোগলখুরী করা যাবে না। এক জনের দোষ অন্যের কাছে বলে বেড়ান যাবে না। ঘ. পেশাবের ছিঁটে-ফোঁটা থেকে বেঁচে থাকাতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- পেশাবের ছিটা হতে বেঁচে থাক। কেননা অধিকাংশ মানুষের কবরের আজাব হবে পেশাবের ছিটার জন্য। (নাউজুবিল্লাহ) পরিশেষে… আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের আজাব থেকে বেঁচে থেকে সফলতা লাভে উল্লেখিত করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Friday, December 30

যেভাবে নিজের পরিচয় দিলেন বিশ্বনবি

যেভাবে নিজের পরিচয় দিলেন বিশ্বনবি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ব জাহানের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। তাঁর আগমন সম্পর্কে পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবসহ অসংখ্য সীরাত গ্রন্থ রয়েছে। যাতে তাঁর পরিচয় ওঠে এসেছে। কিন্তু বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের জানার আগ্রহে তিনি নিজেই তাঁর পরিচয় তুলে ধরেছেন। যা তথ্যভিত্তিক ঐতিহাসিক সীরাতগ্রন্থ ইবনে হিশামে ওঠে এসেছে। তা তুলে ধরা হলো- ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক বলেন, সাওর ইবনে ইয়াজিদ বর্ণনা করেছেন যে, সাহাবায়ে কেরাম একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার নিজের সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, শোনো। আমি পিতা ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম)-এর দোয়ার ফল এবং ভাই ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর সুসংবাদের পরিণতি। আমি (মায়ের) গর্ভে আসার পর আমার মা স্বপ্নে দেখেন যে, তাঁর মধ্য থেকে একটা জ্যোতি বের হয়; যার ফলে সিরিয়ার প্রসাদসমূহ আলোকিত হয়ে যায়। আর আমি হাওয়াযেন গোত্রের বনী সায়াদ বিন বকর শাখার ধাত্রীর (বিবি হালিমা) কোলে লালিত-পালিত হই। ধাত্রীমাতা হালিমার গৃহে অবস্থানকালে একদিন আমার এক দুধভাই-এর সাথে আমাদের (ধাত্রী মাতা হালিমার) বাড়ীর পেছনে মেষ চরাতে যাই। তখন সাদা কাপড় পরিহিত সোনার (পাত্র) তশতরী ভর্তি বরফ নিয়ে দু’জন লোক আমার কাছে আসে। তারা আমাকে ধরে আমার পেট কেটে ফেলে। অতঃপর আমার হৃদপিণ্ড বের করে তাও কেটে ফেলে। হৃদপিণ্ডের মধ্য থেকে এক ফোটা কালো জমাট রক্ত বের করে তা ফেলে দেয়। তারপর তশতরী ভর্তি ওই বরফ দিয়ে আমার পেট ও হৃদপিণ্ড ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়। অতঃপর তাদের একজন অপরজনকে বললো, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর উম্মাতের দশজনের সাথে ওজন কর। সে আমাকে আমার উম্মতের দশজনের সঙ্গে পরিমাপ করলো এবং আমি ওজনে দশজনের চাইতে বেশি হলাম। অতপর সে আবার বললো, তাঁকে তাঁর উম্মাতের একশ’ জনের সাথে ওজন কর। ওজন করার পর আমি একশ’ জনের চাইতেও বেশি হলাম। অতপর তারা আবার বললো, তাঁকে তাঁর উম্মাতের এক হাজার জনের সাথে ওজন কর। আমাকে এক হাজার জনের সাথে ওজন করলে আমি এবারও ওজনে এক হাজার জনের চেয়ে বেশি হলাম। অতপর ওই ব্যক্তি বললো, রেখে দাও, আল্লাহর কসম, তাঁকে যদি তাঁর সমগ্র উম্মাতের সাথেও ওজন করা হয়, তাহলেও তিনি তাঁদের সবার চেয়ে ওজনে বেশী হবেন।’ (সুবহানাল্লাহ) বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবেই তাঁর পরিচয় বর্ণনা করেন। যা উম্মতে মুসলিমার জন্য এক অনুপম শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্ষ বিদারণ ছিল ইসলামের ইতিহাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য দুনিয়ার যাবতীয় কাজে নিজেদের কুলুষমুক্ত রাখার অনুপ্রেরণা। রবিউল আউয়াল মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত আলোচনা, আদর্শ প্রচার, প্রসার এবং তা উম্মতের জীবনে বাস্তবায়ন হোক নবি প্রেমিকদের ঈমানের দাবি। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদীকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আলোকিত জীবনের অনুপম আদর্শ গ্রহণ করে উত্তম জীবন-জিন্দেগি যাপন করার সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।

Thursday, December 29

 জৈন্তায় টিউবয়েল খননের গর্ত থেকে বেরোচ্ছে ‘পকেট গ্যাস’!

জৈন্তায় টিউবয়েল খননের গর্ত থেকে বেরোচ্ছে ‘পকেট গ্যাস’!


মো. হানিফ, জৈন্তাপুর:: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লক্ষীপুর আমবাড়ি গ্রামে টিউবওয়েল খনন করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে ‘পকেট গ্যাস’। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক থাকলেও সংশ্লিষ্টরা কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরেজমিনে জানা যায়, বুধবার আমবাড়ি গ্রামের মানিক মিয়া নিজের বাড়িতে টিউবওয়েল খনন কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা যখন খনন কাজ শুরু করছিলেন, খনন করতে করতে ভ‚গর্ভের ১৩০ ফিট নীচে যাওয়ার পর খননকাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ বেরিয়ে আসে। এসময় আশপাশের মাটিও উপরের দিকে উঠতে থাকে। এতে করে সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এদিকে এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেটের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড ডিজিএম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হোসেন রব্বানী, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের উপ-ব্যবস্থাপক সোহেল মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের উপ-ব্যবস্থাপক ভ‚তত্ত¡বিদ ডা. মো. ফরহাদুজ্জামান, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির, জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান। পরে প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘টিউবওয়েল খননকালে মাটির নীচ থেকে পকেট গ্যাস বেরিয়েছে। ভূ-গর্ভের ১৫০ হতে ৪৫০ ফুট গভীরে কিংবা এর কম-বেশি গভীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পকেট গ্যাস পাওয়া যায়। আমার মতে, এখানে গ্যাসের তেমন কোন চাপ নেই। যদি বেশি রকম চাপ থাকত তাহলে পুরো এলাকায় ভূ-কম্পের সৃষ্টি হত। এ গ্যাস সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত বের হতে পারে।’ তিনি এলাকার জনসাধারণকে সতর্কতা হিসেবে টিউবওয়েল খননকাজের আশপাশে আগুন না জ্বালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলের পাশে দুই দিনের জন্য গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। -
কাঁচা কলার অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ

কাঁচা কলার অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ

কাঁচা কলার অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ফল হিসেবে কলা অনেকে পছন্দ করলেও, সবজি হিসেবে কলা অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু সবজি হিসেবে কাঁচা কলা বেশ স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন, মিনারেলসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ একটি সবজি কাঁচা কলা। রোগীর পথ্য হিসেবে কাঁচা কলা পরিচিত থাকলেও স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। জেনে নেয়া যাক কাঁচা কলার স্বাস্থ্যগুণ।

১। হজমে সাহায্য
আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজমযোগ্য। কাঁচা কলা পেটের ভিতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলা সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

২। ওজন হ্রাস:
ওজন কমাতে চান, তবে খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচা কলা! কাঁচা কলার ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কাটতে সাহায্য করে। কাঁচা কলার তরকারি খাদ্য তালিকায় রাখা বয়ে আনবে অনেক রকমের সুফল।

৩। ডায়ারিয়া প্রতিরোধ
কাঁচা কলায় থাকা এনজাইম ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। ডায়রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৪। চিনি নিয়ন্ত্রণ:
কলার আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে দুই টাইপ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৫। কোলন ক্যান্সার
কাঁচা কলা কোলন থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশন দূর করে কোলনকে সুস্থ রাখে। দীর্ঘমেয়াদী কোলন সংক্রান্ত রোগ দূর করতে কাঁচা কলা বেশ কার্যকরী।

৬। উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর উৎস
কাঁচা কলা ভিটামিন বি-৬ এর অন্যতম উৎস। এক কাপ সিদ্ধ কাঁচা কলা দৈনিক ৩৯% ভিটামিন বি-৬ চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এছাড়া ভিটামিন বি-৪ রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ করে।

৭। পটাশিয়ামের উৎস:
পাকা কলার মত কাঁচা কলায়ও প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। এক কাপ কাঁচা কলায় রয়েছে ৫৩১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। দ্যা আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েসন গবেষণায় প্রকাশ করেছে যে, প্রতিদিন ৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। তবে পটাশিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্ত চাপ আক্রান্ত রোগী অথবা কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের কিছুটা সাবধানে কাঁচা কলা গ্রহণ করা উচিত।
অবসরে গেলেন আনা ইভানোভিচ

অবসরে গেলেন আনা ইভানোভিচ

অবসরে গেলেন আনা ইভানোভিচ
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের সাবেক এক নম্বর টেনিস তারকা আনা ইভানোভিচ। শারীরিক পরিশ্রমকেই অবসেরর পিছনে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এই সার্বিয়ান।

ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন তিনি।

২৯ বছর বয়সী আনা ২০০৮ সালে ১২ সপ্তাহের জন্য ডব্লিউটিএ বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন। ওই মৌসুমে ক্যারিয়ারের একমাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা লাভের কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন আনা।

