Wednesday, November 30

 শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন অত্যন্ত সাহসী নারী: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন অত্যন্ত সাহসী নারী: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো নারী তিনি জীবনে কম দেখেছেন। ভিক্টর বলেন, ‘আমি কোনো নারী সম্পর্কে খুব কমই বলি। কিন্তু আমি এখন আপনাদের বলছি, এই সম্মেলনে আমি যা দেখেছি তাতে বলতে পারি, শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন অত্যন্ত সাহসী নারী। খুব কমসংখ্যকই এমন নারী আছেন, যারা দেশের জন্য এমন নিবেদিত।’ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি বিজনেস ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভিক্টর এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির শীর্ষ পর্যায়ের বাণিজ্যিক সংগঠন বিজনেস ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো একজন শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাঙ্গেরি সফর উপলক্ষে দ্বিপাক্ষিক বণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের। বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যে ‘দ্রুতগতির অগ্রসরমান দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে ভিক্টর বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক নীতি প্রাচ্যের জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বের দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান দেশসমূহে হাঙ্গেরি রপ্তানি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও পূর্বের ব্যাপক সম্ভাবনায় দেশসমূহে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের শাক্তিশালী ও বৃহৎ রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় দিকটি দেখতে পারে। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঙ্গেরিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা হাঙ্গেরিয়ান কোম্পানিগুলোকে চামড়া ও জুতো, পাট, সিরামিক, পেট্রোকেমিক্যালস, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত, প্লাস্টিক সামগ্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেলিকমিউনিকেশন ও আইসিটি, পানি ও মেরিন এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য স্বাগত জানাচ্ছি। বুদাপেস্ট মারিয়ট হোটেলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদের নেতৃত্ব বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং হাঙ্গেরি চেম্বার অব কমার্সের (এইচসিসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এইচ ফারেন্স মিকলোসের নেতৃত্বে হাঙ্গেরির শীর্ষ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা যোগ দেন। এ উপলক্ষে দুই দেশের শীর্ষ দুই ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই ও এইচসিসি’র মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ৬৭ শতাংশ, জার্মানের সঙ্গে ৫৭ শতাংশ ও ফ্রান্সের সঙ্গে ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এই তথ্য থেকে ভালোভাবে বোঝা যায়, বাংলাদেশে যথাযথ পেশাগত ও প্রযুক্তিগত সুবিধা বিদ্যমান, যার মাধ্যমে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সামান্য কয়েকজন নেতার মধ্যে একজন যাকে আমরা খুব সম্মান করি। তার সাহস ও নির্ভীকতার কারণে তিনি আমাদের জন্য একটি ভালো দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ভিক্টর অরবান বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া উচিত, যেখানে ১৬ কোটি মানুষের দেশে ২০১০ সাল থেকে ৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, হাঙ্গেরি তার অর্থনীতিকে শাক্তিশালী, সার্বভৌমত্বকে সুসংহত ও বিনিয়োগে আকর্ষণ করার লক্ষ্যে বৈদেশিক নীতিতে বড় ধরনের বিপ্লব ও পরিবর্তন সাধন করেছে। আরবান বলেন, হাঙ্গেরির বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও শিক্ষা প্রযুক্তি খাতে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই হাঙ্গেরির কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিতে পারে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাঙ্গেরির নগর এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন, পানি পরিশোধন ও বন্যার হাত থেকে সুরক্ষায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ রয়েছে। পানি ব্যবস্থাপনার দিক থেকে হাঙ্গেরিকে একটি খুবই উন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাঙ্গেরির প্রকৌশলী জ্ঞান, বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি সারাবিশ্বে কাক্সিক্ষত ও স্বীকৃত।
মেহেদি পাতায় সুস্থ জীবন!

মেহেদি পাতায় সুস্থ জীবন!

মেহেদি পাতায় সুস্থ জীবন!
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মেহেদি পাতায় আমরা হাত রাঙাই। সাজিয়ে তুলি নিজেকে। এছাড়াও এর রয়েছে আরও গুণাগুণ।

পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করে
তাজা মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

মাথাব্যথা কমায়
মেহেদি গাছের ফুল মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি মেহেদি পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

মুখের ঘা ভালো করে
মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউথওয়াশ। মেহেদি পাতাগুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভালো করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

টাক পরা রোধ করে
সরিষার তেলের সাথে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

খুশকি দূর করে
খুশকি চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। একঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।

ঘামচির জ্বালাপোড়া রোধ করে
মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ঘামচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

বাতের ব্যথা রোধ করে
বাত এবং বাতজনিত সবরকম ব্যথা দূর করতে মেহেদি তেল বেশ কার্যকর। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করুন। ভালো ফল পেতে এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই মাস ব্যবহার করুন।
সোনার হরফে কোরআন লিখেছেন এই মহিলা

সোনার হরফে কোরআন লিখেছেন এই মহিলা

সোনার হরফে কোরআন লিখেছেন এই মহিলা
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআনকে নতুন ভাবে লিখে ইতিহাস গড়েছেন আজারবাইজানের শিল্পী তুনজালে মেমেদজাদে। ১৬৪ ফুটের স্বচ্ছ কালো সিল্কের উপর সোনা এবং রুপো দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর।

সিল্কের উপর সোনার হরফে কোরআন এই প্রথম লেখা হল বলে জানান ৩৩ বছরের এই শিল্পী। ১১.৪ ফুট বাই ১৩ ফুট সাইজের এই কোরানের হরফ লেখা হয়েছে সোনা এবং রুপো দিয়ে।

প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন মেমেদজাদে। কোরআনের প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে উত্কর্ষ ইসলামীয় শিল্পকলা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ারস, দিয়ানেট থেকে প্রকাশ পেয়েছে কোরআনের প্রথম সংস্করণ।

মেমেদজাদে জানান, ''সিল্ক দিয়ে তৈরি কোরআন কোনও ধর্মীয় আঘাত আনেনি। কোরআনেই সিল্কের কথা উল্লেখ রয়েছে।''


ফের বোলিংয়ের বৈধতা পেলেন হাফিজ

ফের বোলিংয়ের বৈধতা পেলেন হাফিজ

ফের বোলিংয়ের বৈধতা পেলেন হাফিজ
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারো বল করার অনুমতি পেলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। বোলিং অ্যাকশন শুধরানোয় হাফিজের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা (আইসিসি)।

গত বছরের জুলাইয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্টের পর তার বোলিং অ্যাকশন দ্বিতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইসিসি।

এর আগে ২০১৪ সালেও হাফিজের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আবারো বল করার অনুমতি পেয়েছিলেন।

এ বছরের ৬ জুলাই চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষায় দেখা যায়, বোলিং করার সময় তার কনুই ১৫ ডিগ্রির সীমা ছাড়িয়ে যায়।

এরপর বোলিং অ্যাকশনে পরিবর্তন আনতে চেষ্টা চালিয়ে যান হাফিজ। পরিশ্রমের ফলটাও তাই হাতেনাতেই পেয়ে গেলেন এই তারকা।
শ্রীদেবী কন্যার সঙ্গে শহিদ কাপুরের ভাই

শ্রীদেবী কন্যার সঙ্গে শহিদ কাপুরের ভাই

শ্রীদেবী কন্যার সঙ্গে শহিদ কাপুরের ভাই

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বলিউডের দাপুটে পরিচালকদের একজন করণ জোহর। বর্তমানে নামীদামী অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী উঠে এসেছেন তার হাত ধরে। নতুন নতুন প্রতাভাবান শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে করণের।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার এক সময়ে বলিউডে ঝড় তোলা নায়িকা শ্রীদেবীর কন্যা জাহ্নবি এবং বলিউডের প্রতিষ্ঠিত নায়ক শহিদ কাপুরের ভাই ঈশানকে নিজের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দিচ্ছেন করণ।

মারাঠি ছবি সৈরাটের রিমেক করতে যাচ্ছেন করণ জোহর। সেই ছবিতেই তাদের দেখা যাবে।

বলিউডে এখনও নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেননি ঈশান। কিন্তু তিনি ইতিমধ্যেই সেলেব্রিটি। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার্স প্রায় ৩০ হাজার।

ঈশানের মা নীলিমা আজিম জানিয়েছেন, শহিদের মতো ঈশানও বলিউডে আসছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল সারা আলি খানের সঙ্গে তাকে স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার টু-এ দেখা যাবে। কিন্তু চরিত্রটি শেষমেশ পান টাইগার শ্রফ। তবে এবার নাকি খবরটা সত্যিই। সৈরাটের হিন্দি রিমেকে জাহ্নবী কাপুরের বিপরীতে দেখা যাবে তাকে।

বনি কাপুর জানিয়েছেন, করণ জোহরের সঙ্গে তাদের জাহ্নবীকে নিয়ে কথা হয়েছে। তারা সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু কোন ছবিতে জাহ্নবীকে কাস্ট করতে চলেছেন করণ, তা তারা জানেন না। তবে সম্প্রতি সৈরাটের হিন্দি রিমেক নিয়ে কথা হচ্ছে। তাহলে হয়তো ওই ছবিতেই দেখা যাবে জাহ্নবী কাপুরকে।

গত ৩ বছর ধরে শোনা যাচ্ছে জাহ্নবী কাপুর নাকি বলিউডে অভিনয় শুরু করবেন। কিন্তু শ্রীদেবী জানিয়েছিলেন, জাহ্নবীর ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার শুরুর জন্য সেটা আদর্শ সময় ছিল না। আগে পড়াশোনা শেষ হোক। জাহ্নবী নিজের জীবন উপভোগ করুক, তারপর তিনি বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করবেন।
ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্য ছাড়ছেন ট্রাম্প

ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্য ছাড়ছেন ট্রাম্প

ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্য ছাড়ছেন ট্রাম্প

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি সদ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প। তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় কিছুই মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনের আগে অনেক কথা বললেও জয়ের পর অন্যরকম ট্রাম্পকেই দেখছে বিশ্ব।

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য তার ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্য ছাড়ছেন ধনকুবের ট্রাম্প। সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্যুইটারে দেয়া এক টুইটে তিনি এ ঘোষণা দেন।

