কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহীসহ দেশের ব্রডগেজ লাইনে চলাচল করবে লাল-সবুজের পতাকার রঙে রাঙানো ট্রেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার বিলাসবহুল এসব ট্রেনের গতিও থাকবে বেশি। এজন্য ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হচ্ছে ১৭০টি কোচ। যাতে থাকবে লাল-সবুজের পতাকার রঙ।
এসব কোচে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিপি) ও ভারত সরকার। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মনে করছে, নির্ধারিত ভাড়ায় বিলাসবহুল এসব ট্রেন চালু হলে যাত্রীসেবার মান বাড়বে ও পরিবহন সংকট দূর হবে।
রেলওয়ে সূত্র থেকে জানা গেছে, দেশের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ভারতীয় সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক ১২০টি কোচ। ইতিমধ্যে ৪০টি কোচ ভারত থেকে এসেছে। পরীক্ষামূলক চলাচলের পর দু-এক মাসের মধ্যে যাত্রীসেবার জন্য চালু হবে এগুলো।
রাজশাহী-ঢাকা, চিলাহাটি-ঢাকা, রংপুর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকাসহ দেশের ব্রডগেজ লাইনে চলাচল করবে এসব ট্রেন। ১৭০টির মধ্যে বাকি ৫০টি কোচ এডিপির অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারত থেকে আসা কোচগুলো ভারতের অত্যাধুনিক ট্রেন ‘শতাব্দী’ ও ‘রাজধানী এক্সপ্রেসে’র আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভারত থেকে আসা কোচগুলো নির্মিত হচ্ছে পাঞ্জাবের কাপড় তোলায় অবস্থিত ওই দেশের বিখ্যাত ট্রেনের কোচ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আরসিএফ রেলওয়ে কোচ ফ্যাক্টরি থেকে। এলএসবি ডিজাইন সফিসটিকেটেডভাবে নির্মিত ওই কারখানা থেকে ভারতের ‘শতাব্দী’ ও ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’ ট্রেনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বেড়ে যাবে ট্রেনের গতি। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি করে পাওয়ার কার। যার ফলে ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী ইফতিখার হোসেন জানান, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১২০টি কোচই চলাচল করবে দেশের ব্রডগেজ লাইনে। ট্রেনগুলো ১৪০ কিলোমিটার বেগে চলার সক্ষমতা রাখে। কিন্তু রেললাইনের সক্ষমতা না থাকায় তা চালানো সম্ভব হবে না। যদি ১১০ কিলোমিটার বেগেও চালানো সম্ভব হয় তাহলেও ট্রেনের সময় কমে আসবে। কোচগুলো আসার পর পদ্মা, সিল্কসিটি ও ধূমকেতুর সব কোচ পরিবর্তন করে লাল-সবুজের আদলে নির্মিত ওই কোচগুলো সংযোজন করা হবে।
তিনি জানান, ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করলে কোচের সংখ্যা বাড়বে। এখন যেমন প্রতিটি ট্রেনে নয়টা করে কোচ আছে, ওই ট্রেনগুলোতে ১৩টি করে কোচ থাকবে। প্রতিটি কোচে সিট সংখ্যা থাকবে ৯৯টির স্থলে ১০৫টি করে। এছাড়া দুটি করে এসি চেয়ার ও এসি কেবিন দেওয়া হবে।
প্রকৌশলী ইফতিখার হোসেন জানান, দুটি করে এসি চেয়ার ও কেবিন দেওয়ার পরও যদি এসি চেয়ার ও কেবিনের চাহিদা থাকে তাহলে ট্রেনে আরো এসি চেয়ার ও কেবিন বাড়ানো হবে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের জেনারেল ম্যানেজার খায়রুল আলম বলেন, ট্রেনগুলোতে যাত্রী ধারণক্ষমতা ও যাত্রীসেবার মান বাড়ানো হবে। যাত্রীধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর ফলে দূর হবে পরিবহন সংকট। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান।
Tuesday, May 24
এ সম্পর্কিত আরও খবর
ট্যাক্স জিডিপি’র অনুপাত বাড়াতে পারলে বিদেশি সহায়তা লাগবে না প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, আ
২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ইসি ২০২৫ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।&nbs
সিলেট জেলা ধারাভাষ্য সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠাননিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট জেলা ধারাভাষ্য সংস্থার নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) আজ (১২ রবিউল আউয়াল) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এই দিনে মানব জাতির জ
ব্যাকপেইন দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম মরিয়ম চম্পা: মেরুদণ্ড ও কোমরে ব্যথা যেন একটি সর্বজনীন রোগে পরিণত হয়েছে। পাশ্চাত্যের একটি গবেষ
কানাইঘাটের সবজি চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায়নিজস্ব প্রতিবেদক:কানাইঘাটে সুরমা নদীর তীরে অস্থায়ী সবজির বাজারের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়