১৩ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে আনা বলেছেন, ‘পেশাদার টেনিস থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা নিতেই হলো। আমি বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ছিলাম। ২০০৮ সালে রোলা গ্যাঁরোতে শিরোপা জিতেছি। এতটা উপরে উঠতে পারবো তা কখনই চিন্তা করিনি। ক্যারিয়ারে ১৫টি ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেছি। তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে খেলেছি, ফেড কাপের ফাইনালেও খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এছাড়াও অনেকগুলো স্মরণীয় ম্যাচে খেলেছি। কিন্তু যেকোন পেশাদার সার্কিটেই শারিরীক ফিটনেস থাকাটা জরুরী। আমার ক্যারিয়ার বেশ কয়েকবারই ইনজুরির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে পারফর্ম করতে পারলে আমি খেলাটা চালিয়ে যেতাম।’

গত সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন ইভানোভিচ। ওই ম্যাচটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ ছিল। এই পরাজয়ে ২০১০ সালের পরে প্রথমবারের মত র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫০ থেকে নেমে যান। ওই সময়ই মূলত তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২০১৭ সাল পর্যন্ত পেশাদার টেনিসে খেলা চালিয়ে যাবেন। হাতের ইনজুরির কারণে অবশ্য পরবর্তীতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় এবং একটু আগে ভাগেই অবসরের ঘোষণা দেন।

ডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান স্টিভ সাইমন ইভানোভিচকে একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন ও নারী টেনিস অঙ্গনের একজন অসাধারণ দূত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সাইমন বলেন, দেশের হয়ে টেনিসে তার অবদান অনস্বীকার্য। অবশ্যই তার অনুপস্থিতি অনুভূত হবে। ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ে খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড়ই এক নম্বরে উঠতে পেরেছে।
পরীক্ষায় ফেল করে ২ ছাত্রীর আত্মহত্যা

পরীক্ষায় ফেল করে ২ ছাত্রীর আত্মহত্যা

পরীক্ষায় ফেল করে ২ ছাত্রীর আত্মহত্যা
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষায় ফেল করে হতাশায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
    
শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ): শ্রীনগরে জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাশাখোলা গ্রামের ভ্যান চালক আবদুল বাসেরের মেয়ে আসমা আক্তার পরীক্ষায় ফেল করার খবর শুনে গলায় ফাঁস দেয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার  মোঃ মনির হোসেন মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসমা এবছর মজিদপুর দয়হাটা কেসি ইন্সটিটিউশন থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। অভাবের সংসারে দরিদ্র পিতার কষ্টার্জিত অর্থে লেখাপড়া করে পাস না করার বিষয়টি আসমা মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ হাসপাতালে এসে লাশটি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মুরাদনগর (কুমিল্লা): জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় অন্তরা দেবনাথ নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তরা দেবনাথ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের শংকর দেবনাথের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অন্তরা দেবনাথ উপজেলার যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে তার অকৃতকার্য হওয়ার খবর পায়। পরে সে বাড়িতে এসে বিকালের দিকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, জেএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে অন্তরা নামের ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ত্রিপোলির সমুদ্র সৈকতে ১১ জনের লাশ উদ্ধার

ত্রিপোলির সমুদ্র সৈকতে ১১ জনের লাশ উদ্ধার

ত্রিপোলির সমুদ্র সৈকতে ১১ জনের লাশ উদ্ধার
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির সমুদ্র সৈকতে ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ত্রিপোলির পার্শ্ববর্তী হাই আল আন্দালুস সৈকত ও রাজধানী থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অপর একটি এলাকা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।

সমুদ্রপথে ইউরোপ পাড়ি জমাতে গিয়ে মারা গেছেন এই ১১ অভিবাসন প্রত্যাশী।

রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আল-ফালাহ জানান, ‘লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের ত্রিপোলি শাখার কয়েকটি টিম ত্রিপোলির আশপাশের সৈকতে ভেসে আসা ১১টি লাশ উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার ত্রিপোলির কয়েকটি সৈকতে লাশ ভেসে এসেছে এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে যান। পরে সেখান থেকে হতভাগ্য ওই অভিবাসন প্রত্যাশীদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া হয়ে সমুদ্র পথে মানবপাচারের হার বেড়ে গেছে। চোরাকারবারীরা এ পথকে তাদের সহজ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে। ২০১১ সালে লিবিয়ায় মুহাম্মদ গাদ্দাফির বিরুদ্ধে জনগণের রোষ ব্যাপক আকার ধারণ করলে এ পথকে তারা সহজতম পথ হিসাবে বেছে নেয়। ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ পাড়ি জমাতে এই চক্রটি অনেক আগে থেকেই সক্রিয় ছিল। তবে শুধু যে চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্যর কারণে এসব ঘটনা ঘটছে তা নয়, অনেকে নিজস্ব উদ্যোগেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথে যাচ্ছে।

আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর শেষ পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। অনেকে পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা থেকে ডিঙ্গি নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশে রওনা হয়। ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন হয় তাহলে তাদের পূরণ হয় কাঙ্ক্ষিত বাসনা অন্যথায় হতে হয় সলিল সমাধি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব মানুষের পরিচয় অজ্ঞাত রয়ে যায়। কারণ সাগরেই তাদের সলিল সমাধি হয়ে যায়। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ভূমধ্যসাগর দিয়ে এভাবে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে চলতি বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

সূত্র: গার্ডিয়ান।
সিলেটে ইজতেমার প্রথমদিনেই মুসল্লিদের ঢল

সিলেটে ইজতেমার প্রথমদিনেই মুসল্লিদের ঢল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৩২বছর পর সিলেটে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন জেলা ইজতেমা। তিনব্যাপী ইজতেমা শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই ইজতেমা। জেলার দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কে পাশে লতিপুর-খিদিরপুর এলাকার আয়োজিত ইজতেমাস্থলে বুধবার থেকে আসতে শুরু করে মুসল্লিরা। ইতিমধ্যে প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটেছে। তবে বিদেশি মুসল্লিরা দু-একদিন আগেই ইজতেমাস্থলে এসে পৌঁছেছেন। ইজতেমা উপলক্ষে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাড়ে ১৫ লক্ষ বর্গ ফুট আয়তনের বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণসহ মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্তে ১১ টি খিত্তা ভিত্তিক এলাকায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিদেশি অতিথিদের জন্য তিনটি আলাদা পাকা শেড নির্মাণ করা হয়েছে। মুসল্লিদের ওজু-গোসলের জন্য ১১ টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবির পক্ষ থেকে ২টি নতুন ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। তাছাড়া সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার পক্ষ থেকে মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়েছে ইজতেমা ময়দানে। অসুস্থদের জরুরী ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হিসেবে আল মারকাজুল খায়েরী আল ইসলামীর অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক ইজতেমা মাঠে থাকবে। রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকেও একটি হেলথ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। পয়:নিষ্কাশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার লেট্রিন।
তাবলীগ এর ছয় (৬) নম্বর