যুক্তরাষ্ট্রকে পরিচালনায় গুরুত্ব দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, ব্যবসা ছেড়ে দিতে তাকে বাধ্য করা হয়নি; কারণ এটি পরিষ্কারভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিজে ব্যবসা থেকে সরে গিয়ে সন্তানদের হাতে তিনি এ দায়িত্ব তুলে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও মার্কিন এই ধনকুবের তার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এ নিয়ে দেশটিতে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

মার্কিন এই ধনকুবের বলেছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।

সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
নারীদের গাড়ি চালানোর সময় এসেছে: সৌদি যুবরাজ

নারীদের গাড়ি চালানোর সময় এসেছে: সৌদি যুবরাজ

নারীদের গাড়ি চালানোর সময় এসেছে: সৌদি যুবরাজ
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের স্পষ্টভাষী যুবরাজ আলওয়ালিদ নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর তার দেশের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা 'জরুরি' ভিত্তিতে তুলে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালাল তার অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে বলেন, 'বিতর্ক বন্ধ করুন: নারীদের এখন গাড়ি চালানোর সময় এসেছে।'

আলওয়ালিদ হচ্ছেন সৌদি রাজ পরিবারের একজন ব্যতিক্রমী স্পষ্টভাষী সদস্য। কোন রাজনৈতিক পদে না থাকলেও তিনি কিংডম হোল্ডিং কোম্পানির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধ।
১৩ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

১৩ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

১৩ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাশে বুধবার পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার ৩০ দিন পূর্ণ হবে চলতি সফর মাস। শুক্রবার থেকে গণনা শুরু হবে রবিউল আউয়াল। এ হিসেবে আগামী ১২ রবিউল আউয়াল অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হবে।

বুধবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

আজ থেকে ১ হাজার ৪৪৭ বছর আগে রবিউল আউয়াল মাসে ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচারক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। ঠিক এর ৬৩ বছর পর একই তারিখে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাই বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ দিনটি একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার দিন। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী বা সিরাতুন্নবী (সা.) নামে উদযাপিত হয়।

চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জাকির আহমেদ।

উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব সাইদুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুফতি এহসানুল হক প্রমুখ।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে দশ হাজার রোহিঙ্গাঃ জাতিসংঘ

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে দশ হাজার রোহিঙ্গাঃ জাতিসংঘ

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে দশ হাজার রোহিঙ্গাঃ জাতিসংঘ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে অন্তত দশ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে দাবি করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।

ব্যাংককে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর)মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই অনিশ্চিত এবং পালিয়ে আসা শরণার্থীর প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

ভিভিয়ান ট্যান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বিভিন্ন মানবিক ত্রাণ সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা অনুমান করছেন অন্তত দশ হাজার রোহিঙ্গা হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে রক্তাক্ত দমন অভিযান চালাচ্ছে, তাতে অন্তত তিরিশ হাজার মানুষ তাদের বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

শরণার্থীরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্যে সীমান্ত বরাবার বাংলাদেশ তাদের নিরাপত্তা জোরদার করে। অনেক শরণার্থীকে বাংলাদেশ আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠায়।

কিন্তু এসব সত্ত্বেও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী যে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে, সেকথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকারও।

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা এর আগে তাকে 'জাতিগত নির্মূল অভিযানের' সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক দফতর বলেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা করছে, তা মানবতা বিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

মিয়ানমার সরকার অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছে, তারা কেবল রোহিঙ্গা জঙ্গীদের দমনে অভিযান চালাচ্ছে।

সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে এই মূহুর্তে মিয়ানমারে রয়েছেন। কিন্তু তাকে রাখাইন প্রদেশে যেতে দেয়া হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

সূত্র- বিবিসি বাংলা
দেশ থেকে মঙ্গা চিরবিদায় নিয়েছে: অর্থমন্ত্রী

দেশ থেকে মঙ্গা চিরবিদায় নিয়েছে: অর্থমন্ত্রী

দেশ থেকে মঙ্গা চিরবিদায় নিয়েছে: অর্থমন্ত্রী
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মঙ্গা নিরসন কর্মসূচির সমাপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চিরবিদায় নিয়েছে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা। দেশে এখন আর কোন মঙ্গা নেই। তবে দ্রুত হারে দারিদ্র্য কমলেও এখনও কিছু মানুষ দরিদ্র বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ মিলনায়তনে মঙ্গা নিরসন সমন্বিত উদ্যোগ- 'সংযোগ' কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'পিকেএসএফের কর্মসূচি সমাপ্তির মাধ্যমে মঙ্গাও আজকের থেকে বিদায় নিল। এখন আমরা আনন্দের সঙ্গে বাংলা অভিধান থেকে মঙ্গা শব্দটি বিদায় করে দিলাম।'

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আগামী আট বছরের মধ্যে দেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না। তার মানে এই নয় যে, ২০২৪ সালে একেবারে দরিদ্র থাকবে না। কিছু সংখ্যক বৃদ্ধ, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী থেকেই যাবে। এদের সংখ্যা ৮-১৪ শতাংশের কম নয়। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে এসব মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের সব দেশেই একটি বড় সংখ্যক মানুষ রাষ্ট্রীয় এমন কর্মসূচির আওতায় রয়েছে।'

মুহিত বলেন, 'আশির দশকে গ্রামীণ ব্যাংকের দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় আরও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ার পরিকল্পনা করা হয়। বিশ্বব্যাংক বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে পরামর্শকও নিয়োগ দেয়। বিশ্বব্যাংক এ কার্যক্রম থেকে সরে যায়। এ কারণে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পিকেএসএফ গড়ে তোলা হয়। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও গড়ার চেষ্টা ছিল। কিন্তু গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।'

তিনি বলেন, 'বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ দিলেই কিছু শর্ত বেঁধে দেয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের সাহায্য সংস্থা ডিএফআইডি পিকেএসএফের শক্তিশালীকরণে অর্থ দিলেও কোনো শর্ত দেয়নি। এ অর্থ পিকেএসেএফ-এর আজকের অবস্থানে উঠে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।'

সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, 'মানুষকে বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য অর্থ দিলেই হবে না। প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। এটি করতে না পারলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে না, দারিদ্র্য থেকে মানুষের মুক্তি ঘটবে না।'

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পিকেএসএফ বাস্তবায়িত মঙ্গা নিরসন কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্রদের সংগঠিত করার মাধ্যমে তাদের মাঝে নমনীয় সঞ্চয়, সহনীয় ও নমনীয় ঋণ এবং আপদকালীন ঋণ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে (আইজিএ) অতি দরিদ্র সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্ব-নিয়োজিত ও মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অতি দরিদ্র পরিবারের নাজুকতা দূরীকরণে আর্থিক সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও কারিগরি সেবাও দেয়া হয়। এছাড়া প্রয়োজনে মঙ্গাকালীন কাজের বিনিময়ে অর্থ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

পিকেএসএফ বলছে, মঙ্গা নিরসন কর্মসূচির আওতায় এ যাবত প্রায় ২ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা নমনীয় ঋণ এবং ৭০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আপদকালীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৫ জন সদস্যকে কৃষিজ ও অকৃষিজ বিষয়ক দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং ১ হাজার ৭৬৬ জন সদস্যকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রাইম কর্মসূচির কারণে ২০০৭ সালে ছিল ৩৭ হাজার টাকা, তা এখন বেড়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৮ টাকা দাঁড়িয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ২০০৭ সালে তিন বেলা খাওয়া মাত্র ৪ শতাংশ ছিল, যা এখন বেড়ে ৯৯ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। মঙ্গাকালীন সময়ে কর্মসংস্থান প্রায় শূন্যের কোঠা থেকে বর্তমানে মাসে ২১ দিন হয়েছে। ২০০৮ সালে পরিবারের গড় সম্পদ ছিল ৬২ হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার টাকা।
আগামীকাল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন খালেদা জিয়া

আগামীকাল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন খালেদা জিয়া

আগামীকাল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন খালেদা জিয়া
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামীকাল আদালতে হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া।

আজ বুধবার তিনি এ খবর জানান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এর আদালতে দুর্নীতির এই মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করার কথা রয়েছে।

মামলায় এ যাবৎ ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলায় বকশিবাজারে অস্থায়ী একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতের বিচারক খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এরপর গত ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

জামিনপ্রাপ্ত বাকি দুই আসামি হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যাবসায়ী শরীফ উদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার দায়ে মাস দুয়েক আগে ৩ টি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মামলাগুলোতেও শীঘ্রই বিচার শুরু হবে।

বেশ কয়েকটি ধার্য তারিখে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার বাদি দুদকের সাক্ষী হারুন অর রশীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার বাদি দুদকের উপ পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, গত ১২ জুন ২০০৬ তারিখে আসামি কাজী সলিমুল হকের নামে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা এফ ডি আর করা হয় এবং তার নামে নতুন হিসান নম্বর খুলে সেখানে জমা করা হয়। আর এই টাকাগুলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা।

এর আগে মোট ১৭ বার এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের সময় পেছানো হয়। প্রতিবারই উচ্চ আদালতের অজুহাতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। সবগুলো তারিখই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী দুদকের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশীদ আদালতে সাক্ষ্য না দিয়ে ফিরে যান। সাক্ষ্যের জবানবন্দিতে আরও বলা হয়, সোনালী ব্যাংক রমনা শাখা থেকে চলতি হিসাব নং-৫৪১৬ থেকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা উত্তোলন করেন খালেদা জিয়া। যা সৌদি আরবের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি ডিডির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে আসে।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ মোট ১০ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের করা জিয়া অরফানেজ  ট্রাস্ট ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হল তারা হলেন, জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, নৌ -নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না, ঢাকা সিটি কর্পেরেমনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি খালেদা জিয়া এবং খালেদা জিয়ার বড় পুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মামুনুর রহমান।

অভিযোগ গঠনের সময় আসামি শরফুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামি তারেক রহমান সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশের বাইরে থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় নি বলে সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী মোশাররাফ হোসেন কাজল। চার্জ গঠনের পরপরই আসামিপক্ষ চার্জ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করে। উচ্চ আদালত শুনানি শেষে রিভিশন খারিজ করে দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাওঁ থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালে ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলাটির অভিযোগপত্র ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি আমলে নিয়েছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না, ঢাকা সিটি কর্পেরেমনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় হারিস চৌধুরী পলাতক রয়েছেন এবং বাকি আসামিরা জামিনে আছেন। জিয়া অরফানেজ  ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আ্ত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনকে  আসামি করে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার বড় পুত্র ও বিনেপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মামুনুর রহমান। উল্লেখ্য শেষের দুইজন বরাবর পলাতক আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গত রোববার হাঙ্গেরির উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। তবে পথিমধ্যে বিমানের ত্রুটি দেখা দেয়ায় তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। কয়েকঘণ্টা পরে ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি হাঙ্গেরির পথে রওনা দেয়।

এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। আর সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৬ ব্যক্তির গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিমানের ছয় জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

বরখাস্তকৃতরা হলেন-এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, লুৎফুর রহমান, জাকির হোসাইন এবং সিদ্দিকুর রহমান । এদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান টেকনিশিয়ান এবং বাকি পাঁচ জন বিমানের প্রকৌশল কর্মকর্তা।

বুধবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, ''আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ অবস্থায় আজ দেশে ফিরবেন।''

মন্ত্রী বলেন, কমিটির তদন্তে বলা হয়, তিনটি কারণে বিমানে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। কারণগুলো হলো- ইঞ্জিনের ত্রুটি (পার্টস কাজ না করা), আবহাওয়া সংক্রান্ত এবং কর্তব্যে অবহেলা। প্রাথমিক তদন্তে প্রথম দুটি কারণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সে ক্ষেত্রে  তদন্তে কর্তব্যে অবহেলার বিষয়টি উঠে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, বিমানের টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তারা এই অবহেলার জন্য দায়ী।

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত কমিটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর কাছে  প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই কমিটি  এই প্রতিবেদন দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। কয়েকঘণ্টা পরে ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি হাঙ্গেরির পথে রওনা দেয়।

আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওইদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১০১১) হাঙ্গেরির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রীসহ ৯৯ জন আরোহী এবং ২৯ জন ক্রু ছিলেন।
কোনো কাজেই আসেনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক!

কোনো কাজেই আসেনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক!

কোনো কাজেই আসেনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিকর অক্টোবরে বলেছিলেন, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তঃসীমান্ত এলাকায় ভারতের আরও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করতে হবে। নিরাপত্তা সংকট দেখা দিলে প্রয়োজনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো আরও সন্ত্রাসবিরোধী হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কোনো কাজে আসেনি। বরং দ্বন্দ্বের মাত্রা বেড়েছে উভয় দেশের মধ্যে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিমান উড়িয়ে সেখানের জঙ্গি ক্যাম্পগুলোতে অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন অধিকাংশ বিশ্লেষক।

এদিকে আবারও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে ভারতের সেনাঘাঁটি। জম্মু-কাশ্মীরের কাছে নাগরোটায় সেনাবাহিনীর ১৬ ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীদের একটি দল। এতে একজন সেনাবাহিনীর মেজরসহ ৩ ভারতীয় জওয়ান নিহত ও ৩ জন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া একজন সন্ত্রাসী এ হামলায় নিহত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, মঙ্গলবার সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে আত্মঘাতী হামলার ধাঁচে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। এক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাল্টা হামলা চালানোর কোনো সুযোগ দেয়নি তারা। জম্মু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাগরোটার কাছে শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নাগরোটা শহরের সেনাক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার পর এটাই ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে জঙ্গি দমনে পাকিস্তানে চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আদতে কোনো কাজে আসেনি। মঙ্গলবার এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফার্স্টপোস্ট।

জম্মুর ডেপুটি কমিশনার শিমরানদ্বীপ সিং বলেন, রাজ্য সরকার সেখানের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। নাগরোটায় সেনাবাহিনীর ১৬ ব্যাটালিয়নের সদর কার্যালয় থেকেই সেনা জওয়ানরা ভারত-পাক সীমান্তের ওপর নজরদারি চালায়। মূলত গোটা জম্মু এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই চালানো হয় এখান থেকে। জঙ্গি হামলার পর সম্পূর্ণ এলাকা ঘিরে ফেলে ভারতীয় জওয়ানরা। জাতীয় সড়কে যান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নাগরোটা হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলার পর পরই সেনা পোশাক, ছদ্মবেশী জ্যাকেট পরে ও হাতে ভারি অস্ত্র নিয়ে অভিযানে বের হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। কাশ্মীরে উরি হামলার পর লাইন অব কন্ট্রোল অতিক্রম করে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করে ভারত। এ হামলার পর থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক আরও অধঃপতনের দিকে যেতে থাকে। পাকিস্তান অভিযোগ করে, ২০০৩ সালের অস্ত্র বিরতি চুক্তির লংঘন করেছে ভারত। উরি হামলা এবং ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি হামলার শিকার হচ্ছে উভয় শিবির। প্রথম দিকে তারা ছোট পরিসরে গুলি চালনা ও স্নাইপার হামলায় সীমাবদ্ধ ছিল। পরে প্রথমবারের মতো চলতি বছরেই কামানের গোলা ব্যবহার শুরু করে উভয় দেশ। এ গোলাগুলির শিকার হচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা।

উভয় দেশ একে-অপরের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক ও উভয় দেশের বহু সেনা নিহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। এর সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরাও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে। ভারতীয় এক সেনাসদস্য বলেন, নাগরোটা সীমান্তের কাছ দিয়ে ঢোকার সময় তারা এ হামলা চালিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান উচ্চ আদালতে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি

অস্ট্রেলিয়ান উচ্চ আদালতে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি

অস্ট্রেলিয়ান উচ্চ আদালতে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: একশো তেরো বছর ধরে পুরুষ নেতৃত্বের ইতিহাস বদলে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হলেন ‍সুসান কিফেল।

মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রধান বিচারপতি রবার্ট ফ্রেঞ্চ অবসর গ্রহণ করায় তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সুসান।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, সুসানের গল্প অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

সুসান কিফেল বলেন, এই পদে আমাকে নিয়োগ  করায় খুবই সম্মনিত বোধ করছি। অফিসে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনে আমি সবসময় সচেতন থাকার চেষ্টা করব।

Tuesday, November 29

কানাইঘাট আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের অনলাইন মিডিয়া পার্টনার কানাইঘাট নিউজ

কানাইঘাট আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের অনলাইন মিডিয়া পার্টনার কানাইঘাট নিউজ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভাবান ফুটবলারদের বের করার জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। এ টুর্নামেন্টের অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে কানাইঘাটের প্রথম ওয়েব পোর্টাল কানাইঘাট নিউজ ডট কম। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এক প্রস্তুতি সভায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর উৎসব মুখর পরিবেশে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবলের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশের পরিচালনায় উক্ত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন ভিত্তিক এ ফুটবল টুর্নামেন্টের মিডিয়া পার্টনার করা হয়েছে কানাইঘাটের প্রথম এবং জনপ্রিয় আঞ্চলিক অনলাইন দৈনিক কানাইঘাট নিউজ ডট কম কে।
কানাইঘাটে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু

কানাইঘাটে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভাবান ফুটবলারদের বের করার জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এক প্রস্তুতি সভায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর উৎসব মুখর পরিবেশে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবলের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশের পরিচালনায় উক্ত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ক্রীড়া সংস্থার উপদেষ্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান কৃতি ফুটবলারদের উপস্থিতিতে ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তুতি সভায় আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টকে উৎসব মুখর পরিবেশে উদ্বোধন ও সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি খেলা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সভায় লটারির মাধ্যমে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্রুপ নির্ধারন করা হয়েছে। কানাইঘাটে ঐতিহ্যবাহী লোভা, সুরমা এবং ইসাবা-কুসি নদীর নামে ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ফুটবল দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে। ১ম পর্বের খেলা লীগ ভিত্তিক অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার।। ১৯ ডিসেম্বর ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন ফুটবল দলের মধ্যে উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত খেলায় সিলেটের উর্ধ্বতন যে কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করবেন বলে ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ কানাইঘাট নিউজকে জানিয়েছেন। ইউনিয়ন ভিত্তিক এ ফুটবল টুর্নামেন্টের মিডিয়া পার্টনার করা হয়েছে কানাইঘাটের প্রথম এবং জনপ্রিয় আঞ্চলিক অনলাইন দৈনিক কানাইঘাট নিউজ ডট কম কে। ক্রীড়া সংস্থার এ প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলা আ'লীগের আহবায়ক ও সাবেক মেয়র লুতফুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ সভাপতি, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান জেমস্ লিও ফারগুসন নানকা, বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবুল হোসেন দিঘীরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্বাস উদ্দিন, ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আব্দুল হেকিম শামীম, এনামুল হক, সদস্য সাবেক কৃতি ফুটবলার হাজী আব্দুল মালিক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং কানাইঘাট নিউজের নির্বাহী সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাংবাদিক জামাল উদ্দিন, উপজেলা ফুটবল দলের প্রধান কোচ আনোয়ার হোসেন সাজু, সহকারী কোচ মাষ্টার জাহেদ আহমদ, টিম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল কানাইঘাট