তাবলীগ এর ছয় (৬) নম্বর


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মোটমুটি কযেকটা গুণের উপর মেহনত করিয়া আমল করিতে পারিলে দ্বীনের উপর চলা অতি সহজ। গুণগুলো হচ্ছে :- ১) কালেমা , ২) নামায , ৩) এলেম ও জিকির, ৪) একরামুল মুসলেমিন , ৫) তাসহিহে নিয়্যত ৬) দাওয়াত ও তাবলীগ। ১) কলিমাঃ - ক্বালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ । অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল। এই ক্বালিমা পাঠ করে অন্তরে এই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে আল্লাহ ছাড়া সব মাখলুক। আর মাখুলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর আল্লাহ্‌ তায়ালা সব কিছুই করতে পারেন মাখলুক ছাড়া। আর একমাত্র রসুল (সঃ) তরিকায় দুনিযাও আখেরাতের শান্তি ক্বামিয়াবী আর সফলতা। যদি কোন ব্যক্তি এক্বিন ও এখলাসের সাথে একবার এই ক্বালেমা পাঠ করে তবে তার পিছনের জীবনের সমস্ত গুণাহ মাফ হযে যাবে।যদি কেও জাররা পরিমান ঈ্মান নিয়ে এই দুনিয়া ত্যাগ করে তবে তাকে আল্লাহ তায়ালা এই দুনিয়ার দশ দুনিয়ার সমান জান্নাত দান করবেন্। এই ক্বালিমা বেশি বেশি পাঠ করা আর এই ক্বালিমার লাভ জেনে অপর ভাইকে দাওয়াত দেয়া। ২) নামায রসুল (সাঃ) যেভাবে নামায পড়েছেন আর যেই নামায সাহাবী আজমাইনদের শিক্ষা দিয়েছেন সেই ভাবে নামায পড়ার চেষ্টা করা। নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন ,যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন এখলাসের সহিত এইভাবে নামায পড়ে যে তাহার তকবীরে ওলা না ছুটে তবে সে দুইটি পরওয়ানা লাভ করিবে।- একটি জাহান্নাম হইতে মুক্তির ২য় টি মুনাফেকি থেকে মুক্ত হওয়ার। যে ব্যক্তি সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত নামায পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ জিম্মাদারীতে বেহেশেতে নিবেন। ফরয নামায গুলো জামাতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব ও সুন্নাতের পাবন্দি করা আর নফল নামাযবেশি বেশি করে পাঠ করা।শরীরের জন্য মাথা যেমন দ্বীনের জন্য নামায তেমন। ৩) এলেম ও জিকিরঃ আল্লাহ তায়ালার কখন কি আদেশ নিষেধ তা জেনে রসুল (সাঃ) তরীকা অনুযায়ী আমল করা। যে ব্যক্তি এলেম শিক্ষা করার জন্য ঘর থেকে বের হয় গর্তের পিপিলীকা থেকে সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত তার জন্য দোআ করতে থাকে। প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ঐ পরিমান এলেম হাসেল করা ফরয যে পরিমান এলেম দ্বীনের উপর চলার জন্য আবশ্যক। হর হালতে বা সবসময় আল্লাহতায়ালার ধ্যাণ ও খেয়াল অন্তরে জারি রাখার নাম হলো জিকির। যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে তার জিহবাকে তরুতাজা রাখবে কাল সে হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো ক্বালেমা পাঠ করা।আফজাল জিকির হলো ক্বুরআন তেলাওয়াত করা। কাজের শুরুতে দুয়ায়ে মাসনুন পড়া।সকাল বিকাল তিন তজবীহ আদায় করা । ১০০ বার সুবহানাল্লাহি আলহামদুলিল্লাহি ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহুআকবার পাঠ করা,১০০ বার যে কোন দরূদ পাঠ করা।আর ১০০ বার এস্তেগবার পড়া। কে্উ একাধারে ৩ বছর এই আমল করলে আল্লাহর অলী না হয়ে সে কবরে প্রবেশ করবে না। ৪) একরামুল মুসলেমিনঃ সকল মুসলমানের দাম বুঝিয়া ক্বদর করা। যদি কেউ কোন মানুষের একটা উপকার করে আল্লাহ তায়ালা তার ৭৩ টা উপকার করবেন। একটা দুনিয়াতে আর ৭২ টা আখেরাতে। আর কেউ কোন ভাইযের উপকার করার জন্য চেষ্টা করে তবে তা মসজিদে বসে ১০ বছর এতেক্বাফ করার চেয়ে উত্তম্। হযরত আবু বকর (রাঃ) যখন খলিফা ছিলেন দৈনিক ১০০ লোকের খেদমত করতেন। খেদমতে খোদা মেলে ইবাদতে জান্নাত। ৫) তাসহিহে নিয়্যাতঃ আমরা যখন কোন নেক আমল করবো আল্লাহতায়ালার রাজিখুশি করার জন্য করবো। আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশি করার জন্য যদি কেউ খুরমা খেজুরও দান করে তবে আল্লাহ ইচ্ছা করলে তা বাড়িয়ে পাহাড় পরিমান নেকি দান করবেন।হাশরের ময়দানের দিন ৩ ব্যক্তিকে অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলা হবে্। ১জন ঐ ব্যক্তি যিনি অনেক বড় দাতা এমন কোন জায়গা নাই যেখানে তিনি দান করেন নাই অথচ এই জন্য করেছেন যে লোকে তাকে দাতা বলবে আল্লাহতাযালা তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলবেন। ২য় জন এই ব্যক্তি যে নিজে এলেম শিখেছে এবং অপরকে এলেম শিখিয়েছে কিন্তু এইজন্য করেছে যে লোকে তাকে দাতা বলবে । তাকেও অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলবে। ৩য় জন ঐ ব্যক্তিতে যিনি অনেক বড় বড় যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন কিন্তু আল্লাহর জন্য হন নাই। তাকেও অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলা হবে(মিশকাতঃ মুসলিম) । তাই এখলাস ওয়ালারা ভাগ্যবান। আর সর্বশেষ ৬) দাওয়াত ও তাবলীগঃ আল্লাহর দেয়া জান মাল ও সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হযে জানও মালের সহিহ ব্যবহার শিক্ষা করা । যদি কেউ আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে নিজের প্রয়োজণে ১ টাকা খরচ করে তবে তা ৭ লক্ষ টাকা ছদকা করার চেয়ে উত্তম আর যদি কেউ একবার ছোবহানাল্লাহ বলে তবে তা ঘরে বসে ৪৯ কোটি বার ছোবানাল্লাহ বলার চেয়ে উত্তম। ইসলামসন্নাসী হওয়া সমর্থন করে না। মক্কা শরীফে এক রাকাতে ১ লাখ রাকাত আর মদীনায মসজিদে নববীতে এক রাকতে ৫০ হাজার রাকাতের ছোয়াব পাওয়া যায়। তারপরও সাহাবীরা এইসব চেড়ে দূর দূরান্তে ছফরে গিযেছেন দ্বীনের দাওয়াতের জন্য।সোয়া লক্ষ সাহাবীর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার সাহাবীর কবর পাওয়া যায় মক্কা মদীনায় আর বাকী সবার কবর সারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে। তার দাওয়াত দেয়ার কারনে আমরা মুসলমান হতে পেরেছি। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবী কিয়ামত পর্যন্ত আসা সকল মানুষের উপর ।তাই তাদের কাছে দাওয়াত পৌছানোর জন্য সকল উম্মতের উপর জিম্মাদারী দিয়েছেন। পবিত্র কোর আনে আছে ঐ ব্যক্তির চেয়ে ভালো কথা আর কাহার হতে পারে যে মানুষকে মঙ্গলের দিকে ডাকে নিজে সৎ কর্ম করে আর বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্য হতে একজন (সুরা হা-মিম ছেজদা,আয়াত-১০)। আরও আছে তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি মানুষের মঙ্গলের জণ্য তোমাদের বের করা হয়েছে,তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ কর অসৎ কাজে বাধাপ্রদান কর আর আল্লাহর উপর ঈ্মান এনে থাকো(সুরা আল- ইমরান আয়াত-১১০) । এই কাজ সবাই করার জন্য তৈরি আছি না। জীবণের প্রথম সুযোগে ১২০ দিন সময় দিয়ে এইকাজ শিখতে হয় আর করতে হয় মৃত্যুর আগপর্যন্ত্ । কোন কোন ভাই তৈরি আছেন?
শরীরের জন্য ক্ষতিকর ওয়াইফাই: গবেষণা

শরীরের জন্য ক্ষতিকর ওয়াইফাই: গবেষণা

শরীরের জন্য ক্ষতিকর ওয়াইফাই: গবেষণা
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: এখন সারা বিশ্ব ইন্টারনেটের জালে আবদ্ধ। ইন্টারনেট ছাড়া জীবন অনেকটাই অচল। আর এক্ষেত্রে ওয়াইফাই'র সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু এই ওয়াইফাই কি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়? সম্প্রতি কিছু গবেষণা দাবি করছে, ওয়াইফাই আমাদের শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলে।

কারণ, কোনো ডিভাইস-এর সঙ্গে ওয়াইফাইকে কানেক্ট করতে হলে কেবল লাগে না। WLAN-এর মাধ্যমে তা কানেক্ট করা হয়। এই WLAN সিগন্যাল বা ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ মানব শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর মোটেই নয়। বরং এর জেরে মানব শরীরের বৃদ্ধির ক্ষতি হয়। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে এক ব্রিটিশ হেলথ এজেন্সি। শুধু প্রাণী নয়, উদ্ভিদও এর প্রভাব থেকে বাঁচতে পারে না।

WLAN-এর সিগন্যালের ফলে যে ল্যুপ সৃষ্টি হয়, তার প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে মনোযোগের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, মাঝেমধ্যেই মাথা যন্ত্রণা, কানে ব্যথা ও ক্লান্তিভাব দেখা যেতে পারে। অথচ ওয়াইফাই'র ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়ত এখনই সম্ভব নয়। তবে তা ওয়াইফাই'র ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর কিছু উপায় জেনে নিন-

১. বেডরুম বা রান্নাঘরে ওয়াইফাই'র রাউটার বসাবেন না।
২. যখন ব্যবহার করছেন না ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন
৩. মাঝেমধ্যে কেবল-এর সাহায্যে ফোন ব্যবহার করুন। ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন সে সময়ে।
৪. ঘুমানোর সময় ওয়াইফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।

এসব উপায়ে ওয়াইফাইর প্রভাব কমানো যায় বলে ব্রিটিশ হেলথ এজেন্সির দাবি। তবে ওয়াইফাই শিশুদের জন্য বেশি ক্ষতিকর বলে আরোক গবেষণায় বলা হয়েছে।

তবে স্বস্থ্যের জন্য ওয়াইফাই কতটা ক্ষতিকর তা নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ। অনেক গবেষক দাবি করেন, এটি স্বস্থ্যের জন্য তেমন ঝুঁকিপ্যর্ণ নয়। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা গবেষণা।
শীতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখবে যেসব খাবার

শীতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখবে যেসব খাবার

শীতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখবে যেসব খাবার

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আপনার সুস্থ-সুন্দর ত্বক বা চুল শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাবে নমনীয়তা ও কোমলতা হারিয়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক?

ধুলাবালু ও আর্দ্রতাহীন আবহাওয়া থেকে ত্বককে সুস্থ-সুন্দর রাখতে তাই অনেকেই অনেক কিছু করেন। কিন্তু হাতের নাগালের কিছু খাবারই এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

১. পেঁপে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য পেঁপে খুবই উপকারী। পেঁপে আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

২. আমলকি
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রচুর উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ত্বককে ডিটক্সিফিকেশন করতে সাহায্য করে। আমলকি রক্ত পরিশুদ্ধ করে। যা ত্বককে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল দেখায়।

৩. কলা
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা আমাদের ত্বককে ডিহাইড্রেট করে, ত্বককে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।

৪. ডালিম
ত্বকে রিঙ্কল, বয়সের ছাপ, দাগ, ছোপ প্রভৃতি পড়তে দেয় না ডালিম। শীতকালে ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এ ফলটি।

৫. গাজর
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে গাজরে। যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের অাদ্রতা ধরে রাখতে এই ফলের কার্যকারীতাও অনেক।
সহজেই তৈরি করুন আচারি চিকেন

সহজেই তৈরি করুন আচারি চিকেন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: চিকেনের আইটেমগুলোর মধ্যে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যে খাবারটি সেটি হলো আচারি চিকেন। আচার তো সব বাসায়ই থাকে। আর খাবারের তালিকায় চিকেনও থাকে সপ্তাহের দু-তিন দিন। তাই সহজেই তৈরি করতে পারেন আচারি চিকেন। গরম ভাত, খিচুড়ি কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে খেতে বেশ লাগবে। রইলো রেসিপি- উপকরণ : মুরগি এক কেজি (৮ টুকরা), টক দই তিন টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া এক চা চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ (আধা ভাঙা), পেঁয়াজবাটা তিন টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ৩ টেবিল চামচ, আদাবাটা এক টেবিল চামচ, রসুনবাটা দুই চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি তিন/চারটা, শুকনা মরিচ দুটি, মৌরি গুঁড়া আধা চা চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়া আধা চা চামচ, তেজপাতা দুটি, সরিষার তেল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, আমের আচার দুই-তিন টেবিল চামচ, সরিষাবাটা আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো। প্রণালি : আচার পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ, বেরেস্তা, মৌরি গুঁড়া ও অর্ধেক তেল বাদে অন্যসব উপকরণ দিয়ে মুরগির মাংস মেখে এক ঘণ্টা মেরিনেট করুন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। এবার মাখানো মাংস কড়াইতে ঢেলে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। ১০/১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার আচার, বেরেস্তা, পাঁচফোড়ন গুঁড়া, মৌরি গুঁড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে আবার ঢেকে দিন। পানি দিতে হবে না। মাংসের পানিতেই সেদ্ধ হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেলের উপর উঠে এলে কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার পরিবেশন ডিশে ঢেলে নিন।
আল্লাহর সঙ্গে শিরকের পরিণতি ভয়াবহ

আল্লাহর সঙ্গে শিরকের পরিণতি ভয়াবহ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার স্থাপন করাই হলো শিরক। যেমন- আল্লাহ তাআলাকে ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদতের উপযুক্ত মনে করে তাঁর উপাসনা করা; অন্য কাউকে আল্লাহর ন্যায় ভালোবাসা; আল্লাহ ব্যতিত অন্যের নামে পশু কুরবানি বা মানত করা; কল্যাণ ও ক্ষতি সাধনের মালিক হিসেবে অন্য কাউকে বিশ্বাস করাসহ এ রকম অসংখ্য বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনই হলো শিরক। শুধু আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কাউকে অংশীদার স্থাপন না করেও অনেকে শিরকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। যেমন- আল্লাহ তাআলা যে সব নাম ও গুণাবলী রয়েছে; সে সব বৈশিষ্ট্য ও গুণে তিনি মানুষের একক রব ও মা’বুদ। আল্লাহ তাআলার এ সব গুণ ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কোনো নবি, রাসুল, অলি, গাছ ও পাথরসহ কোনো জিনিসকে উদ্দেশ্য করে মুখে, শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং অন্তর দ্বারা ইবাদতমূলক কোনো কাজ করা শিরকে আকবর বা বড় শিরক। উপরোল্লিখিত কাজগুলোর মাধ্যমে একজন মানুষ ইসলামের অমূল্য নিয়ামত থেকে বের হয়ে মুশরিকে পরিণত হয়। কেননা শিরক কুফরিরই নামান্তর। এ কারণে শিরককারীর কোনো নেক আমলই কাজে আসে না বরং সব ভালো কাজগুলো বিফলে পরিণত হয়। আল্লাহ তাআলা শিরক মিশ্রিত কোনো নেক আমলই গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তাআলা তাআলা কুরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং শিরক করা থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। শিরককারী জন্য রয়েছে ভয়াবহ পরিণতি। কুরআনে শিরকের ভয়াবহ পরিণতি শিরকের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাঁর সঙ্গে করা শিরকের গোনাহ ক্ষমা করবেন না। এছাড়া অন্যান্য গত গোনাই হোক না কেন, তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেছে সে তো এক বিরাট মিথ্যা রচনা করেছে এবং কঠিন গোনাহের কাজ করেছে। (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮) আল্লাহ তাআলা শিরককারীর জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। তাদেরকে জালিক বা অত্যাচারী ঘোষণা করে তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী থাকবে না বলেও ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেছে; আল্লাহ তাঁর ওপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার পরিণতি হবে জাহান্নাম। এ সব জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়িদা : আয়াত ৭২) আল্লাহ তাআলা শিরকরে ভয়াবহতা উল্লেখ করে পূর্ববর্তী নবিদেরকে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তাঁরা (সব নবি-রাসুলগণ) শিরক করতো তবে অবশ্যই তাদের করা সব নেক আমল বরবাদ হয়ে যেত।’ (সুরা আনআ’ম : আয়াত ৮৮) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করল; সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অত:পর মৃতভোজী পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোনো দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩১) সর্বোপরি শিরকের ভয়াবহতার কথা ও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করে সুস্পষ্টভাবে কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘(হে নবি!) আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তী নবিদের প্রতি ওহি করা হয়েছে যে, যদি আল্লাহর সঙ্গে শরিক স্থাপন করেন, তাহলে আপনার সব আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবেন।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৬৫) পরিশেষে… শিরক মারাত্মক অপরাধ। যে অপরাধের কারণে আল্লাহ তাআলা শুধু সাধারণ মানুষই নয় বরং তাঁর প্রিয় নবি ও রাসুলদের সব নেক আমলকে বরবাদ করে দেবেন। উল্লেখিত কুরআনের আয়াতই তাঁর জলন্ত প্রমাণ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকের ভয়াবহ পরিণতি থেকে হিফাজত করুন। সব ধরনের ছোট ও বড় শিরক থেকে হিফাজত করুন। শিরকমুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
পিএসসিতে স্কুল সেরা হলেন সেই বাছিরন

পিএসসিতে স্কুল সেরা হলেন সেই বাছিরন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ফল জানতে বেলা সাড়ে ১১টাতেই স্কুলে এসেছিলেন পঁয়ষট্টি বছরের বাছিরন। সঙ্গে পাঁচ সহপাঠী। বাছিরনের ভাঁজ পড়া মুখে ছিল উদ্বেগ। তবে মুঠোফোনে ফল দেখার পরই সে মুখে দেখা যায় হাসির ঝিলিক। শুধু পাসই করেননি, স্কুলসেরা হয়েছেন পঁয়ষট্টি বছরের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাছিরন। কেমন লাগছে জানতে চাইলে হাসিমুখে বললেন, ‘এটা বুলে বুঝাতে পারব না আজ আমার কত ভালো লাগছে। ওপরআলা (সৃষ্টিকর্তা) আমার দিকে মুখ তুইলি তাকাইছে। আসলে স্কুলে পড়ার আনন্দই আলাদা।’ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাছিরন জিপিএ ৩.০০ পেয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বাছিরন পাস করবে। কিন্তু স্কুলসেরা হবে ভাবতেই পারিনি। এই স্কুল থেকে মোট ছয়জন পরীক্ষা দিয়েছিল। বাছিরন স্কুলসেরা হয়েছে। তার ফলে স্কুলসহ এলাকার মানুষের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে।’
কানাইঘাটে জেএসসি-পিএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় সবাই পাস

কানাইঘাটে জেএসসি-পিএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় সবাই পাস


নিজস্ব প্রতিবেদক: জেএসসি, জেডিসি ও প্রাথমিক, ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে কানাইঘাটে পিএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৮.৩৬% এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষায় পাশেরর হার ৯৬.৯৬%। কানাইঘাট উপজেলায় এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় মোট ৫৫৯৭জন এবং ইবতেদায়ীতে ৬২৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় সবাই পাশ, ফেল করেছেন মাত্র ৯১জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪১জন। ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ফেল করেছেন ১৯জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩৩জন শিক্ষার্থী। সারা দেশের ন্যায় পৌরসভাসহ উপজেলার সব কয়টি স্কুল, মাদ্রাসায় একই সাথে ফলাফল প্রকাশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস ছিল লক্ষনীয়। এদিকে কানাইঘাটে জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৬.২১% এবং জেডিসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৫.৮৫%। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে জেএসসি পরীক্ষায় ৩২৯৯জনের মধ্যে পাশ করেছে ৩১৭৪ জন, তার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২৩ জন এবং সমমান পরীক্ষায় ৭২৩জনের মধ্যে পাশ করেছে ৬৯৩জন, তার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০জন শিক্ষার্থী। বাকিরা বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করেছেন বলে স্থানীয় অফিস সূত্রে জানা গেছে।
 কানাইঘাটে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল লীগের চতুর্থ দিনে লক্ষীপ্রসাদ পূর্বকে হারিয়েছে বাণীগ্রাম ইউপি

কানাইঘাটে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল লীগের চতুর্থ দিনে লক্ষীপ্রসাদ পূর্বকে হারিয়েছে বাণীগ্রাম ইউপি


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল লীগের চতুর্থ দিনের খেলায় লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাণীগ্রাম ইউপি ফুটবল দল। বিকেল সাড়ে ৩টায় কানাইঘাট স্টেডিয়ামে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি ফুটবল দলের সাথে মোকাবেলা করে উপজেলার বাণীগ্রাম ইউপি ফুটবল দল। খেলা শুরু থেকেই আক্রমন পাল্টা আক্রমনের সুযোগ পায় উভয় দল। প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটের মাথায় বাণীগ্রাম ইউপি ফুটবল দলের বাবলুর দুর্দান্ত মাথার হেডে প্রতিপক্ষ ১নং ইউপি ফুটবল দলের জালে বল ঢুকিয়ে ৭নং ইউপিকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটি সময় খেলার সমতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি ফুটবল দল। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রবাসী কামাল উদ্দিন বাণীগ্রাম ইউপি দলের ১১নং জার্সিধারী আশিকের হাতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরষ্কার তুলে দেন।
আসছে মোশাররফের 'মার্গারেট ও চন্ডী কথক'