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল কানাইঘাট


নিজস্ব প্রতিবেদক: জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরী বলেছেন, মায়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর অমানবিক জুলুম নির্যাতন, নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে মুসলমানদেরকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, অথচ আজ বিশ্ব মোড়লরা নীরব। আল্লামা দুর্লভপুরী বলেন বিশ্বের কোথাও কোন জাতি গোষ্ঠীর উপর আক্রমন হলে বিশ্ব নেতারা মানবাধিকার লংঘনের দোহাই তোলেন। কিন্তু আজ রোহিঙ্গা মুসলমানরা অসহায়, তাদের ব্যাপারে কেউ কোন কথা বলছে না। এতেই প্রতীয়মান হচ্ছে মুসলিম নিধন হলে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তিনি আরো বলেন, অং সান সূচী
সন্ত্রাসী ও মুসলিম বিদ্বেষী এই অশান্তির নেত্রীর নোবেল শান্তি পুরষ্কার বাতিল করা সময়ের অপরিহার্য দাবী। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি সরকারে প্রতি জোরদাবী জানান। বাংলাদেশে শরনার্থী রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে জমিয়তে উলামার পক্ষ থেকে সাধ্যানুযায়ী আর্থিক সাহায্য করা হবে, তাই এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতার আহবান জানানো হয়। জমিয়তে উলামার কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা দুর্লভপুরী মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ কানাইঘাট উপজেলা শাখার উদ্যোগে মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবীতে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী কানাইঘাট উত্তর বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শায়খে লক্ষীপুরীর সভাপতিত্বে ও জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ কানাইঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলীর পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আল্লামা শামসুদ্দিন
দুর্লভপুরী, মাওঃ আব্দুল হক গোবিন্দপুরী, জেলা জমিয়তের উলামার সাধারণ সম্পাদক বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবুল হোসেন চতুলী, মাওঃ খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওঃ আব্দুল মুমিন, মাওঃ হাফিজ দেলোয়ার হোসেন, মাওঃ ফখরুল ইসলাম, মাওঃ ক্বারী সাজ্জাদুর রহমান, মাওঃ আব্দুর রহমান, মাওঃ কামাল উদ্দিন, মাওঃ বদরুল ইসলাম আল ফারুক, মাওঃ হাফিজ নজির আহমদ, মাওঃ ক্বারী মাসুক আহমদ, হাফিজ আব্দুল মালিক, মাওঃ এনামুল হাসান, মাওঃ খলিলুর রহমান, ছাত্রনেতাদের মধ্যে হাফিজ হফিজ ইমদাদ উল্লাহ মারজান, সিদ্দিকুর রহমান, আসাদ আহমদ, রায়হান আহমদ, মারুফ আহমদ, জুনায়েদ আল হাবিব, জবরুল ইসলাম, মহসিনুল আম্বিয়া, মাওঃ শোয়াইবুর রহমান, মাওঃ নুরুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল কুদ্দুছ, মাওঃ শফিকুল ইসলাম, মাওঃ কাওছার আহমদ, গোলাম কিবরিয়া, হাফিজ কামাল, হাফিজ বুরহান, হা. তারেক, হা. ওলিউর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ পূর্ব বিকেল ২টায় কানাইঘাট দারুল উলূম মাদ্রাসা থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে কয়েক হাজার ছাত্র, যুব জনতা অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিক্ষুব্ধ জনতা মায়ানমারের জাতীয় পতাকা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন।
তিতের বর্ষসেরা তালিকায় নেই মেসি!

তিতের বর্ষসেরা তালিকায় নেই মেসি!

তিতের বর্ষসেরা তালিকায় নেই মেসি!
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে এবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় শীর্ষ তিনজনের মধ্যে আর্জেন্টাইন যাদুকর লিয়নেল মেসির নাম রাখেননি। এ বছর তিনি শীর্ষ স্থানে রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।

বার্ষিক এই পুরস্কারের জন্য ব্রাজিল কোচের বিচারে শীর্ষ স্থানটি পেয়েছেন পর্তুগাল ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপরের দুটি স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বার্সেলোনার নেইমার ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের এন্টোনিও গ্রিজম্যান।

এ সম্পর্কে স্থানীয় গণমাধ্যমে তিতে বলেছেন, মেসি অবশ্যই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু গত মৌসুমে রোনালদোই সেরা ছিলেন। দু’জনের মধ্যে তুলনা করলে রোনালদো এবার ভাল খেলেছে। আমি শীর্ষ তিনজনের মধ্যে মেসিকে বাদ দিয়েছি কারণ চলতি বছর সে অনেক ইনজুরিতে পড়েছে। রোনালদো এভাবেই সামনে এগিয়ে গেছে এবং জাতীয় ও ক্লাব দলে নিজেকে প্রমাণ করেছে।

চলতি বছরে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে ভোটের পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফিফার স্থায়ী সদস্যভূক্ত প্রতিটি দেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক ও কোচ তিনটি করে ভোট দিবে। এটা একটি ধাপ, দ্বিতীয় ধাপে অনলাইন ব্যালটের মাধ্যমে ২০০ গণমাধ্যম প্রতিনিধি তাদের সেরা খেলোয়াড়কে বেছে নেবে।

গত বছর মেসি ও রোনালদোর পরে তৃতীয় স্থানে ছিলেন নেইমার। সর্বশেষ ব্রাজিলিয়ান হিসেবে এই পুরস্কার জয় করেছিলেন রোনালদিনহো। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে পরপর দুইবার তিনি ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বুধবার

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বুধবার

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বুধবার

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ১৪৩৮ হিজরি সনের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) তারিখ নির্ধারণ ও রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়কমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা অন্য কোনো উপায়ে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

টেলিফোন নম্বর : ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭।
ফ্যাক্স নম্বর : ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১।
বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন ব্রাজিলের তিন ফুটবলার

বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন ব্রাজিলের তিন ফুটবলার

বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন ব্রাজিলের তিন ফুটবলার

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের ফুটবলারসহ ৭২ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু নিয়ে একটি বিমান কলম্বিয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বলিভিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ওই বিমানটি কলম্বিয়ার মেডিলিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের ৮১ যাত্রীর মধ্যে ৭৫ জন নিহত হলেও ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন ব্রাজিলের প্রথম বিভাগের ফুটবল ক্লাব শ্যাপেকোন্সের তিন খেলোয়াড়সহ ছয়জন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স ব্রাজিলের টিভি চ্যানেল গ্লোবোনিউজ এবং স্পোর্টটিভির বরাতে এ খবর জানিয়েছে।

বেঁচে যাওয়া তিন খেলোয়াড় হলেন রক্ষণভাগের অ্যালাম রসুশেল, গোলরক্ষক মার্কোস ড্যানিলো পাডিলহা এবং রিজার্ভ গোলরক্ষক জ্যাকসন ফলমান।

এছাড়া ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জিমো সুয়ারেজ প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মি ওরিয়েন্টে। স্থানীয় সময় সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কলম্বিয়ার রাজধানী মেডেলিনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বিমানটিতে ১০ জন খেলোয়াড় ও নয়জন ক্রুসহ ৮১ জন আরোহী ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জোসে মারিয়া করডোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আরোহীদের মধ্যে মাত্র ছয়জনের বেঁচে থাকার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মি ওরিয়েন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৭টায় কোপা সুদামেরিকানা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার সময়সূচি নির্ধারিত ছিল। এতে কলম্বিয়ার অ্যাটলেটিকো ন্যাশনালের বিপক্ষে ব্রাজিলের শ্যাপেকোন্স ক্লাবের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল।

এ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ ডি লা সিয়েরা বিমানবন্দর থেকে লামিয়া এয়ারলাইনের আরজে-৮৫ বিমানটি মোট ৮১ জন আরোহী নিয়ে কলম্বিয়ার জোসে মারিয়া করডোভা বিমানবন্দরের পথে রওনা করে বিমানটি।

কিন্তু উড্ডয়নরত অবস্থায় জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে লা ইউনিয়ন শহরের কেরো গরডো এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে ওরিয়েন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ৭৬

ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ৭৬

ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ৭৬

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের প্রথম বিভাগের ফুটবল ক্লাব শ্যাপেকোন্সের সদস্যসহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৭৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে আর্ন্তজাতিক সংবাদমাদ্যমগুলো জানিয়েছে।

বিমানটির ৮১ আরোহীর মধ্যে জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫ জন ছাড়া বাকি সবাই মারা গেছেন। কলম্বিয়ার রাজধানী মেডেলিনের পুলিশ কর্মকর্তা জোসে আসেভেডোর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন দ্য গার্ডিয়ান।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কলম্বিয়ার রাজধানী মেডেলিনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বিমানটিতে ১০ জন খেলোয়াড় ও নয়জন ক্রুসহ ৮১ জন আরোহী ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জোসে মারিয়া করডোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আরোহীদের মধ্যে মাত্র পাঁচজনের বেঁচে থাকার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মি ওরিয়েন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৭টায় কোপা সুদামেরিকানা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার সময়সূচি নির্ধারিত ছিল।

এতে কলম্বিয়ার অ্যাটলেটিকো ন্যাশনালের বিপক্ষে ব্রাজিলের শ্যাপেকোন্স ক্লাবের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল।

এ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ ডি লা সিয়েরা বিমানবন্দর থেকে লামিয়া এয়ারলাইনের আরজে-৮৫ বিমানটি মোট ৮১ জন আরোহী নিয়ে কলম্বিয়ার জোসে মারিয়া করডোভা বিমানবন্দরের পথে রওনা করে বিমানটি।

কিন্তু উড্ডয়নরত অবস্থায় জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে লা ইউনিয়ন শহরের কেরো গরডো এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে ওরিয়েন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন কনমেবল এক ঘোষণায় কোপা সুদামেরিকানা টুর্নামেন্ট স্থগিত করার কথা জানিয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, মিরর.কো।
আইভীকে ঠেকাতে মাঠে নামছে বিএনপির ১০০ টিম

আইভীকে ঠেকাতে মাঠে নামছে বিএনপির ১০০ টিম

আইভীকে ঠেকাতে মাঠে নামছে বিএনপির ১০০ টিম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চায় বিএনপি। এই নির্বাচনকে  চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে চাইছে না বিএনপি নেতারা। যত ঝড়ই আসুক না কেন শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার পরিকল্পনা পাকা করেছে দলটির হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এরই মধ্যে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছেন বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনে জয় পেতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে মনিটরিং টিম গঠনসহ নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দলের স্থায়ী কমিটির এক নেতার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম গঠন হচ্ছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে প্রতি ওয়ার্ডে মনিটরিং কমিটি গঠন করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম স্থানীয় টিমকে নির্বাচনী প্রচারে নানা পরামর্শ দেবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ১৭১টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। সার্বিক বিষয় দেখভাল করার জন্য কেন্দ্রভিত্তিক টিম করার চিন্তা করা হচ্ছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন মনিটরিং করা,নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করার জন্য আলাদা টিম করা হবে বলেও জানা গেছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হবে নারায়ণগঞ্জে। জানা গেছে, প্রচার শুরুর আগেই টিম গঠনসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড শেষ করতে চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।

এছাড়া বিএনপির পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা টিম আকারে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির যু্গ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, ‘১৭১টি কেন্দ্রের জন্য ১০০টি কেন্দ্রভিত্তিক টিম গঠন করা হতে পারে। সাবেক এমপি, এমপি প্রার্থীসহ সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে এসব টিমে স্থানীয় নেতাদের রাখা হবে। তারা নিজ নিজ দায়িত্ব্প্রাপ্ত এলাকায় প্রচার চালাবেন। আশা করি খুব শিগগিরিই এসব কমিটি গঠনের কাজ শেষ করা হবে।’

এদিকে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ায় বাধা নেই। বিএনপি নির্বাচনী লড়াইয়ে খালেদা জিয়াকে কাজে লাগাতে চায়। বিএনপি নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়া প্রচারে অংশ নিতে পারলে ভোটের মাঠের চিত্র পাল্টে যাবে। কারণ আইনি জটিলতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী এমপিরা প্রচারের নামতে পারবেন না।

খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে সাখাওয়াতের পক্ষে প্রচারণায় মাঠে নামতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে আলাল বলেন, ‘আমরা আশা করি তিনি (খালেদা জিয়া) মাঠে নামবেন। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সুবিধাজনক সময়ে তার প্রচারে নামার সম্ভাবনা আছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও নেতাকর্মীদের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন,‘এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, পাড়া মহল্লায় বিএনপির কত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ করুক, কিন্তু কেউ বাড়ি ছাড়বেন না। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে এজন্য কেন্দ্র পাহারা দেবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকতে চাই। তবে সেটা পরিস্থিতি, নির্বাচনী পরিবেশ ও সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনেও আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের সে নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য করেছে।’

Monday, November 28

কানাইঘাটে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

কানাইঘাটে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাটে চার সন্তানের এক জননীকে স্বামী কর্তৃক ইনজেকশন পুশ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ স্ত্রীকে হত্যার সন্দেহে স্বামী মাওঃ সৈয়দ আহমদ (৩৫) আটক করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উপজেলার সদর ইউপির নিজ চাউরা উত্তর গ্রামে। জানা যায়, সদর ইউপির নিজ চাউরা উত্তর গ্রামের মাওঃ সৈয়দ আহমদ তার স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী দিলারা (২৮) কে গত রবিবার তাকে ডাক্তারের কাছে সে নিয়ে আসে। ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ সহ ইনজেকশন লিখে দিলে সে কানাইঘাট বাজারের একটি ফার্মেসী থেকে ইনজেকশনটি কিনে নিয়ে সোমবার বিকেল অনুমান সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রী দিলারা বেগমের কোমরে নিজে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে। ইনজেকশন মারার পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে সাথে সাথে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তার না হয়ে ইনজেকশন কেন স্ত্রীর শরীরের পুশ করলেন, সৈয়দ আহমদের কাছে জানতে চাইলে সে বলে তার স্ত্রী দিলারা বেগম সব সময় অসুস্থ থাকত তাই মাঝে মধ্যে সে নিজে ইনজেকশন পুশ করত। এ ব্যাপারে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা যায় সোমবার বিকেল ৫টার দিকে দিলারা বেগমকে জরুরী বিভাগে তার স্বামী সৈয়দ আহমদ নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই দিলারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। ইনজেকশন প্রয়োগের কারনে তার মৃত্যু হতে পার কি না জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসকের সাথে কথা হলে তিনি এব্যাপারে কোন কথা বলতে চাননি। স্বামীর ইনজেকশন পুশ দিয়ে স্ত্রী হত্যার সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরনের ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে রহস্যজনক ভাবে ইনজেকশন প্রয়োগে মৃত্যুবরণকারী দিলারা বেগমের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, তার স্বামী সৈয়দ আহমদ প্রায়ই তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত। সে পূর্বে দু’টি বিয়ে করেছে। ইনজেকশন প্রয়োগ করে মেয়েকে স্বামী হত্যা করেছে বলে নিহতের মা জাহিদা বেগম জানিয়েছেন। এব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কি কারনে দিলারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে, তবে তার স্বামী সৈয়দ আহমদকে স্ত্রীর শরীরে ইনজেকশন পুশ করেছে স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। ওসি স্যার সিলেট প্রশাসনিক কাজে থাকায় তিনি থানায় আসার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যার প্রতিবাদে কানাইঘাট তালবাড়ীতে মানববন্ধন

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যার প্রতিবাদে কানাইঘাট তালবাড়ীতে মানববন্ধন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্মম ভাবে নির্যাতন করে হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সোমবার কানাইঘাট উপজেলার ৯ নং রারাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তালবাড়ী এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। হাজী তাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও চৌধুরী তানিম এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা অামীমুল ইহসান শামীম, মাওলানা নাজিম উদ্দিন হিলালী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ এলাকার যুবক ও প্রবীণ মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
কানাইঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন ! কৃষকের মুখে হাসি

কানাইঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন ! কৃষকের মুখে হাসি

ডিসেম্বর থেকে জাবিতে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার জন্য শুক্র ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২১ অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসছে ডিসেম্বর থেকে শুক্র ও শনিবার দুইদিনের ছুটির আদেশ বাস্তবায়িত হবে।

পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সময়েরও পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অফিস সময় বলে বিবেচিত হবে। বর্তমানে সকাল ৭.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত অফিস সময় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জমান অনিক বলেন, এমনিতে সপ্তাহে অনেক বিভাগের অফ ডে থাকে। শুক্র ও শনিবার দুইদিন বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা হবে। এছাড়াও প্রশাসনিক  কার্যক্রমে আসবে স্থবিরতা। আমরা এক বছর সেশনজটে রয়েছি। ক্লাস পরীক্ষা সময় মতো না হলে সেশনজটে পড়ার আশংকা আরও বেশি রয়েছে।

সাংবাদিকতা বিভাগের আর এক শিক্ষার্থী বলেন, এর ফলে শিক্ষার্থীদের সেশন জটে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট। এমনিতেই আমরা কয়েক মাসের সেশনজটে রয়েছি।

তবে এ সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ। তিনি বলেন, “এই যুগান্তকারী সিন্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে গতি আসবে।”
কানাইঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন ! কৃষকের মুখে হাসি

কানাইঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন ! কৃষকের মুখে হাসি


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলা জুড়ে আমন ধানের রেকর্ড বাম্পার ফলন হওয়ায় ঘরে ঘরে কৃষকের মুখে সাফল্যের হাসি ফুটে উঠেছে। যেদিকে চোখ যায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে পাকা ধানের সোনালী ঢেউয়ে প্রাণ জুড়ায় সকলের। মাঠ জুড়ে মনের আনন্দে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যস্ত রয়েছেন। ধান মাড়াই কলের কদরও বেড়েছে কৃষক কৃষাণীদের মাঝে। বাড়ীতে বাড়ীতে যেন ধান মাড়াইর উৎসব চলছে। এ বছর রেকর্ড বাম্পার ফলন হওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা সোনালী আমন ধানের ফসল সঠিক ভাবে যাতে করে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন এজন্য তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এদিকে কৃষকদের এ আনন্দে শামিল হওয়ার জন্য এ বছর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষকদের নিয়ে নবান্ন উৎসবেরও আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মুন্সী মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিক জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে গিয়ে কৃষকদের সাথে ধান কাটা উৎসবে সামিল হন। কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের তাদের কাছে পেয়ে মনের আনন্দ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আল্লাহর রহমতে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তারা কয়েক বছরের তুলনায় বাম্পার ফলন পেয়েছেন। উপযুক্ত ধানের দামও পাওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশী। ভালো ফলনের পিছনে উপজেলা কৃষি অফিসের অবদান রয়েছে বলে তারা স্বীকার করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুন্সী তোফায়েল ইসলাম কানাইঘাট নিউজকে জানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আমন ধানের রেকর্ড বাম্পার ফলন উৎপাদন হয়েছে। উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪০৩৫ হেক্টর, কিন্তু সেই লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আমাদের কৃষক ভায়েরা ১৭৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। যা লক্ষ মাত্রার চাইতে ৩৬৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে আমন ধান পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক তদারকি ও পরামর্শে আমন ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত যেমন ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৫২, ব্রি ধান ৪৬, ব্রি ধান ৪১ জাতীয় ধান আবাদ করায় বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি উচ্চ ফলনশীল হতে ২.৯টন ও স্থানীয় হতে ১.৭টন গড় ফলন পাওয়া গেছে। কৃষকরা যাতে করে তাদের পাকা ধান নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন এ জন্য ধান কাটা ও মাড়াই মেশিন দিয়ে ধান তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে কৃষকরা তাদের ফসল শতভাগ ঘরে তুলতে সক্ষম হবেন। নবান্ন উৎসব প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, কৃষক ভায়েরা হচ্ছে দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনের চালিকাশক্তি। আমরা সবাই কৃষকের সন্তান। কৃষকরা যখন ভালো ফলন পান তখন আমাদের মন ভরে যায় ও দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে কৃষকদের সাথে সামিল হতে পেরে সত্যি মনটা আনন্দে ভরে গেছে। তাদের এ সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে নিজেকে গর্বিতবোধ করছি।
হাদিস অস্বীকার করলে কী হবে?

হাদিস অস্বীকার করলে কী হবে?