আসছে মোশাররফের 'মার্গারেট ও চন্ডী কথক'

আসছে মোশাররফের 'মার্গারেট ও চন্ডী কথক'

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: 'মার্গারেট ও চন্ডী কথক' নামের একটি প্রেমের নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে দেখা যাবে মডেল-অভিনেত্রী বৃষ্টি ইসলামকে।

এমআই জুয়েলের পরিচালনায় নাটকটি রচনা করেছেন দয়াল সাহা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমিদার বাড়ি ও শ্রীফালতলীর গ্রামে নাটকটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।

নাটকে মোশাররফের নাম চন্ডী। আর বৃষ্টির চরিত্রটি খ্রিস্টান তরুণী মার্গারেটের।

মোশাররফের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বৃষ্টি বলেন, প্রথমে একটু বিব্রতবোধ করছিলাম। কারণ তিনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তাছাড়া তার সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ।

তিনি নিঃসন্দেহে অনেক বড়মাপের একজন শিল্পী। তাই একটু টেনশন কাজ করছিলো, ঠিকভাবে কাজটা করতে পারবো কি-না। নাটকে আমার চরিত্র একটু চ্যালেঞ্জিং হলেও ভালোভাবে কাজটা শেষ করতে পেরেছি।

শিগগিরই একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে।
কোহলি-স্মিথের মধ্যেই টেস্টের শীর্ষস্থান দখলের লড়াই

কোহলি-স্মিথের মধ্যেই টেস্টের শীর্ষস্থান দখলের লড়াই

কোহলি-স্মিথের মধ্যেই টেস্টের শীর্ষস্থান দখলের লড়াই

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বক্সিং ডে টেস্ট মানেই স্মিথের সেঞ্চুরি। শুধু তাই নয় বিষয়টিকে রীতিমতো রুটিনই বানিয়ে ফেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টে করেছিলেন ১৯২ রান, এরপর ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ১৩০ রান। এবার ১০০ রান করে অপরাজিত আছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।

বলতে গেলে বিরাট কোহলি ও স্টিভেন স্মিথের মধ্যে টেস্টের শীর্ষস্থান দখলের লড়াইটা বেশ জমেই উঠেছে।
এ বছর কোহলি করেছেন চারটি সেঞ্চুরি। সমান তালে স্মিথও করেছেন চারটি। চলতি বছর হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।  

তবে মেলবোর্নে সেঞ্চুরির দিক দিয়ে ইয়ান চ্যাপেল ও ম্যাথু হেইডেনদের রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন তিনি। এনিয়ে মেলবোর্নে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ।

এই মেলবোর্নে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি আছে শুধু হার্বার্ট সাটক্লিফ, বিল লরি, ইয়ান চ্যাপেল ও ম্যাথু হেইডেনের।
ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ সাধছেন ওবামা: ট্রাম্প

ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ সাধছেন ওবামা: ট্রাম্প

ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ সাধছেন ওবামা: ট্রাম্প

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ সাধছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

তিনি টুইটে লিখেন, ওবামা ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ সাধছেন। তবে তিনি না চাইলেও সঠিকভাবে হবে ক্ষমতা হস্তান্তর।


এরপরে অবশ্য বারাক ওবামা ফোন করেন ট্রাম্পকে। পরে এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বুধবার ওবামার সঙ্গে তার ‌‘চমৎকার আলাপ’ হয়েছে। তাদের সর্ম্পকও খুব ভাল বলে জানান ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, আমি বিশ্বাস করি; যদি আবার নির্বাচন করার সুযোগ থাকত তবে অবশ্যই আমি জয়ী হতাম। তবে ওবামার এই মন্তব্য উড়িয়ে দেন ট্রাম্প।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে দূত পাঠাচ্ছেন সু চি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে দূত পাঠাচ্ছেন সু চি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে দূত পাঠাচ্ছেন সু চি
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি তার এক বিশেষ দূত পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা হাজার-হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা মূল্যায়নের জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূ চি’র বিশেষ দূত শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করবেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। সেসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এই বিশেষ দূত পাঠানোর কথাটি বাংলাদেশকে জানান।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, উনি আমাদের বলেছেন ওনাদের একজন বিশেষ দূত আসবেন। ওনারা শীঘ্রই আমাদের জানাবেন কবে আসবেন।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে কোন ভূমিকা না রাখায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো অং সান সু চি'র কড়া সমালোচনা করছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে রাখাইন রাজ্যে গত কয়েক মাসে রোহিঙ্গাদের উপর দমন-নিপীড়নের ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছে, সেদেশ থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশি জেলেদের একটি নৌকায় মিয়ানমারের বাহিনীর গুলি করার ঘটনায় একটি প্রতিবাদ পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি জানান, জেলেরা বাংলাদেশর জলসীমায় থাকার পরেও মিয়ানমারের বাহিনী তাদের উপর গুলি চালিয়েছে।
আশুলিয়ায় ভবনের ছাদ ধসে ৩ শ্রমিক নিহত

আশুলিয়ায় ভবনের ছাদ ধসে ৩ শ্রমিক নিহত

আশুলিয়ায় ভবনের ছাদ ধসে ৩ শ্রমিক নিহত

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জিরাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, জাহাঙ্গীর (৩৫), শহিদুল (৩৩) ও জালাল (২৮)।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শামীম হাসান।

পুলিশ কর্মকর্তা শামীম হাসান বলেন, 'দুপুরে ওই কারখানার দোতলা ভবনের এক তলার বর্ধিত অংশের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে অন্য শ্রমিকেরা চলে গেলেও ওই তিন জন নিচ তলায় অবস্থান করছিলেন'।

'এ সময় ছাদ ধসে পড়লে তার চাপা পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়'।

দুর্ঘটনার পর কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে। কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছিল এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
কানাইঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

কানাইঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (রেজিঃ ১৫৬৩/৯৩/৯৬) এর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কানাইঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পূর্বের আহবায়ক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামানকে সভাপতি, সাউদগ্রাম সঃ প্রাঃ বিঃ এর প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেনকে সিনিয়র সহ সভাপতি, আগফৌদ নারাইনপুর সরকারী পুরাতন প্রাঃ বিঃ এর প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন আহমদ সহ সভাপতি, ছোটফৌদ সঃ প্রাঃ বিঃ এর প্রধান শিক্ষক আহমদ হোসেন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক, জয়পুর সঃ প্রাঃ বিঃ এর সহকারী শিক্ষক আবুল হাসনাতকে সাংগঠনিক সম্পাদক, ছত্রনগর সঃ প্রাঃ বিঃ সহকারী শিক্ষক আছিয়া বেগমকে মহিলা সম্পাদিকা করে উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ব মানের সমতা অর্জনে আমরা পিছিয়ে আছি: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ব মানের সমতা অর্জনে আমরা পিছিয়ে আছি: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ব মানের সমতা অর্জনে আমরা পিছিয়ে আছি: শিক্ষামন্ত্রী

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জেএসসি ও জেডিসিতে  ইতিবাচক ফলাফলে খুশি হলেও সন্তুষ্ট হতে পারেন নি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নাহিদ বলেন, 'সব সূচকেই ইতিবাচক ফল হলেও আমরা সন্তুষ্টির কথা বলছি না। অবশ্যই আমরা খুশি হয়েছি, দেশবাসী খুশি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হব।

তবে পাসের হারের সঙ্গে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন মহলেই সমালোচনা চলছিল। শিক্ষামন্ত্রী এতদিন শিক্ষার মান নিয়ে এসব সমালোচনা উড়িয়ে দিলেও এখন বলছেন ভিন্ন কথা।

'আমাদের ছেলে-মেয়েদের মান বেড়েছে, কিন্তু বর্তমান যুগে আমাদের চাহিদা অনুসারে যে মান দরকার, বিশ্ব মানের সমতা অর্জন করা দরকার, তার থেকে আমরা অনেক পিছনে আছি'। সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছেলে-মেয়েদের মান উন্নত করা। সেজন্য গুণগত মানসম্মত নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক দরকার, সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে।

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক-উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা'। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা।

অষ্টম শ্রেণির সমাপনীতে এবার ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন।

গত বছর এই পরীক্ষায় ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩ জন।

গতবারের থেকে এবার পাসের হার শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫১ হাজার ৩২৫ জন।
ফিলিপাইনে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০

ফিলিপাইনে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০

ফিলিপাইনে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

বুধবার রাতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে বলে দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

একটি মুষ্টিযুদ্ধ প্রতিযোগিতা চলাকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে তৈরি ওই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে ওই অঞ্চলের সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হিলংগোস শহরে একটি উৎসবের অংশ ছিল এই প্রতিযোগিতা।

এ ঘটনায় আহত শহরটির অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আর্নেস্তো আবেলা বলেন, ওই বোমা হামলার হুমকি সম্পর্কিত কোনো পূর্বাভাস গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে ছিল না। কোনো গোষ্ঠীও এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি।

চলতি বছরের ২৪ এপ্রিলে অজ্ঞাত একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাওয়ের মিডসেআপ শহরের চার্চের বাইরে পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ করে গ্রেনেড হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৩ জন নিহত হন।
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান জাতিসংঘের মহাসচিব

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান জাতিসংঘের মহাসচিব

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান জাতিসংঘের মহাসচিব
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘের দায়িত্ব নিতে যাওয়া নতুন মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, তিনি শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সাথে গঠনমূলক সংলাপ করতে বদ্ধপরিকর।’

গুতেরেস বলেন, তিনি গত মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। একইভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

পর্তুগালের এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী আগামী ১ জানুয়ারি জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি-মুনের কাছ থেকে জাতিসংঘের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। সিরিয়ায় চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং ট্রাম্পের শাসনামলে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের মধ্যে তিনি এ দায়িত্ব নিচ্ছেন।