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা হলো ইনকারে হাদিস- হাদিস অস্বীকার করা। রাসুল [সা.]-এর হাদিস যে শরীআতের প্রমাণ এ কথা কুরআনের আয়াত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট বাণীর দ্বারা প্রমাণিত। কোনো হাদিসের কোনো সনদ কিংবা বাণীতে দুর্বলতা থাকার কারণ সেটাকে হাদিস না মানা কিংবা সম্ভাব্য একাধিক অর্থ হওয়ার কারণে বিশেষ কোনো প্রমাণের ভিত্তিতে তার প্রকাশ্য অর্থ বাদ দিয়ে অন্য কোনো ব্যাখ্যা করার বিষয়টি ভিন্ন কথা। এটা তো আমাদের সাহাবায়ে কেরামের সময় থেকেই চলে আসছে। এটা মূলত হাদিসের ক্ষেত্রে শুদ্ধতা ও বিশুদ্ধতার বিরোধ। হেদায়েত কিংবা গোমরাহির বিরোধ নয়। কিন্তু হাদিস শরীয়াতের দলীল সরাসারি এই কথাকে অস্বীকার করা। হাদিসকে শরীয়তের অকাট্য প্রমাণ হিসাবে না মানা এবং তাকে অনুসরণযোগ্য মনে না করে ঠাট্টা, বিদ্রুপ করা- এটা একটা ভয়ানক গোমরাহি এবং ইসলামের বিকৃতির নামান্তর। এই সম্পর্কে মোল্লা আলী কারী (র.) খোলাসাতুল ফাতাওয়ার সূত্রে উল্লেখ করেছেন, আমাদের কোনো কোনো শায়েখ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করবে তাকে কাফের বলে অভিহিত করা হবে। পরবর্তীকালের ফকিহগণ বলেছেন, যদি কেউ মুতাওয়াতির (ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হাদিস) হাদিসকে অস্বীকার করে তাহলে তাকে কাফের বলে অভিহিত করা হবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। অবশ্য যদি কেউ খবরে ওয়াহিদকে (একজন থেকে বর্ণিত হাদিস) তাচ্ছিল্য কিংবা ঠাট্টা করে প্রত্যাখ্যান করে তাহলে সেও কাফের (শরহে ফিকহে আকবার, ২৪৭)। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমাদের উচিত সর্তক থাকা।
শিশুদের জন্য শিমের ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

শিশুদের জন্য শিমের ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

শিশুদের জন্য শিমের ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: শিশু যখন শক্ত খাবার খেতে শুরু করে তখন তাকে শিম বা শিমের বীজ বা মটরশুঁটি দেয়া যেতে পারে। কারণ এরা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার কাজ করে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় এবং সারা বিশ্ব জুড়ে এর ১৫০ টি প্রজাতি আছে। এদের পুষ্টি উপাদান এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রায় একই রকম।

শিম শিশুর জন্য উপকারী কারণ এটি প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এবং জিংক থাকে। শিশুর জন্য শিম বা মটরশুঁটির স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলোর বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

১। প্রোটিনের উৎস
উদ্ভিদকুলের মধ্যে শিম হচ্ছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিনের উৎস। তবে তাজা শিমে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে এবং শুষ্ক শিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে।

২। ভিটামিন সি সরবরাহ করে
শিম ও শিমের বীজ ভিটামিন সি সরবরাহ করে। ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। সাধারণ ঠান্ডা, কফ ও অ্যাজমা প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর করে।

৩। ফোলেটের ভালো উৎস
ফোলেট বা ফলিক এসিড ভিটামিন বি গ্রুপের সদস্য। এই ভিটামিন লাল রক্ত কণিকার উৎপাদনে সাহায্য করে। লাল রক্ত কণিকা শিশুর সারা শরীরে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয় এবং শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষকে শক্তিশালী করতে এবং মস্তিষ্কের কাজ ঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে ফোলেট।

৪। অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ভিটামিন ছাড়াও সবুজ শিমে অন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ফ্লেভোনয়েড, অ্যালকালয়েড, কেটেচিন এবং এন্থোসায়ানিন থাকে। বিপাকের ফলে শরীরে যে ফ্রি র‍্যাডিকেল উৎপন্ন হয় তাকে নিরপেক্ষ হতে সাহায্য করে এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো। ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে আটকানো না গেলে এরা কোষের ক্ষতি করে এবং ডিএনএ এর ও ক্ষতি করে। তাই ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এমন খাবার খাওয়ানো উচিৎ শিশুকে।

৫। ডায়াটারি ফাইবার
শিমের শুঁটিতে বা কোষে প্রচুর ভক্ষনযোগ্য আঁশ থাকে। বৃহদান্ত্র বা কোলন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই ডায়াটারি ফাইবার। ডায়াটারি ফাইবার শরীরের পানি শোষণ করে এবং সকল দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয় মলের মাধ্যমে। নিয়মিত অন্ত্র পরিষ্কার হওয়া শিশুর জন্য উপকারী। এতে শিশু রোগমুক্ত থাকবে এবং খুধাও বৃদ্ধি পাবে।

সতর্কতা- সবুজ শিম বা মটরশুঁটি শিশুর পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে এবং বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই শিশুর বয়স এক বছর হলে তারপর তাকে শিম বা শিমের বীজ খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। প্রথমে ১/২ চামচ করে খাওয়ান।

শিশুর জন্য রান্না করা– শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে অল্প পানিতে শিম বা শিমের বীজ সিদ্ধ করা। ফুটন্ত পানিতে সবুজ শিম দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকনা ছাড়া সিদ্ধ করুন, তারপর ঢেকে দিন। ১৫ মিনিটের বেশি সিদ্ধ করলে শিমের রঙ নষ্ট হেয়ে যেতে পারে।
নতুন স্মার্টফোন আনছে হুয়াওয়ে

নতুন স্মার্টফোন আনছে হুয়াওয়ে

নতুন স্মার্টফোন আনছে হুয়াওয়ে

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জিআর ফাইভ স্মার্টফোনের নতুন সংস্করণ দেশের বাজারে আনছে হুয়াওয়ে। ক্যামেরাই এই স্মার্টফোনটির বিশেষ ফিচার। এটিকে ফ্ল্যাগশিপ ফোন বলে দাবি করেছে হুয়াওয়ে।

এর ব্যাটারি ৩ হাজার ৩৪০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের। এছাড়াও আছে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে, অক্টাকোর প্রসেসর, তিন জিবি র‍্যাম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

পেছনের দিকে দুটি ক্যামেরা লেন্স আছে। একটি ১২ ও অপরটি ২ মেগাপিক্সেলের। সেলফি তোলার জন্য ফোনটির সামনে আছে আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। স্মার্টফোনটিতে প্রো ফটো মোড ও কম আলোতে ভালোমানের ছবি তোলার সুবিধা পাবেন আলোকচিত্রীরা।

তবে বাংলাদেশের বাজারে এখনো এ স্মার্টফোনটির দাম ঘোষণা করেনি হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মোহালি টেস্টেও জয়ের পথে ভারত

মোহালি টেস্টেও জয়ের পথে ভারত

মোহালি টেস্টেও জয়ের পথে ভারত

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মোহালি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে জয়ের সুবাতাস পাচ্চে ভারত। জাদেজার ব্যাটিং ও অশ্বিনের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপাকে পড়েছে ইংল্যান্ড।

ইনিংস পরাজয় এড়াতেই ইংল্যান্ডের চাই আরও ৫৬ রান। তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রানে।

১৩৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ড ধুকছে ব্যাট হাতেও। আঙুলের চোটে ইনিংস শুরু করতে পারেননি হাসিব হামিদ। অ্যালেস্টার কুকের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন জো রুট।

দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে কুককে বোল্ড করেছেন অশ্বিন। পরে মইন ও স্টোকসকেও ফেরান অশ্বিন। আর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দেন আরেক অফ স্পিনার জয়ন্ত।

এরপর নাইটওয়াচম্যান গ্যারেথ ব্যাটিকে নিয়ে শেষ কয়েক মিনিট নিরাপদে কাটিয়ে দেন জো রুট।

তৃতীয় দিনে ভারতের লাগাম নেওয়ার তিন নায়ক দলের তিন স্পিনার। তিনজনই ব্যাট হাতে করেছেন অর্ধশতক।

ক্যারিয়ার সেরা ৯০ রানের ইনিংস খেলেছেন জাদেজা। অর্ধশতকের পর গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নিয়েছেন মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জয়ন্ত যাদব। ৭২ রানের দারুণ ইনিংসের পর অশ্বিন ধরেছেন তিন শিকার।

এর আগে ৬ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ভারত। ৭২ রানে অশ্বিনকে ফেরান স্টোকস। তবে সপ্তম উইকেটে ৯৭ রানের জুটিই ইংলিশদের বিপাকে ফেলে দিয়েছিল।

এরপর অষ্টম উইকেটে জাদেজা ও জয়্ন্ত যাদবের ৮০ রানের জুটি ইংলিশদের মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছিল!

ইনিংস টেনে নেয়া জাদেজা ৯০ রানে আদিল রশিদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়লেন।
শেষ পর্যন্ত জয়ন্ত ও উমেশ যাদবকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের ইতি টানেন স্টোকস। এই উইকেটের মধ্য দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন স্টোকস।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছিল ২৮৩ রান। জবাবে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৪১৭ রান। ১৩৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৮ রান।
অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে 'আমি তোমার হতে চাই'

অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে 'আমি তোমার হতে চাই'

অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে 'আমি তোমার হতে চাই'
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে বাপ্পি ও মিমের নতুন ছবি 'আমি তোমার হতে চাই'। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইভ টেকনোলজিস।

বিএফডিসির চৌকাঠ পার হয়ে বাপ্পি ও মিমের ছবি 'আমি তোমার হতে চাই' গিয়ে দাঁড়িয়েছিল আদালত প্রাঙ্গণে!

আদালত আগামী বছর ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ছবিটির কোনওরকম প্রচারণা-প্রকাশনা ও মুক্তি দেওয়ার বিপক্ষে রায় দেন। পরে বিবাদি পক্ষের পাল্টা রিটের কারণে এই রায়ের উপরও আসে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা!

এদিকে, এমন মামলা ও পাল্টা বিবৃতিতে অনেকে ছবির প্রচারণার নেতিবাচক 'কৌশল' হিসেবে দেখছেন। অনেকে সরাসরি 'কৌশল' হিসেবেই বলছেন এটিকে!