বুধবার পর্তুগালের টেলিভিশন চ্যানেল এসআইসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে আমি চমৎকার আলোচনা করেছি। আমি আশা করছি ডোনাল্ড টাম্পের সঙ্গেও আমার আলোচনা চমৎকার হবে।’

গুতেরেস আরো বলেন, ‘আমি যতদ্রুত সম্ভব ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাই।’

এক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের একমাত্র প্রধান দাতা না হলেও জাতিসংঘের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’

গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতিসংঘের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ভূমিকা ভিন্ন হবে।
ভুলে যাওয়া স্মৃতি সহজে মনে করার ১টি কৌশল

ভুলে যাওয়া স্মৃতি সহজে মনে করার ১টি কৌশল

ভুলে যাওয়া স্মৃতি সহজে মনে করার ১টি কৌশল
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আমরা খুব সহজেই ছোটোখাটো জিনিস ভুলে যাই। চাবি কোথায় রেখেছি বা কোন জিনিসটি কোথায় ছিল কিংবা পড়ার বিষয়বস্তু। আমরা যতোই মনে করার চেষ্টা করি আমাদের মস্তিষ্ক যেন তা একেবারেই ধুয়ে মুছে ফেলে দেয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই ধরণের সমস্যার রয়েছে খুব সহজ সমাধান? ব্যাপারটি ঠিক সমাধানও নয়।

এটি মূলত কোনো বিষয় মনে রাখার এবং মনে করার কৌশল। এই একটি মাত্র কৌশলে আপনি বাড়িয়ে নিতে পারেন আপনার স্মৃতিশক্তি। শুনতে অবাক শোনালেও এই কৌশলটি শুধুই চোখ বন্ধ করা। অন্য কিছুই নয়। ভাবছেন, শুধুমাত্র চোখ বন্ধ করার সাথে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সম্পর্ক কী হতে পারে? তাহলে জেনে নিন মূল কারণ এবং কৌশলটি।

যেভাবে কাজ করে এই কৌশলটি:
লিগ্যাল অ্যান্ড ক্রিমিনাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, চোখ বন্ধ করার বিষয়টি আপনার মনে করার বিষয়টি উন্নত করে।

অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে চোখ খোলা রেখে যদি আপনি মনে করার চেষ্টা করেন তাহলে বিষয়টি আপনার কাছে যতো কঠিন মনে হবে চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টার বিষয়টি ঠিক ততোটাই সহজ।

একটি গবেষণায়, গবেষকগণ বেশ কয়েকজনকে প্রথমে একটি শর্টফ্লিম দেখতে দেন। এরপর সেই শর্টফিল্ম থেকে ছোটোখাটো নানা বিষয় প্রশ্ন করা হয় তাদেরকে। গবেষকগণ দেখতে পান, যারা চোখ বন্ধ করে উত্তর দিচ্ছেন তার প্রায় ২৩% সঠিক উত্তর দিতে পারছেন তাদের তুলনায় যারা চোখ খোলা রেখে উত্তর দিচ্ছেন।

আরও একটি গবেষণায় একইভাবে ১৭৮ জন মানুষকে একটি চুরির ঘটনার উপর তৈরি হওয়া শর্টফিল্ম দেখিয়ে একই ফলাফল দেখতে পাওয়া যায়।

যে কারণে চোখ বন্ধ করে মনে করা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়:
পরিশেষে প্রশ্ন অবশ্যই জাগে, কেন এই জিনিসটি হয়? মূলত আমরা যখন চোখ খুলে থাকি তখন আশেপাশের অন্যান্য অনেক কিছুর প্রতিই আমাদের নজর যায় যা আমাদের মনোযোগ সেদিকে সরিয়ে নেয়।

আমরা চোখ খোলা রেখে কোনো কিছু চিন্তা করলে নির্দিষ্ট একটি ব্যাপারে চিন্তা করতে পারি না। কিন্তু যখন চোখ বন্ধ করে চিন্তা করি। তখন আমাদের আশেপাশের সকল কিছু বন্ধ হয়ে যায় এবং আমাদের মস্তিষ্ক একাগ্রভাবে শুধু সেটিই চিন্তা করে যা আমরা চিন্তা করতে চাই, যা আমাদের মনে করতে সহায়তা করে।

সুতরাং, পরবর্তীতে কোনো কিছু ভুলে গেলে, মনে করার চেষ্টা করতে থাকলে প্রথমে মনে করে নিজের চোখ বন্ধ করে নিন, তারপর ভাবুন। দেখবেন আগের চাইতে সহজেই মনে করতে পারছেন।
 সিলেটে আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ৪

সিলেটে আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ৪


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘আনারস’ প্রতীকে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের জয়ের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যের বেশিরভাগ পদে জয়ে পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। ১৫টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মূহুর্তে এসে ৫টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ফলে ১০টি সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৮০ জন লড়েছিলেন। এর মধ‌্যে ৬ টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা; আর বিএনপির সমর্থকরা জয়ী হয়েছেন ৪টি ওয়ার্ডে। এদের মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মো.মতিউর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সদস্য। ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মুহিবুল হক। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং ওই উপজেলা বিএনপির কমিটিতে রয়েছেন। ৫নং ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাহপরান (তালা)।তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাথে জড়িত আছেন। ৬ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন লোকন মিয়া। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। ১০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন সায়িদ আহমদ সুহেদ আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন। ১১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব। ১২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত সদস্য নজরুল ইসলামও বিএনপি সমর্থন করেন। ১৩নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৪৯ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ। সর্বশেষ ওয়ার্ড নং ১৫তে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আলমাস উদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক। সূত্র:সিলেটভিউ২৪ডটকম
৫০০ পর্নোসাইট বন্ধ করলো সরকার

৫০০ পর্নোসাইট বন্ধ করলো সরকার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বন্ধ করা হলো পাঁচ শতাধিক পর্নোসাইট। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ৫ শতাধিক পর্নোসাইটের একটি তালিকা ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠায়। এরইমধ্যে পর্নোসাইট বন্ধের কার্যক্রমও শেষও হয়েছে। তবে সব সাইট এখনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এর আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ৫১০টি পর্নোসাইটের একটি তালিকা দেশের মোবাইলফোন অপারেটর, ইন্টারনেট গেটওয়ে, আইসিএক্স অপারেটর, আইএসপিগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, আমরা বিটিআরসি থেকে পাঠানো এরকম একটি তালিকা পেয়েছি। এরই মধ্যে পর্নোসাইট ব্লক (দেশ থেকে দেখা যাবে না।) করার কাজ শুরু করেছি। কিছু সাইট ব্লক করা সম্ভব হয়েছে। কারিগরি কারণে অনেক সাইট ব্লক করা সম্ভব হয়নি। পর্যায়ক্রমে সেগুলোও বন্ধ করা হবে বলে তিনি জানান। আরও জানা গেছে, যেসব সাইটে পর্নোগ্রাফি, অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও রয়েছে এমন ৫১০টি সাইট বন্ধ হচ্ছে। আরও জানা গেছে, এই সাইটগুলো বাংলাদেশ থেকে হোস্ট করা। এছাড়াও আরও প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ পর্নোসাইট রয়েছে যা দেশের বাইরে থেকে হোস্ট করা। পর্যায়ক্রমে সেসব সাইটও বন্ধের উদ্যোগ নেবে বিটিআরসি। আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, এরইমধ্যে তালিকার ৯০ শতাংশ পর্নোসাইট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ সাইটও শিগগিরই বন্ধ করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, অনেক পর্নোসাইট ক্লাউডে হোস্ট করা। এগুলো চাইলেও দ্রুত বন্ধ করা কঠিন। আইপি নম্বর ধরে ধরে বন্ধ করতে হয়। ইমদাদুল হক আরও জানান, বিটিআরসি ও স্টেকহোল্ডারগুলোকে নিয়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এরই মধ্যে মনিটরিংয়ের কাজও শুরু করেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে জানা যাবে পর্নোসাইট সঠিকভাবে ব্লক করা হয়েছে কিনা, হলে কিভাবে, কোনগুলো চালু আছে, বিদেশে হোস্ট করা কতগুলো সাইট দেখা যাচ্ছে সেসব রিপোর্ট পাওয়া যাবে কমিটির কাছ থেকে।
ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের উপকারিতা

ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের উপকারিতা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ফেরেশতারা আল্লাহ তাআলার অপার সৃষ্টি। ফেরেশতাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টির স্বীকৃতি দান ও সৃষ্টিতে আল্লাহ তাআলাকে এক এবং একক সত্তা হিসেবে বিশ্বাসের নামান্তর। ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে রয়েছে মুমিন বান্দার জন্য অনেক উপকার। কেননা ফেরেশতারা বান্দার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। জান্নাত প্রদানের জন্য দোয়া কামনা করে। প্রথমত আল্লাহর মহত্ব, মর্যাদা, শক্তি ও হিকমত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ। তিনি ফেরেশতাগণকে মানুষের উপকারে এবং তার প্রশংসা জ্ঞাপনের জন্য সৃষ্টি করেছেন। যাঁদের প্রকৃত সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। ফেরেশতাদের মধ্যে কাউকে তিনি আরশ বহনকারী বানিয়েছেন। যাদের কান ও ঘাড়ের মধ্যেকার দূরুত্ব হলো ৭০০ শত বছরের পথ। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, তাহলে আরশ কত বড়? আরশের ওপরে যিনি আছেন তিনি কত বড় মহান? সেই মহান আল্লাহর সব পবিত্রতা। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁরই জন্যে আসমান-জমিনের সব অহংকার। তিনিই পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা জাসিয়াহ : আয়াত ৩৭) দ্বিতীয়ত বনি আদমের ব্যাপারে আল্লাহর গুরুত্বের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আল্লাহ তাআলা তাদের হেফাজত, সাহায্য ও আমল লিখে রাখার জন্য ফেরেশতাদেরকে নিযুক্ত করেছেন। তৃতীয়ত ফেরেশতাগণকে ভালোবাসা। কারণ, তাঁরা সব সময় আল্লাহর বান্দাদের খেদমতে নিয়োজিত আছেন এবং বিশেষ করে মুমিনদের জন্য দোয়া করেন ও আল্লাহর নিকট তাদের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা চান। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন- ‘যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চার পাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে- হে আমাদের পালনকর্তা! আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যপ্ত। অতএব, যারা তাওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করুন। হে আমাদের পালনকর্তা! আর তাদেরকে প্রবেশ করান চিরস্তায়ী বসবাসের স্থান জান্নাতে। যার ওয়াদা আপনি দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা মুমিন : আয়াত ৭-৯) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়ার তাফিক দান করুন। আমাদেরকে জন্য তাদের ক্ষমা প্রার্থনার সৌভাগ্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Wednesday, December 28