কারণ মামলা পরিচালনাও করা হয়েছিল ছবি প্রচারণার ফান্ড থেকে। এছাড়া ছবিটি নিয়ে এর কলাকুশলীরা মাঝে কয়েকদিন বাদ দিয়ে নিয়মিতই প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।

'আমি তোমার হতে চাই' ছবিটিতে বাপ্পি ও মিম ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন দীপালি, জন, মিশা সওদাগর, মনিরা মিঠু প্রমুখ।
'৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেও আমি জয়ী হতাম'

'৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেও আমি জয়ী হতাম'

'৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেও আমি জয়ী হতাম'
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, 'নির্বাচনে জিততে যদি ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির পরিবর্তে তথাকথিত জনপ্রিয় ভোট হিসেব করা হত, তাহলে জয় পাওয়া আমার জন্য আরো অনেক সহজ হত'। তখন আমাকে ১৫টি রাজ্যের বদলে মোটে ৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেই হত।

গ্রিন পার্টির প্রার্থীর উদ্যোগে উইসকনসিনে যে ভোট পুনর্গননার উদ্যোগ হয়েছে, তাতে পরাজিত ডেমোক্রেটিক প্রার্থী মিসেস ক্লিনটনের শিবির সমর্থন দেয়ার কথা বলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বক্তব্য দিলেন।

উইসকনসিনে খুব সীমিত ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মি. ট্রাম্প।

ইলেক্টোরাল ভোটের হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলেও প্রাপ্ত মোট ভোট সংখ্যা অর্থাৎ জনপ্রিয় ভোটে ক্লিনটন ট্রাম্পের চাইতে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

মিসেস ক্লিনটনের জয় পাওয়া ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং ক্যালিফোর্নিয়াতেও 'মারাত্মক ধরণের ভোট প্রতারণা' হয়েছে বলেও অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, এই ইস্যু নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম টু শব্দটি করছে না।

রোববার ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের বক্তব্যও প্রকাশ করেন যেখানে ক্লিনটন বলেছিলেন, ভোটে যে ফলই আসুক তিনি তা মেনে নেবেন।

ওই বিতর্কে বরঞ্চ 'ট্রাম্প হেরে গেলে ফল নেবেন না' বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন ক্লিনটন।
নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হচ্ছে না বরিশালের ৬ জেলায়

নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হচ্ছে না বরিশালের ৬ জেলায়

নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হচ্ছে না বরিশালের ৬ জেলায়
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বরিশাল বিভাগের কোনো জেলায়ই কাউন্সিল হচ্ছে না।

বিশেষ করে বিভাগীয় শহর বরিশালের তিনটি ইউনিটের এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। যদিও দেশের বিভিন্ন স্থানে এরই মধ্যে কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় নেতারা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে কাউন্সিল দিতে কালক্ষেপণ করছেন। এর ফলে নতুন বছরে অগোছালোই রয়ে যাচ্ছে বরিশাল বিএনপি এমনটাই জানিয়েছেন এ অঞ্চলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

গত বছরের ৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় বিএনপি জেলায় জেলায় চিঠি দিয়ে একমাসের জন্য কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয়। বরিশাল বিভাগে ওই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অনেকাংশেই ভেস্তে গেছে। নতুন করে গেল সেপ্টেম্বরে ফের পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। পুনর্গঠনের দায়িত্বে থাকা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলায় জেলায় কাউন্সিল কিংবা পুনর্গঠন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিভাগের ছয় জেলার কোনো ইউনিটেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাউন্সিল কিংবা পুনর্গঠন করার সম্ভাবনা নেই। ২০১৩ সালে বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। গত বছর পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, দলের সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অনেক সম্পাদকীয় পদের নেতারা আসেন না। এ অবস্থায় মহানগর বিএনপি নতুন করে গঠন না হলে আগামী দিনের আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচনে ব্যর্থ হবে বিএনপি। তবে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাউন্সিল করার কেন্দ্রীয় নির্দেশ ছিল, কিন্তু ওই নির্দেশনার আওতায়  মহানগর বিএনপি ছিল কিনা জানা নেই। বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপিও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে না। ২০১৩ সালে সাত সদস্যবিশিষ্ট দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি হলেও তা আর পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়নি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাউন্সিল করার কথা ছিল। এজন্য থানা কমিটি শেষ করা হচ্ছে। উত্তর জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক নুরুর আলম রাজু বলেন, কেন্দ্র থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাউন্সিল করার নির্দেশনা ছিল। এখন কাউন্সিলের জন্য নির্দিষ্ট সময় কেন্দ্রের কাছে চাইবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মাহবুবুল হক নান্নু বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এটি ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। কেননা জেলায় জেলায় নানা জটিলতা। ১ ডিসেম্বর ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে থানা নেতারা সম্মেলনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ অবস্থায় যে কোনো মূল্যে ঝালকাঠি সম্মেলন প্রতিহত করবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

পিরোজপুরে ২৭ নভেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়েছে। ডিসেম্বরের আগে বরিশাল জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি কাউন্সিল করতে পারবে না। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা শাজাহান ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব জেলায় কাউন্সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে না হলেও জানুয়ারির মধ্যে বরিশাল বিভাগের আটটি ইউনিটে কাউন্সিল কিংবা আহ্বায়ক কমিটি হবে। উত্তর জেলায় ওই সময়ে কমিটি সম্পন্ন হবে। তবে দক্ষিণ জেলা বিএনপি ব্যর্থ হওয়ায় ডিসেম্বরে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি বলেন, ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কাউন্সিল করার জন্য একটি প্রস্তাবিত ডেট রয়েছে। পিরোজপুরে ২৭ নভেম্বর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির কাউন্সিল ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে। এ ব্যাপারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, সারা দেশেই কেন্দ্রীয় নির্দেশে সম্মেলন হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে টিম করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কাউন্সিল করার জন্য ৩০ নভেম্বর একটি টার্গেট ছিল। এটা নিয়ে জেলা নেতারা এগোচ্ছেন। নানা জটিলতার কারণে তা এখন পেছানো হতে পারে। তিনি বলেন, মহানগর বিএনপিরও সম্মেলন হবে। কিন্তু সিরিয়াল না পাওয়ায় তারিখ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
'এক সপ্তাহের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে শ্যামলীর শিশুমেলা'

'এক সপ্তাহের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে শ্যামলীর শিশুমেলা'

'এক সপ্তাহের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে শ্যামলীর শিশুমেলা'

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব সম্পত্তি বিনোদন কেন্দ্র ‘শ্যামলী শিশুমেলা’। এটি ভাড়ায় পরিচালিত। তবে ২০০২ সালের পর কর্তৃপক্ষ এর কোনো ভাড়া এমনকি বিদ্যুৎ বিলও দেয়নি, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার সকালে বিনোদন কেন্দ্রটি সিলগালা করে দেয় ডিএনসিসি।

রাজধানীতে শিশুদের জন্য হাতেগোনা যে ক’টি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুদের এ বিনোদন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। শিশুদের মতো সব বয়সী মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় এ বিনোদন কেন্দ্রটি।

আশার কথা হলো- এক সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশন এটি খুলে দেবে। শিশু মেলার দুই গেটে বর্তমানে দু’টি নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, শিশুমেলাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তি। অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। নোটিশে আরো বলা হয়েছে- ‘অচিরেই পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।‌’
 
শিশুমেলা আবার কবে চালু করা হবে জানতে চাইলে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে শিশুমেলা আবার খুলে দেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে মিটিং করেছি। আজও বসবো। কিভাবে চালু করা যায়, শুধু চালু করলেইতো হবে না, এর ব্যবস্থাপনা কিভাবে করা যায়, সব ঠিক করেই চালু করতে হবে।‌’
 
তিনি আরো বলেন, ‘গত ১২ বছর কিভাবে এ বিনোদন কেন্দ্রটি চালানো হলো, আমি ভেবেই পাইনা। একটি টাকাও তারা দেয়নি।’
প্রতিষ্ঠানটি আরও একটু সাজিয়ে গুছিয়ে পরিচালনার চিন্তাভাবনা রয়েছে ডিএনসিসি’স।
 
এদিকে ২৬ নভেম্বর শিশুমেলার গেটে সিলগালা করার পর দেখভালের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আনসার সদস্য এমদাদ হোসেন বলেন, আমরা তিনজন আছি যেন বাইরের কেউ এখানে আসতে না পারে। এখনও পর্যন্ত মালিকপক্ষের কোনো লোক আসেননি। সূত্র: বাংলানিউজ
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকবে আলাদা বিমান: মেনন

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকবে আলাদা বিমান: মেনন

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকবে আলাদা বিমান: মেনন

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিমান কেনার কথা জানিয়েছেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

হাঙ্গেরি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির প্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেন মেনন।

সোমবার জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান মেনন।

এসময় তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ভ্রমণের জন্য এক্সিকিউটিভ এয়ারক্রাফট কেনা হবে'। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই কেনা হবে।

গতকাল হাঙ্গেরি সফরের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানে জরুরি অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান।

বিমানে যাত্রিক ত্রুটির ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করেছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগ চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয় এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে সোমবার আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস‌্য শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, 'পানি নিরাপত্তাই এ পৃথিবীর মানুষের মর্যাদার্পূণ ও মঙ্গলময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে'। সেই লক্ষ‌্য র্অজনে আমাদের অবশ‌্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, আর তা এই মুর্হূত থেকেই। এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মানসম্মত স্যানিটেশন, পানি ও বিশুদ্ধতার অভাবে প্রতি বছর প্রায় পৌনে সাত লাখ মানুষের প্রাণহানি এবং অনেক দেশের জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বে ২৪০ কোটি মানুষ উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার বাইরে রয়েছে এবং অন্তত ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।

পানিকে সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং পরিবেশের ভারসাম‌্যের মৌল ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করে এই সম্মেলনের আয়োজন করায় হাঙ্গেরি সরকারকে ধন‌্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দর্শন, সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে পানি। আর এমন এক দেশ এই পানি সম্মেলনের আয়োজন করেছে, সেই হাঙ্গেরি পানি নিরাপত্তার জন‌্য বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০১৩ সালের বুদাপেস্ট পানি সম্মেলনই পানি নিয়ে এসডিজির ধারণাগত ভিত্তি দিয়েছে।