জেলা পরিষদ নির্বাচন ! কানাইঘাটের দুটি কেন্দ্রে কে কত ভোট পেলেন

জেলা পরিষদ নির্বাচন ! কানাইঘাটের দুটি কেন্দ্রে কে কত ভোট পেলেন


নিজস্ব প্রতিবদেক: উৎসব মুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ ও ১৫নং ওর্য়াডের অন্তর্ভূক্ত কানাইঘাট রায়গড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাছবাড়ী মর্ডাণ একাডেমী ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। এ দুটি ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী লুৎফুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে ৯৩টি,এনামুল হক সর্দার কাপপিরিচ প্রতীক নিয়ে ৮০টি,জিয়া উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ০৯টি এবং ফখরুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ০১টি ভোট পান। এ দুটি ভোট কেন্দ্রে আনারস প্রতীক সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে। পুরুষ সদস্য পদে ১৪নং ওয়ার্ডে হাইকোর্টে একজন সদস্য প্রাথীর রিটের পরি প্রেক্ষিতে পুরুষ সদস্য পদের ভোট এই ওর্য়াডে স্থগিত করা হয়। ভাঘা ভাঘা প্রার্থীকে হারিয়ে ১৫নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আ’লীগ নেতা আলমাছ উদ্দিন ২৬টি ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিটতম প্রতিদ্বন্ধী অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম টিবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১৬টি,আব্দুল মুমিন চৌধুরী ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে ১২টি,রিংকু চক্রবর্তী হাতি নিয়ে ১২টি,আব্দুল খালিক তালা নিয়ে ১০টি,আবুল কালাম আজাদ অটোরিক্সা নিয়ে ০৯টি,কবির উদ্দিন বিদ্যুতিক পাখা নিয়ে ০৪টি,ছালেকুর রহমান টিফিন কেরিয়ার নিয়ে ০২টি ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ৫নং মহিলা আসনে সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী ফুটবল প্রতীক নিয়ে কানাইঘাটের দুটি ভোট কেন্দ্র এবং জকিগঞ্জ উপজেলার ১টি ভোট কেন্দ্র মিলিয়ে ৮৯টি ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বলা চলে এটিই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ। এই ম্যাচে হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই হিসাব-নিকাশ করেই মাঠে নামবে টাইগার বাহিনী। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর ৪টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ও চ্যানেল নাইন।

বাংলাদেশ দলের সম্ভাব্য একাদশ নিয়ে নানা গুঞ্জন। মুশফিকুর রহীমের ইনজুরি একাদশের সমীকরণটা কঠিন করে দিয়েছে। প্রথম ওয়ানডেতে হ্যামেস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন এই উইকেটরক্ষক। তার পরিবর্তে খেলবেন নুরুল হাসান সোহান।

সৌম্য সরকারের বিকল্প ভাবতে পারেন নির্বাচকরা। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিক যেহেতু দলের বাইরে, সৌম্য খেলতেও পারেন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। সৌম্য না খেললে তার পরিবর্তে খেলতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা তানভীর হায়দার।

এদিকে মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে খেলানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। যদি মোস্তাফিজ খেলতে না পারেন, তার পরিবর্তে মাঠে নামতে পারেন শুভাশিস রায় কিংবা রুবেল হোসেন।

একনজরে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ :
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
কানাইঘাট পাবলিক হাই স্কুলে ইউএনওকে বিদায়ী সংবর্ধনা

কানাইঘাট পাবলিক হাই স্কুলে ইউএনওকে বিদায়ী সংবর্ধনা


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়াকে কানাইঘাট পাবলিক হাই স্কুলের পক্ষ থেকে বুধবার বেলা ২ টায় স্কুল মিলনায়তন কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রহিম উদ্দীন ভরসার সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক হেলাল আহমদের পরিচালনায় উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া,ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ,পৌর আ’লীগের আহবায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কানাইঘাট শাখার সভাপতি ও বীরদল এম,এন একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোঃ জার উল্লাহ,চড়িপাড়া স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মুজম্মিল আলী,বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার নজমুল ইসলাম,কানাইঘাট উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরােধ কমিটির সভাপতি মোঃ মুহ উদ্দীন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়াহইয়া,বড়দেশ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দীন প্রমূখ। অনুষ্টান শেষে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তাকে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেওয়া হয়।
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত ২২

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত ২২

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত ২২
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় ১০ শিশুসহ অন্তত ২২ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

পূর্ব সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) দখলকৃত একটি গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। কে বা কারা এই বিমান হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতরা হোজনা গ্রামের দুটি পরিবারের সদস্য।

তেল সমৃদ্ধ দির এজোর প্রদেশে অবস্থিত গ্রামটিতে প্রায়ই মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট হামলা চালায়।
 কানাইঘাট দারুল উলূম দারুল হাদীস মাদ্রাসা,দাওয়াতে তাবলীগ ও আমার কিছু কথা

কানাইঘাট দারুল উলূম দারুল হাদীস মাদ্রাসা,দাওয়াতে তাবলীগ ও আমার কিছু কথা


মাও. ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী:
ভূমিকাঃ মহান রাব্বুল আলামীন মানব দানবের সৃষ্টি লগ্ন থেকে তাদের হেদায়তের জন্য যুগেযুগে অসংখ্য অগণিত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। তারই পরিপেক্ষিতে দাওয়াত ও তাবলীগের ধারা হযরত আদম (আ:) থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) পর্যন্ত অব্যাহত গতিতে চলে আসে। হযরত ঈসা (আ:) কে আকাশে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন সে ধারা বন্ধ ছিল। দাওয়াত মানুষের জীবনে এত জরুরী যেমন মাছের জন্য পানি জরুরী। কিছুদিন দাওয়াতের কাজ বন্ধ থাকার কারনে মানুষ পশুর সমতুল্য হয়ে গিয়েছিল। তারা মৃত প্রাণী ভক্ষণ করতো, মেয়ে শিশুকে জীবন্ত কবরস্থ করতো। সে যুগ জাহিলিয়্যাতের যুগ হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছিল। বিশ্ব  নবী সা. পৃথিবীতে আগমনের পর সেই অন্ধকার যুগ স্বর্ণযুগে রূপান্তরিত হয়েছিল। পবিত্র কুরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা হযরত সাহাবায়ে কেরামগণকে লক্ষ্য করে ঘোষণা করলেন “তোমরা সর্বোত্তম উম্মত। লোকদের কল্যাণের জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে এবং নবী করীম (সা.) এর অমর বাণী” আমার পক্ষ থেকে পৌঁছিয়ে দাও যদিও একটি বাক্য হয়।

তাবলীগের উপকারিতা : দাওয়াতে তাবলীগের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভাল আখলাক ধৈর্য্য সমবেদনা, আত্মশুদ্ধি এক কথায় সকল উত্তম গুণাবলীর আবির্ভাব হয়েছে এবং সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে মানুষ দূরে থাকছে। ইতিহাস তালাশ করলে জানা যায় যে, বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে দাওয়াতে তাবলীগের মেহনতের ফলে কৃষ্ণাঙ্গ ও শেতাঙ্গের ভেদাভেদ দূর হয়েছে। হাজার হাজার অমুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে দাওয়াতে তাবলীগের কাজটি বিশ্ব  মানবের জন্য এক মাইলফলক অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