বাংলাদেশে নিরাপদ পানির জন্য এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ‌্যে পূরণ এবং ৬৫ শতাংশ মানুষের জন‌্য উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, '২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি এবং মোট জনসংখ্যার অন্তত ৯০ শতাংশের জন্য উন্নত পয়াঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর'।

শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং বাংলাদেশের সতর্কতা ব্যবস্থা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও সমুদ্র উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার উদ‌্যোগ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মহিলা এশিয়া টি-টোয়েন্টি কাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়

মহিলা এশিয়া টি-টোয়েন্টি কাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়

মহিলা এশিয়া টি-টোয়েন্টি কাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভারতের কাছে হার দিয়ে মহিলা এশিয়া টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু করা বাংলাদেশ প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। এদিন থাইল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৮৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮ ওভার ৩ বলে ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ডের ইনিংস।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় থাইল্যান্ড। পান্না-রুমানাদের দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের নয় জনই ফিরেন এক অঙ্কের ঘরে। সর্বোচ্চ ২১ রান করেন নাত্তাকান চান্তাম ।এছাড়া দুই অঙ্কে যান কেবল অধিনায়ক সোরনারিন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৮ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। তৃতীয় উইকেটে ফারগানাকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন সানজিদা।

তবে সানজিদা ৩৮ রানে আউট হওয়ার পর আর কেউ দাঁড়াতে না পারলে ৮৮ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পান্না ঘোষ আর রুমানার বোলিং তোপে মাত্র ৫৩ রানেই শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে পান্না ঘোষ ৪ আর রুমানা নেন ৩ উইকেট।
'বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্যে সালমার উশৃংখল জীবনযাপন'

'বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্যে সালমার উশৃংখল জীবনযাপন'

'বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্যে সালমার উশৃংখল জীবনযাপন'

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সালমার সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সরকারদলীয় এমপি শিবলী সাদিক। সালমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সালমার উশৃংখল জীবনযাপনই বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ। সে রাত-বিরাতে বিভিন্ন জায়গায় যায়। বিষয়টি আমাদের পরিবারের জন্য বেশ বিব্রতকর। বিশেষ করে গত রমজানে সেহরি পার্টি থেকে শুরু করে চার মাস রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাইরে ছিল। চলতি মাসের ২০ তারিখ বাসায় ফিরে টাকা-পয়সা দাবি করে, মোহরানা দাবি করে। পরে আমি আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান করে দিয়েছি।

সালমাকে গান করতে না দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শিবলী বলেন, আমি চাই সে ঢাকার বড় বড় অনুষ্ঠানে অংশ নিক। কিন্তু সে এটা মেনে নিতে রাজি নয়। তার দাবি, সে দেশের বাইরে গিয়ে শো করবে। অভিনয় করবে। রাত-বিরাত স্টুডিওতে গিয়ে কাজ করবে। পারিবারিকভাবে এগুলোর ব্যাপারে আমাদের আপত্তি ছিল। এটাই মূল বিষয়।

সালমার বাবা-মাকে অপমানের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো মোটেও সত্যি নয়। ওর বাবা-মা মাসের ২৫ দিনই আমার কাছে থাকত। আমি যদি খারাপ ব্যবহার করতাম তাহলে আমার বাসায় কীভাবে থাকে? আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সালমার নামে এখন ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট হয়েছে। তাদের গ্রামে বাড়ি করে দিয়েছি।

সূত্র- যুগান্তর
সেই ব্যক্তি সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যবান যে ‘ঈমানদার’

সেই ব্যক্তি সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যবান যে ‘ঈমানদার’


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: অনেকেই মনে করে যদি আমার প্রচুর টাকা থাকতো তবে আমি সৌভাগ্যবান হতাম । কিংবা যদি আমার অনেক ক্ষমতা থাকতো তাহলে আমি সৌভাগ্যের অধিকারী হতাম। কিন্তু ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবীর দুদিনের অতিথি এই মানুষের সৌভাগ্যের প্রকৃত কারণ কোনটি সেটি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে হাদিসে/পাক কোরাণে । হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি মনেপ্রাণে, বিশ্বাসের সঙ্গে একবার কালেমা পাঠ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ বস্তুত একজন মানুষের জন্য চিরস্থায়ী জীবনে অনন্তকালের জন্য জান্নাত লাভের চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না। সেই হিসেবে বলা যায়- ঈমান হলো মানুষের বড় সম্পদ। ঈমান লাভ ভাগ্যের বিষয়। মুসলমান হতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। এ গর্বের কথাই ধ্বনিত হয়েছে পবিত্র কোরআনে কারিমের এ আয়াতে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং সে বলে আমি তো মুসলমান।’ -সূরা হা মিম সিজদা: ৩৩ মুসলমান হওয়া মানে দুনিয়াতে সফলতা, কবরে শান্তি, আখেরাতে মুক্তি এবং সবশেষে চিরশান্তির ঠিকানা জান্নাতের নিশ্চয়তা। একজন মুমিনের দাম এ দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে সবকিছু থেকেই বেশি। একজন মুমিন যত দিন এ দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে তত দিন এ পৃথিবী সব ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকবে। পৃথিবী টিকে থাকবে, ধ্বংস হবে না। ঈমানের প্রথম অংশ হলো- ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, অদ্বিতীয়। তার কোনো অংশীদার নেই। তিনি সব পারেন, সব করেন। সব ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব একমাত্র তারই অধীন। তিনি সব ধরনের দুর্বলতা, ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র। সামান্য থেকে সামান্যতম বিষয়েও কেউ তার অমুখাপেক্ষী নয়, আর তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন- এ বিশ্বাস ও ধারণা মনেপ্রাণে স্থাপন করা। ঈমানের দ্বিতীয় অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’। হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। তিনি সর্বশেষ নবী। মানুষের হেদায়েতের জন্য মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ পয়গম্বর। তার পর আর কোনো নবী অথবা রাসূল আসবেন না- এ কথাও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা এবং মেনে নেয়া। কেউ যদি এ কথা অবিশ্বাস করে, অস্বীকার করে- সে ঈমানদার থাকবে না; মুসলমান থাকবে না। মুসলমানের কাছে ঈমানের ধন আছে, কালেমার সম্পদ আছে। তাই এ সম্পদ নষ্ট এবং ধ্বংস করার জন্য চারদিকে চেষ্টা ও প্রচেষ্টার কমতি নেই। অভিশপ্ত শয়তান সর্বদা মানুষকে বিপথগামী করতে চেষ্টা করে। শয়তানের প্ররোচনায় মুসলমানের ঈমান ধ্বংস করার জন্য চারদিকে নানা দল-উপদলে, ফেতনা-ফাসাদের জন্ম হয়েছে। তাই খুবই সতর্ক থাকতে হবে। পবিত্র কোরআনে কারিমের ভাষায় ‘মানুষ ও জিন উভয় ধরনের শত্রু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।’ অভিজ্ঞ আলেমদের অভিমত হলো, ঈমান রক্ষার জন্য সর্বাগ্রে ঈমান কাকে বলে, তা জানতে হবে। জানতে হবে কোন বিষয়গুলো ঈমানবিধ্বংসী। কী কী কাজ করলে ঈমান হারিয়ে যায় এবং ঈমান চলে যায়। আর কোন কাজের মাধ্যমে ঈমান থাকে এবং আরও মজবুত হয়। এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইহুদি সম্প্রদায় ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছিল। নাসারা সম্প্রদায় ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর শিগগিরই আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। একটি দল মাত্র নাজাত পাবে, আর বাকি সবাই জাহান্নামে যাবে। জিজ্ঞেস করা হলো, নাজাত প্রাপ্ত সেই একটি দল কারা হবে- ইয়া রাসূলুল্লাহ! হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি এবং আমার সাহাবারা যে পথে আছি সেই পথের যারা অনুসারী হবে, সেই পথকে যারা অনুসরণ করবে, তারাই হবে মুক্তিপ্রাপ্ত সেই জামাত।’ –সুনানে তিরমিজি ও ইবনে মাজা সুতরাং আল্লাহর রাসূল (সা.) এবং তার সাহাবার রেখে যাওয়া পথই এ উম্মতের একমাত্র মুক্তির পথ। এ ছাড়া যত মত-পথের উদ্ভব হবে, আবির্ভাব ঘটবে, সবকিছুকেই মিলিয়ে দেখতে হবে এ মাপদন্ডের সঙ্গে। সেই সঙ্গে সর্বদা কোরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে থেকে অনুসরণ করতে হবে সাহাবাদের। তাহলেই কেবল বাঁচা যাবে বিভ্রান্তি থেকে। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সতর্ক করে গেছেন এমন একটি যুগ সম্পর্কে, যে যুগে এমন বিভক্তি দেখা দেবে। ফেতনা-ফ্যাসাদ প্রবল হবে। দাঙ্গাহাঙ্গামা বেড়ে যাবে। অশ্লীলতা, নির্লজ্জ বেহায়াপনা ব্যাপক আকার ধারণ করবে। সবকিছুই এখন আমাদের সমাজে দৃশ্যমান। সবকিছুই অক্ষরে অক্ষরে আমরা আমাদের সমাজে প্রতিফলিত হতে দেখছি। অশ্লীলতা সমাজে ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছে গেছে। চারদিকে অন্যায়-অশ্লীলতার যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এমতাবস্থায় ঈমানের ওপর টিকে থাকা একজন মুমিনের জন্য বেশ কঠিন। তাই এখনই অধিকতর সতর্ক না হলে, সাবধান না হলে ঈমান অক্ষত রেখে চলা ও বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। নানামুখী ফেতনা-ফ্যাসাদ ও বিভ্রান্তির কবলে পড়ে ঈমান হারানো কিংবা ঈমানের দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বিদ্যমান বাস্তবতায় তাই আল্লাহর দরবারে প্রতিনিয়ত এ মর্মে দোয়া করা দরকার, আল্লাহ যেন আমাদের ঈমানের সৌভাগ্য থেকে মৃত্যু অবধি বঞ্চিত না করেন।