কানাইঘাট মাদ্রাসায় দাওয়াতে তাবলীগের তৎপরতাঃ আলহামদুলিল্লাহ- শায়খুল ইসলাম আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রহ. এর পুণ্য স্মৃতি বিজড়িত জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদিস কানাইঘাট মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শায়খে লক্ষীপুরী এবং জামেয়ার নাইবে মুহতামিম ও শিক্ষা সচিব আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরীর তত্বাবধানে মাদ্রাসার উস্তাদ ও তালাবাবৃন্দ প্রতিনিয়ত দাওয়াতে তাবলীগের কাজে নিয়োজিত আছেন। তাবলীগ জমাতের দেশী বিদেশী জামাত প্রায়ই মাদ্রাসায় এসে উস্তাদ তালাবাদের কাছে দোয়া নেন। এতে করে তালাবাদের মাঝে তাবলীগ জামাতের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত কানাইঘাট উপজেলা তাবলীগ জামায়াতে মুরব্বিগণ মাদ্রাসার জিম্মাদারগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। বিধায় দাওয়াতে তাবলীগের পাঁচ কাজের প্রতি তালাবাগণ জোর দিচ্ছেন। প্রতি বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় পরামর্শ করে এলাকার বিভিন্ন মসজিদে জামাত নিয়ে যাচ্ছেন, কোন কোন জামায়াতের সাথে মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরীও সময় দিচ্ছেন। এতে করে আম জনসাধারণের সাথে জামেয়ার সম্পৃক্ততা আরোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর মাদরাসার শিক্ষক মাও. হা. নুমান আহমদ সরুফৌদী সাহেব টঙ্গীর পাঁচ দিনের জুড়ে শরীক হয়েছেন। প্রতিদিন বাদ আসর মাদ্রাসার মসজিদে তালীম করা হয়। প্রতি সোমবার অনিয়মিত ভাবে সাপ্তাহিক গাশত করা হয়। এবছর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার একাংশ সিলেট জেলা ইজতেমার মাঠে স্বেচ্ছায় দুই পর্বে প্রায় ১৫০ জন তালাবা প্যানডেলের কাজে সময় দিয়েছেন। ইজতেমায় স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শায়খে লক্ষীপুরীর নির্দেশে এবং মাদ্রাসার নাইবে মুহতামিম, শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরীকে প্রধান জিম্মাদার করে মাদ্রাসার প্রায় ৪ শত তালাবাবৃন্দ জামায়াত বন্দি হয়ে সিলেট জেলা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতে মাদ্রাসার সকল উস্তাদ তালাবাবৃন্দ অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং জামেয়ার তাবলীগ জমাতের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনা দিন দিন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এ মহতি কাজে শরীক হওয়ার ও সার্বিক সহযোগিতা করার তাওফিক দান করুন।(আমিন)
 লেখক: সহকারী শিক্ষক কানাইঘাট মাদ্রাসা
 এডভোকেট লুৎফুর রহমানের কৃতজ্ঞতা

এডভোকেট লুৎফুর রহমানের কৃতজ্ঞতা


কানাইঘাট নিউজি ডেস্ক: দলমত নির্বিশেষে বিপুল ভোটে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী করায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও প্রবীন রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমান দলমত নির্বিশেষে ভোটাররা তাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ভোটারদের পবিত্র আমানত রক্ষায় তিনি সচেষ্ট থাকবেন। পরিষদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রেখে সবাইকে নিয়ে সিলেট জেলার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি। বিবৃতিতে দলীয় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন এডভোকেট লুৎফুর । সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
কানাইঘাট ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বিদায়ী ইউএনওকে সংবর্ধনা প্রদান

কানাইঘাট ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বিদায়ী ইউএনওকে সংবর্ধনা প্রদান


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়াকে ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামীমের পরিচালনায় উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রীড়া সংস্থার উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া,ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ,পৌর আ’লীগের আহবায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আজমল হোসেন। বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ
নাজমুল ইসলাম হারুন,সদস্য এনামুল হক,সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন,যুবলীগ নেতা মীর আব্দুল্লাহ,উপজলো শ্রমীকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন,ইকবাল হোসেন,প্রবাসী জসিম উদ্দিন,ছাত্র নেতা আসাদ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট নিউজ ডট কমের সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, পৌর কাউন্সিলর মাওঃ ফখরুউদ্দিন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানিক উদ্দিন,উপজেলা ফুটবল দলের কোচ আনোয়ার হোসেন সাজু,ছাত্র নেতা মামুন রশিদ রাজু,রোটারিয়ান ইকবাল হোসেন, ধারাভাষ্যকার সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম,আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। সংবর্ধিত অতিথি বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া তার বক্তব্যে বলেন,কানাইঘাট হচ্ছে একটি শান্তি প্রিয় উপজেলা। বাহির থেকে নেতিবাচক ভাবে প্রশাসনের কাছে কানাইঘাটকে যে ভাবে তুলে ধরা হয় তা মোটেই সত্য নয়। এখানে ৩বছর দায়িত্ব পালনের সময় আমি সবার কাছ থেকে ভালবাসা ও সহযোগীতা পেয়েছি তা কখনো ভুলবার মতো নয়। কানাইঘাট সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সবাইকে মিলে মিশে প্রশাসনকে সহযোগীতার পাশাপশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সংবর্ধনা শেষে ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তাকে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেওয়া হয়।
বিএনপি ব্যর্থ দলে পরিণত হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি ব্যর্থ দলে পরিণত হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি ব্যর্থ দলে পরিণত হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি নিজেদের কৃতকর্মের কারণে ব্যর্থ দলে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যর্থ দেশ নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি তাদের কর্মের জন্য এখন ব্যর্থ দলে পরিনত হচ্ছে।’

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাদের জন্ম, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাদের বিকাশ তারা সব সময় সব কিছুতে ষড়যন্ত্র দেখে এবং ষড়যন্ত্রের কথা বলে। নারায়নগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে সেখানে সমগ্র বিশ্ব বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। সেখানে বিএনপি ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।

সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ১৯৭১ সালে যেমন জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তেমনি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
 জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে ইজতেমার যাত্রীবাহী বাস খাদে, ২ জনের মৃত্যু

জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে ইজতেমার যাত্রীবাহী বাস খাদে, ২ জনের মৃত্যু


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জকিগঞ্জ থেকে সিলেটে ইজতেমায় আসার পথে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার সময় উপজেলার রামধা বাজারের পাশে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত একজন জকিগঞ্জ উপজেলার শাহবাগের কচুয়া গ্রামের আরকান আহমদ। অপরজনের নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা প্রায় সকলযাত্রীই আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে বাসটি উদ্ধারের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচন: আ.লীগ ২৫টিতে, বিদ্রোহী ১৩টিতে জয়ী

জেলা পরিষদ নির্বাচন: আ.লীগ ২৫টিতে, বিদ্রোহী ১৩টিতে জয়ী

জেলা পরিষদ নির্বাচন: আ.লীগ ২৫টিতে, বিদ্রোহী ১৩টিতে জয়ী
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যেই দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যে ৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকিগুলোর মধ্যে ২৫টিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর ১৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

যে ২৫টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন তারা হলেন, মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, নরসিংদীতে আসাদুজ্জামান, চাঁদপুরে ওসমান গণি পাটোয়ারী, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, বরিশালে মইদুল ইসলাম, মাগুরায় পঙ্কজ কুন্ডু, কুড়িগ্রামে জাফর আলী, রংপুরে ছাফিয়া খানম, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, বরগুনায় দেলোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুরে শামসুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মইনুদ্দিন মণ্ডল, পটুয়াখালীতে খান মোশাররফ হোসেন, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মিয়াজ উদ্দিন খান, খুলনায় শেখ হারুনুর রশিদ, সিলেটে লুৎফুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দিন, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, রাজবাড়ীতে ফকির আবদুল জব্বার, কুমিল্লায় আবু তাহের, নোয়াখালীতে এ বি এম জাফরুল্লাহ, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও গোপালগঞ্জে চৌধুরী ইমদাদুল হক।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে জয়ী হওয়া ১৩ জন হলেন- জামালপুরে ফারুক আহমেদ চৌধুরী, মেহেরপুরে গোলাম রসূল, রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরদার, শেরপুরে হুমায়ুন কবির রোমান, পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ, চুয়াডাঙ্গায় শামসুল আবেদীন খোকন, সাতক্ষীরায় নজরুল ইসলাম, নড়াইলে সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পঞ্চগড়ে আমানুল্লাহ বাচ্চু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল আলম, নীলফামারীতে জয়নাল আবদীন, গাইবান্ধায় আতাউর রহমান সরকার ও সুনামগঞ্জে নুরুল হুদা মুকুট।
 সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন !  লুৎফুর রহমানের বিজয়

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন ! লুৎফুর রহমানের বিজয়


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাপুটে জয় পেয়েছেন এডভোকেট লুৎফুর রহমান। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সিলেটে ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সিলেটভিউ২৪ডটকম’র হাতে আসা সব কয়টি কেন্দ্রের ভোটের বেসরকারি ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন লুৎফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৯৬টি ভোট। অন্যদিকে, লুৎফুর রহমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদার এসব কেন্দ্রে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৫৫৩ ভোট পেয়েছেন শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদার। 
সূত্র:সিলেটভিউ২৪ডটকম
 সিলেটে ১৫ নং ওয়ার্ডে সদস্য হলেন আলমাছ

সিলেটে ১৫ নং ওয়ার্ডে সদস্য হলেন আলমাছ


নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২৬ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আলমাছ উদ্দিন (ঘুড়ি)। তার নিকটতম প্রতিন্দন্দ্বি অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১৬ ভোট। কানাইঘাট উপজেলার পশ্চিম লক্ষীপ্রসাদ, পূর্ব লক্ষীপ্রসাদ, কানাইঘাট, পূর্ব দিঘীরপাড়, সাতবাঁক, বড়চতুল ও চারিকাটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র ছিল রায়ড়ড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
 সিলেটে চেয়ারম্যান পদে ৬টি কেন্দ্রে এগিয়ে লুৎফুর

সিলেটে চেয়ারম্যান পদে ৬টি কেন্দ্রে এগিয়ে লুৎফুর


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন এডভোকেট লুৎফুর রহমান। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সিলেটভিউ২৪ডটকম’র হাতে আসা ৬টি কেন্দ্রের ভোটের বেসরকারি ফলাফলের ভিত্তিতে এগিয়ে রয়েছেন লুৎফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪৬টি ভোট। অন্যদিকে, লুৎফুর রহমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদার এসব কেন্দ্রে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৮৮ ভোট পেয়েছেন শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদার। সূত্র:সিলেটভিউ২৪ডটকম
 সিলেটে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

সিলেটে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ১৫টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটগ্রহণকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সিলেট সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য প্রার্থী এবং সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। অধীর আগ্রহে ভোটের ফলাফল জানতে অপেক্ষা করছেন তারা। 
সূত্র:সিলেটভিউ২৪ডটকম